স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্রাব) হলে ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সোমবার বিকাল ৩ টায় মোসা. শারমিন জাহান এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে শারমিন জাহান বলেন আমার স্বামী এমডি জিয়াউদ্দিন রিপন একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তি, তিনি কখনোই কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না। আমার স্বামী বাংলাদেশের স্বনামধন্য শীর্ষ গ্রুপ অফ কোম্পানি যমুনা গ্রুপের অন্যতম অঙ্গ প্রতিষ্ঠান যমুনা ইলেকট্রনিক্স এন্ড অটোমোবাইলস লিমিটেডের সিনিয়র জিএম (কর্পোরেট সেলস) পদে দীর্ঘদিন যাবত সুনামের সাথে কর্মরত আছেন, যার উপর অর্পিত আছে উক্ত কোম্পানির বাৎসরিক প্রায় ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা। কোম্পানির নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সকাল ৯:০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬:০০ টা পর্যন্ত চাকুরীর শর্ত মোতাবেক কোম্পানির হেড অফিসে তাকে উপস্থিত থাকতে হয় এবং প্রতিদিনের কর্ম শেষে নিয়মিত ৮:০০ টা নাগাদ তিনি বাসায় ফিরে আসেন।
শারমিন জাহান আরো জানান প্রতিদিনের ন্যায় বিগত ১৯/১২/২০২৫ ইং তারিখও আমার স্বামী যথারীতি বাসায় ফিরে এসে আমাদের ৩ বছরের একমাত্র সন্তান আনাহিতা মনিকে নিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেন। আর সেদিনই (১৯/১২/২০২৫ ইং) রাত ১:৩০ মিনিটের দিকে হঠাৎ কিছু পুলিশ সাথে ভন্ড পীরের কিছু লোকজন সাথে নিয়ে আমার স্বামীকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে কাফরুল থানায় গিয়ে জানতে পারি গত -১৯/০৭/২০২৪ তারিখের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজন ভুক্তভোগীকে দিয়ে আমার স্বামীকে ১ নং আসামি করে আরো ৭ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করে সাথে ১০০ – ১৫০ অজ্ঞাতনামা আসামি করে গত – ১০/১২/২০২৪ তারিখে চাঁদপুর থানায় মামলা নং – ০৯(১২)২৪. ধারা- ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩২৬/৩০৭/১০৯/৩৪ দণ্ডবিধি দায়ের করে। এবং আমরা পরের দিন বিজ্ঞ আদালতে জামিনের জন্য গেলে প্রকৃত ঘটনা জানতে পারি।
শারমিন জাহান বলেন আমার স্বামীর পারিবারিক সম্পত্তি মিরপুর ৬ নং – এ ব্লক সি, রোড নং – ৭/২ – এ আপাতত একটি বিল্ডিং ভন্ড পীর সাহেব জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে ঢাকার ১ ম সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা ১৬৩/২৪ বিচারাধীন আছে। তারপরও গত ১০/১২/২০২৪ তারিখে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করে এবং ১৯/১২/২০২৫ তারিখে গ্রেফতার করে। আমি এ পর্যন্ত অনেকবার বিশিষ্ট আইনজীবী নিয়োগ করে জামিন শুনানি করেছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি। ইতিমধ্যে বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন লোক মারফত আমাদের জানানো হয়েছে যে কোনভাবেই আমার স্বামী জামিন পাবে না। উক্ত ভন্ড পীর সৈয়দ এম সাইদুর রহমান আল মাহবুবীর হাত অনেক লম্বা। এমনকি উক্ত ভন্ড পীর আমাদেরকে বলেছে আমার স্বামী যদি উক্ত সম্পত্তি ওই ভন্ড পীরকে বুঝিয়ে না দেয়, তাহলে সে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের মামলায় আসামি করে আমার স্বামীকে ফাঁসিতে ঝুলাবে। আর আমরা যদি সম্পত্তি ভন্ড পীরকে বুঝিয়ে দেই তাহলে সকল মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বন্দোবস্ত করবেন। শারমিন জাহান কান্না বিজড়িত কন্ঠে বলেন আমি একজন কম বয়সী নারী সাথে ৩ বছরে সন্তান নিয়ে ভন্ড পীরের লোকজনের ভয়ে আমার বাবার বাড়িতে বসবাস করছি। কোন উপায় না পেয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছি বলে বারবার শারমিন জাহান কান্নায় ভেঙে পড়ে এবং বিষয়টি সুস্থ তদন্ত-পূর্বক যথাযথ কর্তৃপক্ষের সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিনীতভাবে প্রার্থনা করেন।