ঢাকা   ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বালু খেকোদের অভয়ারণ্য বাজিতপুরের দিলালপুর কুমারখালীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন ফায়ার সার্ভিসের ছয় কর্মকর্তার পদোন্নতি আগামী ১৮ জানুয়ারি সোনারগায়ে মাসব্যাপী লোকজ মেলা শুরু ভালুকায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি, টাকা-সোনা লুট কেরানীগঞ্জে ৩০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী পৌষ সংক্রান্তি মেলা, রক্ষাকালী মায়ের বাৎসরিক পূজা ও ঘুড়ি উৎসব নিকলী উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন: সভাপতি মিঠু, সম্পাদক হেলিম বিআইএ নির্বাচন: উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে মনোনয়নপত্র দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫) শতাধিক পণ্য ও সেবার উপর মূল্য সংযোজন কর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করায় বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

বাংলা একাডেমির ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : সোমবার, ডিসেম্বর ৪, ২০২৩
  • 240 শেয়ার

বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
আয়োজন, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, স্মৃতিচারণসহ নানা আয়োজনে বাংলা একাডেমির ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে রোববার একাডেমিতে ছিল দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি। সকালে কেন্দ্রিয় শহিদ মিনারে মহান ভাষা আন্দোলনের অমর শহিদদের স্মৃতির প্রতি ও পরবর্তীতে বাংলা একাডেমির স্বপ্নদ্রষ্টা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

বিকালে একাডেমির রবীন্দ্র চত্বরে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনা শীর্ষক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বক্তৃতা-২০২৩ প্রদান করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ-এর সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। স্বাগত বক্তৃতা প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন একাডেমির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মো. হাসান কবীর। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, একাডেমির সাবেক পরিচালক জাকিউল হক ও শফিকুর রহমান চৌধুরী, অধ্যাপক শওকত আরা হোসেন, কবি দিলারা হাফিজ, কবি লিলি হক, ড. ইসরাইল খান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. সাইমন জাকারিয়া।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দুপুরে একাডেমির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়। সন্ধ্যায় আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে সুরভিত সন্ধ্যা শীর্ষক স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাচিন্তার যে বর্ণনা আমরা ইতিহাসে পাই তা একবিংশ শতাব্দীর বাস্তবতার নিরিখে বলা যায় তা অসাধারণ ভবিষ্যৎদর্শনের রূপরেখা। বঙ্গবন্ধুর মুক্তির সংগ্রাম মূলত শিক্ষার আন্দোলন।

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, বাংলা একাডেমির গভীরে আছে একটি সজীব-সচল প্রাণসত্তা। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের ইতিহাস-ঐতিহ্যের গর্বিত ধারক-বাহকের নাম বাংলা একাডেমি।

কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, প্রায় সাত দশক ধরে বাংলা একাডেমি বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে। খলিল আহমদ বলেন, বর্তমান সংস্কৃতিবান্ধব সরকার বাংলা একাডেমি ও অন্য জাতীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সারা দেশের সবস্তরের মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক এবং সাংস্কৃতিক সাক্ষরতা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

ড. মো. হাসান কবীর বলেন, ভাষা আন্দোলনের চেতনাস্নাত বাংলা একাডেমি মুক্তিযুদ্ধজাত বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রত্যয়কে ধারণ করে বাংলা ও বাঙালির প্রাণের প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০