ঢাকা   ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই: ফখরুল ক্রিকেটার সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি গাজার ধ্বংসস্তূপে অবিস্ফোরিত বোমা সরাতে লাগবে এক দশক সরকারের ঘোষিত সময়েই নির্বাচন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু সোমবার দলিল জালিয়াতির অভিযোগ: বাজিতপুরে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা কামারখন্দে দলীয় প্রভাবে জলাধারের মুখ বন্ধ করে বাড়ি নির্মাণ করেছেন নায়েব রেজাউল করিম বিএভিএস হাসপাতাল বন্ধের ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন সোনারগাঁয়ে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের উদ্ধোধন বনশ্রী আফতাবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি বাবলু পন্ডিত, সম্পাদক জহির রাজধানীতে কালকিনি ও মাদারীপুরের বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে মাহামুদ আলম সরদারের মতবিনিময়

সাবেক প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে: গভর্নর

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : সোমবার, অক্টোবর ২৮, ২০২৪
  • 52 শেয়ার

বিজনেস ফাইল ডেস্ক
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে (এফটি) দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে সাবেক প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা দেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের সঙ্গে মিলে ব্যাংকিং খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। তিনি দাবি করেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকগুলোকে জোরপূর্বক দখল করতে সাহায্য করেছে ডিজিএফআই।

আহসান এইচ মনসুরের হিসেব অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো অধিগ্রহণের সময় নতুন অংশীদারদের ঋণ ও আমদানি খরচ বেশি দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে দুই লাখ কোটি টাকা (১৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার) পাচার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এটিই সবচেয়ে বড় পরিসরের ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা। এরকম মাত্রায় (ব্যাংক ডাকাতি) অন্য কোথাও হয়নি। এবং এটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে। (ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহীদের ওপর) গোয়েন্দা কর্মকর্তারা চাপ না দিলে এরকম কিছু সম্ভব হতো না।’

বিশেষ করে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে গভর্নর অভিযোগ করেন, ডিজিএফআইয়ের সহায়তায় ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তারা দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে।

‘প্রতিদিনই তারা নিজেদের ঋণ দিচ্ছিলেন,’ সাক্ষাৎকারে বলেন আহসান এইচ মনসুর।

সাইফুল আলমের পক্ষে আইনি প্রতিষ্ঠান কুইন ইমানুয়েল উরকুহার্ট অ্যান্ড সুলিভান এক বিবৃতিতে জানায়, এস আলম গ্রুপ গভর্নরের সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং এগুলো ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে।

বিবৃতিতে আরও অভিযোগ করা হয়, ‘অন্তর্বর্তী সরকার এস আলম গ্রুপ এবং বাংলাদেশের অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে প্রচার চালাচ্ছে।’

গভর্নরের অভিযোগকে বিস্ময়কর এবং অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে তারা আরও বলেছে, ‘এতে করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে।’

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০