বিজনেস ফাইল রিপোর্ট
এফবিসিসিআই পরিচালনা বোর্ডে ছিলাম। একজন পরিচালক হিসেবে প্রতিযোগিতা করে নির্বাচিত হয়েছিলাম। বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা আমাদের যোগ্যতা অনুযায়ী কোনো মূল্যায়ন করা হয়নি। বোর্ডে কোনদিন আলাপ হয়নি কে কিভাবে দায়িত্ব পালন করবে। এমনকি স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলো কিভাবে দেওয়া হলো তাও আমরা জানতে পারিনি। পরিচালকদের এক ধরনের নিষ্ক্রিয় রাখা হয়েছিল। এসব প্রশ্নের উত্তরও আমরা পাইনি কোনো দিন। এফবিসিসিআই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পার্লামেন্ট। অর্থাৎ ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রধান সংগঠন। এটা একটা এপেক্স বডি। সাড়ে চার কোটি ব্যবসায়ীর সংগঠন অথচ এখানে বৈষম্য রয়েছে চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন গুলোতে। বিপুলসংখ্যক অটো ডিরেক্টর যারা তারা বোর্ড মিটিংয়ে আসেন না।
বর্তমানে নিত্যপর্ণের বাজারে খুবই একটা সমস্যা রয়েছে। মানুষজন ব্যবসায়ীদের গালিগালাজ করছে অথচ এফবিসিসিআই নিরব। এখানে বর্তমানে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। যে কারণে সকল স্ট্যান্ডিং কমিটি স্থগিত। সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের মিটিং এ এখন আর এফবিসিআইয়ের প্রতিনিধি থাকছে না। সহ-সভাপতি সর্বোচ্চ তিনজন থাকতে পারে আর পরিচালকদের কার্যকরী ক্ষমতা বাড়াতে হবে। মিটিংয়ে না আসলে তাদের শোকজ করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। সিন্ডিকেট বা লোভী দুষ্ট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। টাইম টু টাইম এফবিসিসিআই এর সমস্যা সরকারের সাথে সমন্বয় করতে হবে। অনেক চেম্বার আছে সেখানে ফাংশন ঠিকমতো হচ্ছে না এমনকি অনেক অ্যাসোসিয়েশনগুলোতেও নানা সমস্যা রয়েছে। এগুলো সংস্কারের মধ্যে আনতে হবে। নতুন সংগঠন অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ৫০ লাখ কেন? এখানে কোন ধরনের ফিস থাকা উচিত না কারণ সরকার ও এফবিসিসিআইয়ের সকল নিয়মকানুন মেনে টিও লাইসেন্স দেয়া হয়। দ্রুত নির্বাচন দিয়ে সকল সংগঠন / প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফাংশনাল করতে হবে। ব্যবসায়ীদের ভূমিকা রাখার সুযোগ দিতে হবে। যত দ্রুত সমস্যা গুলো চিহ্নিত করে সংস্কার করে নির্বাচন দেয়া প্রয়োজন। যত দ্রুত সম্ভব সকল পদে নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব আসলে ততই সাধারণ মানুষের জন্য মঙ্গল হবে।মধ্যবিত্ত ও নিম্নবৃত্ত পণ্য কেনা কমিয়ে দিয়েছে পণ্য কেনা কমিয়ে দিয়েছে।