ঢাকা   ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪) আদানির সঙ্গে চুক্তি পুনর্মূল্যায়নে কমিটি গঠনের নির্দেশ সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত ৪ আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাসে সড়ক ছাড়লেন সাদপন্থীরা আর্থিক খাতে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা চুনারুঘাটে ফাঁকা গুলি ছুড়ে জনতার হাতে পিস্তলসহ আটক নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক এমপি মেজর রানা হাসিনা রেজিমের ‘ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট’ এখনো বহাল: পর্দার আড়ালে বাণিজ্য সচিব! দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪)

২০২১ সালে সরকারি ছুটি ২২ দিন

নির্মল বার্তা
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, নভেম্বর ৩, ২০২০
  • 132 শেয়ার
সরকারি ছুটি

২০২১ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মোট ২২ দিন ছুটির মধ্যে সাতদিনই পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২ নভেম্বর) ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয় প্রান্ত থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা এতে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ২০২১ সালে সাধারণ ছুটি ১৪ দিন, এর মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটির দিন পড়েছে ছয়দিন। তবে চাঁদের আগে-পরে হলে দু’একদিন কম বেশি হতে পারে।

আর নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি আটদিন, এর মধ্যে একদিন সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পড়েছে। ঐচ্ছিক ছুটি মুসলিমদের জন্য ৫ দিন, হিন্দু ধর্মালম্বীদের জন্য ৮ দিন, খ্রিস্টানদের জন্য ৮ দিন এবং বৌদ্ধদের জন্য ৫ দিন। আর পার্বত্য এলাকার জন্য বিশেষ করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বৈসাবীসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের জন্য ২ দিন।

২০২০ সালে ২২ দিন সরকারি ছুটির মধ্যে আটদিনই পড়ে সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার।

ছুটির তালিকায় জানানো হয়, একজন কর্মচারীকে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে সর্বোচ্চ তিনদিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যাবে। তবে প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করা যায়।

যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে বা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এই ছুটি ষোষণা করবে।

সাধারণ ছুটি
২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ১ মে মে দিবস, ৭ মে জুমাতুল বিদা, ১৪ মে ঈদুল ফিতর, ২৬ মে বুদ্ধপূর্ণিমা, ২১ জুলাই ঈদুল আজহা, ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবস, ৩০ অগাস্ট জন্মাষ্টমী, ১৫ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ১৯ অক্টোবর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন)।

নির্বাহী আদেশে ছুটি
২৯ মার্চ শবেবরাত, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ১০ মে শবেকদর, ১৩ ও ১৫ মে ঈদুল ফিতরের আগে ও পরের দিন, ২২ ও ২২ জুলাই ঈদুল আজহার আগে ও পরের দিন এবং ১৯ অগাস্ট আশুরা।

ঐচ্ছিক ছুটি
মুসলিম পর্ব: ১২ মার্চ শবে মেরাজ, ১৬ মে ঈদুল ফিতর (ঈদের পরের দ্বিতীয় দিন), ২৩ জুলাই ঈদুল আজহা (ঈদের পরের দ্বিতীয় দিন), ৬ অক্টোবর আখেরি চাহার সোম্বা এবং ১৭ নভেম্বর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম।

হিন্দু পর্ব: ১৬ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজা, ১১ মার্চ শিবরাত্রী ব্রত, ২৮ মার্চ দোলযাত্রা, ৯ এপ্রিল হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, ৬ অক্টোবর মহালয়া, ১৪ অক্টোবর দুর্গাপূজা (নবমী), ২০ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা এবং ৪ নভেম্বর শ্যামাপূজা।

খ্রিস্টান পর্ব: ১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ, ১৭ ফেব্রুয়ারি ভস্ম বুধবার, ১ এপ্রিল পুণ্য বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল পুণ্য শুক্রবার, ৩ এপ্রিল পুণ্য শনিবার, ৪ এপ্রিল ইস্টার সানডে এবং ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যিশুখ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন)।

বৌদ্ধ পর্ব: ২৮ জানুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা, ১৩ এপ্রিল চৈত্রসংক্রান্তি, ২৩ জুলাই আষাঢ়ী পূর্ণিমা, ২০ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা (ভাদ্র পূর্ণিমা) এবং ২০ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা (আশ্বিনী পূর্ণিমা)।

পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে কর্মরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটি: ১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর অনুরূপ সামাজিক উৎসব।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০