করোনার সংকটময় মুহূর্তে সারা বিশ্বের যুবারা প্রমাণ করেছে যে তারা যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি মােকাবিলা করতে পারে এবং সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের এবং বৈশ্বিক যুবাদের এ অনন্য মানবিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেওয়া হবে ‘শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০’।
‘ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’-এর অধীনে প্রথমবারের মতো এ পুরস্কারের আয়োজন করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সহযোগিতায় রয়েছে ইসলামিক কো-অপারেশন ইয়ুথ ফোরাম (আইসিওয়াইএফ), ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ডের লোগো উন্মোচন এবং সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব আখতার হোসেন। ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন ইসলামিক কো-অপারেশন ইয়ুথ ফোরামের (আইসিওয়াইএফ) প্রেসিডেন্ট তাহা আইয়ান।
জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, সারা বিশ্ব এখন অভিন্ন শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সে লড়াইয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ লড়ছে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশে করোনার লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হয়েছে। সারা বিশ্বের আর কোনো জননেতাকে করোনাকালে এতো পরিশ্রম করতে দেখা যায়নি। যা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের তরুণরাও করোনার কালে মানুষের পাশে ছিলেন। নিজেদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদের এ অবদানের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হবে। যা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ থেকে দশজনকে পুরস্কৃত করা হবে। তাদের নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের আরেকটি আয়োজন করা হবে। সে সঙ্গে অংশগ্রহণকারী সবাইকে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
মোট দশটি বিভাগে এ পুরস্কার দেওয়া হবে। সেগুলো হলো-মােস্ট ইন্সপায়ারিং ভলান্টিয়ার স্টোরি, মােস্ট ইমপ্যাক্টফুল ইনিশিয়েটিভ, বেস্ট ইনােভেটিভ আইডিয়া, করপোরেট সাপাের্ট ইন ভলান্টারি ইয়ুথ অ্যাক্টিভিটি, মােস্ট ইমপ্যাক্ট ফুল মিডিয়া পার্সোনাল, কমিউনিটি লিডারশিপ অ্যান্ড সার্ভিস, ইনভায়রনমেন্টাল রেসপন্স, অ্যাক্ট অব ব্রেভারি, সার্ভিস এক্সিলেন্স এবং আউটস্ট্যান্ডিং ইয়ুথ ভলান্টারি অর্গানাইজেশন।
আগামী ১ নভেম্বর থেকে এ পুরস্কারের জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে। youthpowerhouse.org/shyva/- এ ঠিকানায় গিয়ে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে। একইসঙ্গে এ পুরস্কার সংক্রান্ত সব তথ্যও সেখানে পাওয়া যাবে।