সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক আর নেই (ইন্নালিল্লাহি .. রাজিউন)।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তিনি ওই হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
এর আগে গত বুধবার হাসপাতালের মহাপরিচালক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন গণমাধ্যমকে বলেন, স্যারের অবস্থা মঙ্গলবার রাত থেকে খারাপের দিকে যায়। অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেছে।
‘তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। পরে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা ক্রিটিক্যাল। তবে তিনি সাড়া দিচ্ছেন।’
শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত আদ-দ্বীন হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন এই সিনিয়র আইনজীবী।
গত শনিবার তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে সকালের দিকে রিলিজ নিয়ে বাসায় ফিরে যান। কিন্তু দুপুরের পরপরই ফের তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। জানা গেছে, রক্তশূন্যতা, ইউরিন সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।
তিনি রিচমন্ড রোল্যান্ড গোমেজের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিয়েছেন হাসপাতালটিতে। এর আগে গত জুনে ডায়াবেটিস কমে যাওয়ায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তখনও আদ-দ্বীন হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২রা নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে। ১৯৫৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, ১৯৫৭ সালে দর্শন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৫৮ সালে এলএলবি পাস করেন। ১৯৬২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে বার এট ল সম্পন্ন করেন। ১৯৬৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে এবং ১৯৭৩ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে আইন পেশা শুরু করেন। বর্ণাঢ্য জীবনে আইন পেশায় দীর্ঘ প্রায় ৬০ বছর পার করেছেন।