ঢাকা   ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪) দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪) আদানির সঙ্গে চুক্তি পুনর্মূল্যায়নে কমিটি গঠনের নির্দেশ সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত ৪ আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাসে সড়ক ছাড়লেন সাদপন্থীরা আর্থিক খাতে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা চুনারুঘাটে ফাঁকা গুলি ছুড়ে জনতার হাতে পিস্তলসহ আটক নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক এমপি মেজর রানা হাসিনা রেজিমের ‘ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট’ এখনো বহাল: পর্দার আড়ালে বাণিজ্য সচিব!

মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ ৬৩ হাজার ১৮৭ টাকা

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : রবিবার, মার্চ ৩১, ২০২৪
  • 219 শেয়ার

বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
সরকারের পুঞ্জীভূত বৈদেশিক ঋণের স্থিতি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবের ফারাক বেড়েই চলেছে। দুই হিসাবের মধ্যে পার্থক্য প্রায় ১৩৩৫ কোটি ডলারের বেশি ছাড়িয়েছে, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি।

অর্থ বিভাগের করা সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২৩) সরকারের পুঞ্জীভূত বৈদেশিক ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। বৈদেশিক মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার ১৯১ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার ডলার (১ ডলার = ১১০ টাকা হিসাবে)। এটি জিডিপির ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ।
ভাঙ্গা থেকে রূপদিয়ার উদ্দেশ্যে ট্রায়াল ট্রেন ছেড়ে গেছে
আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে, একই সময়ে সরকারের বৈদেশিক ঋণের স্থিতি গিয়ে ঠেকেছে ৭ হাজার ৫২৬ কোটি ৮৭ লাখ ৯০ হাজার ডলারে, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৮ লাখ ২৭ হাজার ৯৫৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা (১ ডলার = ১১০ টাকা হিসাবে)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, গত ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুন শেষে সরকারের মোট পুঞ্জীভূত বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ছিল ৭ হাজার ৫৮৫ কোটি কোটি ৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার (এটি ছিল জিডিপির ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ)। সে হিসাবে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সরকারের পুঞ্জীভূত বৈদেশিক ঋণের স্থিতি প্রায় ৫৮ কোটি ডলার কমেছে।
সরকারের পুঞ্জীভূত বৈদেশিক ঋণস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, দ্বিপক্ষীয় উৎসের তুলনায় বহুপক্ষীয় উৎস থেকে গৃহীত ঋণের পরিমাণ বেশি। এ ক্ষেত্রে সুদের পরিমাণও বেশি।]
এদিকে অর্থ বিভাগের হিসাব মতে, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট পুঞ্জীভূত বৈদেশিক ঋণের মধ্যে বহুপক্ষীয় ঋণের পরিমাণ ৫৯ শতাংশ এবং দ্বিপক্ষীয় ঋণের পরিমাণ ৪১ শতাংশ। এ ছাড়া সরকারি ঋণের বাইরে বেসরকারি খাতেও বৈদেশিক ঋণ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, গত সেপ্টেম্বর শেষে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ হাজার ১২৮ কোটি ৯ লাখ ডলারে। সে হিসাবে দেশে সরকারি-বেসরকারি মোট পুঞ্জীভূত বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ৯ হাজার ৬৫৪ কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং সার্বিকভাবে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ৫৭৪ দশমিক ৪৩ ডলার, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৬৩ হাজার ১৮৭ টাকা।

চলতি অভ্যন্তরীণ ও বিদেশী ঋণ মিলিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২৩) শেষে সরকারের মোট পুঞ্জীভূত ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৩৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গত ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে বা ২০২৩ সালের জুন শেষে সরকারের মোট পুঞ্জীভূত ঋণস্থিতি ছিল ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সরকারের প্রকৃত ঋণ বেড়েছে ৩৭ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০