ঢাকা   ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুই যুগ্মসচিবের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : বুধবার, অক্টোবর ৩০, ২০২৪
  • 66 শেয়ার

বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা শাখার দুই যুগ্মসচিব বেগম মল্লিকা খাতুন ও মোহাম্মদ আবদুল কাদেরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী এক ঠিকাদার ব্যবসায়ী।
অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাবর রোডের ব্যবসায়ী আবদুল কালাম স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, জনপ্রশাসন সচিব এবং স্বাস্থ্য সচিব বরাবর পৃথক পৃথক তিনটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।
আবদুল কালাম তার লিখিত বক্তব্যে মল্লিকা খাতুন এবং তার সহযোগী আরেক যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আবদুল কাদেরকে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সেবা বিভাগের দুর্নীতির সিন্ডিকেটের হোতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
অভিযোগপত্রে তিনি আরও জানান, প্রায় নয় বছর ধরে এ বিভাগে বদলি বাণিজ্য, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট, মেডিকেল কলেজ সিন্ডিকেট, মেডিকেল, ডেন্টাল ও নার্সিং কলেজের আসন বৃদ্ধি, নতুন প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ও নবায়ন, টেন্ডার বাণিজ্যের সঙ্গে তারা জড়িত। এমনকি সিন্ডিকেটটি বিভিন্ন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের চাপ প্রয়োগ করে তাদের পছন্দের ব্যক্তিদের টেন্ডার পাইয়ে দিয়ে ওইসব ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কমিশন নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-১ শাখা থেকে দেওয়া উপসচিব মো. ওলিউজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে উপসচিব মো. ওলিউজ্জামান বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা দুজনই স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগে কর্মরত। অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠি আমরা পেয়েছি। মন্ত্রণালয়ের তদন্ত শাখায় চিঠিটি পাঠানো হয়েছে। তারা তদন্ত কমিটি গঠন করবে।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০