বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
তদন্তে বিলম্বের সুযোগে আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মালা খান গং কর্তৃক বিআরআইএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের হুমকি ও তুলে নেয়ার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার সকালে ১১ টায় রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বিআরআইসিএম এর পক্ষে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন আয়শা আক্তার লাবনী ও জাবেদ বিন আহমেদ। মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ মনিরুজ্জামান, মোঃ মোক্তার হোসেন, মোঃ রাইসুল ইসলাম, মোঃ মেহেদী হাসান (টুটুল) প্রমুখ।
তারা বলেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে জানাচ্ছি আমাদের সহকর্মী, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর মালা খানের দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে বিআরআইসিএমের সকল বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও রিসার্চ ফেলোদের চলমান আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা ও গবেষক মতিউর রহমান মিথ্যা আসামি হিসেবে কারাবরণ করছেন। আজ আমরা বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস (বিআরআইসিএম) এর বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রিসার্চ ফেলোগণ এখানে উপস্থিত হয়েছি, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ ও অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন মহাপরিচালক এবং অবৈধ পিএইচডি ডিগ্রীধারী, দুর্নীতি পরায়ণ, গোপন আয়না ঘরের প্রতিষ্ঠাতা স্বৈরাচারী মালা খানের বহাল তবিয়তে থেকে দৌরাত্বের ঘৃণিত চিত্র তুলে ধরার জন্য।
বাংলাদেশের বিজ্ঞানী সমাজের এক কলঙ্ক ও অভিশাপ মালা খান। দেশের সচেতন গবেষক মহল, বিশ্ববিদ্যালযের শিক্ষকবৃন্দ তার ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রির বিষয়টি অবগত থাকলেও বিগত ১৫ বছর ধরে স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের বিজ্ঞান মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, শেখ তাপসের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এই ভুয়া ডিগ্রী ব্যবহার করে বিআরআইসিএম – এর চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার পদে নিয়োগ পান। সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক পদটিও বাগিয়ে নেন। এই প্রতারক ব্যক্তিটি আওয়ামী সরকারের সাথে আতাত করে অত্যন্ত দাপটের সাথে শতকোটি টাকার প্রকল্প বাগিয়ে নিয়ে কোটি টাকা লুটপাট করেন। তৎকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান পরিষদের সভাপতি হয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে গিরগিটির মত অন্য বিভিন্ন দলের বিভিন্ন মহলে তদবির চালাচ্ছেন। যাতে করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে প্রিয়ভাজন হতে পারেন।
তারা আরো বলেন – বিগত ১২-০৯-২০২৪ তারিখে বিআরআইসিএম – এ মালা খানের দুর্নীতি, জালিয়াতি, টেন্ডারবাজি ও অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে বক্তব্য দিয়েছিলেন মশিউর রহমান। যে কারণে মালা খানের প্রথম টার্গেট হয়েছেন তিনি। আজ আমরা যারা বক্তব্য দিচ্ছি তারাও হয়তো টার্গেটে পরিণত হয়ে মশিউর রহমানের মত হয়রানি মূলক মামলায় কারাবরণের শিকার হতে পারি।
পরিশেষে তারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ দফা দাবির কথা তুলে ধরেন।
১। অনতিবিলম্বে মালা খানকে বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে আনিত দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগের সুষ্ঠ তদন্ত ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে বিনা ব্যর্থতায় সম্পন্ন করে জাতির সামনে উপস্থাপন করতে হবে ও অভিযোগ প্রমানিত হলে আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ২। অনতিবিলম্বে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে আনিত সকল হয়রানি মূলক মামলা প্রত্যাহার করে তার নিঃশর্ত মুক্তি প্রদান করতে হবে। ৩। মশিউর রহমান সহ বিআরআইসিএম – এর বিজ্ঞানী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হুমকি ও হয়রানির সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। ৪। হয়রানি মূলক মামলা বাণিজ্যকারী ও তাদের সহযোগিদের নিশ্চিত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ৫। বিআরআইসিএম – এর বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি আমলে নিয়ে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।