ঢাকা   ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ ডেইরি এন্ড ফ্যাটেনিং ফার্মারস এসোসিয়েশনের সংবাদ সম্মেলন

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, অক্টোবর ২২, ২০২৪
  • 82 শেয়ার

নিজস্ব প্রতিনিধি
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী হলে রোববার (২০ অক্টোবর) সকাল ১১ ঘটিকায় বাংলাদেশ ডেইরি এন্ড ফ্যাটেনিং ফার্মারস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মোঃ ইকবাল হোসাইন,মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ভুট্টু; সিনিয়র সহ-সভাপতি, আতিকুর রহমান মিলন ;সিনিয়র সহ-সভাপতি,আমির হামজা শাতিল;সিনিয়র সহ-সভাপতি, মালিক মোহাম্মদ ওমর;যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,আনিছুর রহমান ;সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আসিদুল ইসলাম ;কোষাধক্ষ্য, তালহা বারী;যুগ্ম মহিলা সম্পাদিকা, মিসেস সোহাগী সহ আরো অনেকে।বক্তব্যের শুরুতেই তারা স্মরণ করেছেন ১৯৭১ সাল থেকে ২০২৪ এর ৫ ই আগস্ট পর্যন্ত যারা শহীদ হয়েছেন ও নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছেন সেইসব বীর শহীদদের সম্মান প্রদর্শন করেন। অতঃপর বাংলাদেশ ডেইরি এন্ড ফ্যাটেনিং ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কমিটির পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান এবং নবনির্বাচিত কার্যকরী কমিটির পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।তাদের বক্তব্যে বলেনঃবেকারত্ব দূরীকরণ ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে দেশের সম্ভাবনাময় খাত দুগ্ধ ও গরু মোটাতাজাকরণ শিল্প। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে অনেক শিক্ষিত যুব সমাজ এ শিল্পের সাথে জড়িত হচ্ছে। এতে দেশের তরল দুধ ও মাংসের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ শিল্পকে বাণিজ্যিকভাবে সফলতা এবং বিশুদ্ধ দুধ ও নিরাপদ মাংস সরবরাহে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে দেশীয় খামারিরা।পুষ্টিগুন মিটানোর ক্ষেত্রে খাদ্য তালিকায় এক নম্বর স্থানে রয়েছে দুধ।স্বাস্থ্যসম্মত জাতি তৈরি করতে প্রাণিজ আমিষের বিকল্প নেই। তাছাড়া দুগ্ধ ও গরু মোটাতাজাকরণ শিল্প কর্মসংস্থান ও দারিদ্র দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তারা দুঃখ করে বলেন আমরা খামারিরা দেশের অর্থনৈতিক খাতে অবদান রাখা সত্ত্বেও আমাদের কথা সরকার ভাবে না।তাদের বক্তব্যে বেশ কিছু দাবি-দাবার কথাও তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তুলে ধরেন,তারা বলেন ডেইরি এন্ড ফ্যাটারিং খামারের বিদ্যুৎ ও পানির বিল কৃষি আওতায় আনতে হবে।দেশে দুধ ও মাংসের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ও জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে দুধ ও মাংস যোগান দিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গো-খাদ্য আমদানিতে শুল্কমুক্ত করতে হবে। ৫০ থেকে ৯১% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া ইউরোপীয় ও পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আমদানিকৃত গুড়া দুধ নিজ নিজ দেশে পাওয়া ভর্তুকি অনুপাতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ অথবা ভোক্তাদের স্বার্থে খামারীদের ভর্তুকি প্রদান করতে হবে। উন্নত জাতের প্রুভেন,ক্রস ব্রিড ও ভালো মানের আমদানিকৃত দুধ মাংস বা ডুয়েল পারপাস ব্রিড এর উন্নত জাতের ভুলের সিমেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এফ. এম. ডি ও এল. এস.ডি রোগ নির্মূলে সরকারিভাবে প্রোজেক্টের মাধ্যমে যতদিন দেশে মানসম্মত ভ্যাকসিন তৈরি না হয় ততদিন বিনামূল্যে ভ্যাকসিন এর ব্যবস্থা করা এবং প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে সারাদেশে ভ্যাকসিনের এন্টিবডি টেস্টের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দুধের ন্যায্য মূল্য ও সাপ্লাই চেইন নিশ্চিত করণসহ ডেইরি ফ্যাটেনিং খামারিদের বিভিন্ন দাবি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও মৎস্য প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করার ধন্য তারা দাবি পোষন করে এবং প্রতিকার কামনা করেন। তারা বলেন একমাত্র সরকারি উদ্যোগের মাধ্যমেই আমাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।বিগত ১৭ বছর যাবৎ আমাদের বিভিন্ন সমস্যার সরকারিভাবে কোন সমাধান করা হয়নি,এটা সত্যিকার অর্থে খামারীদের জন্য বিরাট দুর্ভাগ্যের বিষয়।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খামারিদের সরকারিভাবে দারুন দারুন চমৎকার সব সহযোগিতা করা হয় কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে খামারিদের সরকারিভাবে সহযোগিতার হাত আরো প্রশস্ত করা প্রয়োজন। তা না হলে ভবিষ্যতে খামারিয়া এক সময় হারিয়ে যাবে।সরকারিভাবে খামারিদের সাহায্য সহযোগিতা করলে দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হবে এবং অনেক বেকারত্ব সমস্যাও লাঘব হবে বলে তারা মনে করেন।তাই তারা উক্ত সংবাদ সম্মেলনে, বৈষম্য বিরোধী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবি পেশ করেন এবং এর বাইরে তারা বিভিন্ন ট্রেনিং প্রোগ্রামসহ সারা দেশের খামারিদের সমস্যা গুলো চিহ্নিত করে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়নের কথাও বলেন এবং আধুনিক পদ্ধতি গুলো জনপ্রিয় করতে একসাথে কাজ করার কথাও বক্তব্য স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০