ঢাকা   ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আজিমপুর গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী ও ঠিকাদার সমিতির নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা কিশোরগঞ্জে প্রাথমিকের অধিকাংশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা বই না পেয়ে হতাশায় ভালুকায় শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী পালিত দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫) রুহুল কবির রিজভী আহমেদ-এর সাথে ভালুকা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ নবীনগরে নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌতুক প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আলোচনা সভা সোনারগাঁয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালিত বাজিতপুরে জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল কটিয়াদীতে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে জামায়াতের ছাগল বিতরণ কটিয়াদীতে আচমিতা ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান ও সাবেক সভাপতির পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন

কিশোরগঞ্জে প্রাথমিকের অধিকাংশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা বই না পেয়ে হতাশায়

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : সোমবার, জানুয়ারি ২০, ২০২৫
  • 16 শেয়ার

আলি জামশেদ, হাওর অঞ্চল থেকে
প্রাথমিকের বই যথাসময়ে না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করে চলেছে শিশু শিক্ষার্থীরা। পুরাতন পাঠ্যবই দিয়েই চলেছে শিশু শ্রেণীসহ চতুর্থ ও পঞ্চমের ক্লাস।
জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড যা এনসিটিবি নামে পরিচিত। এর অধীনে ২০২৫ সালে ৪৪১টি বইয়ে পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন ও সংযোজন বিয়োজন হচ্ছে বলে এনসিটিবির দেয়া তথ্য ভিত্তিক জানা গেছে। এদের মধ্যে প্রাথমিকেরও রয়েছে ৩৬টিতে। সারা দেশের প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের একাধিক শ্রেণীর বই নিয়ে বিভিন্ন জলা উপজেলার ন্যায় উপজেলার ন্যায় নিকলীতেও একই ধরণের হতাশা আর হৈচৈয়ের চিত্র শিক্ষার্থীদের মাঝে।
তবে দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তারা বলছেন ৫ আগষ্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে বেশ কিছু বইয়ে পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন, সংযোজন-বিয়োজনের ফলে এমনটি হচ্ছে। যে কারণে শিক্ষার্থীদের কাছ উপযুক্ত সময়ের মধ্যে পৌছে দিতে পারছে না জাতীয় পাঠ্যপুস্তক। তবে আশাবাদ ব্যক্ত করে কর্মকর্তারা বলছেন অচিরেই এর সুষ্ঠু সমাধান দিবেন বলে।
এ নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম অসন্তোষ ও হতাশা প্রকাশ করতে দেখা গেছে কিশোরগঞ্জের নিকলীসহ সর্বত্র। তবে কিশোরগঞ্জে সর্বশেষে কিছু বই আসবে বলেও তথ্য মিলেছে। সুযোগে এ ক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধা নিচ্ছেন কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক ও শিক্ষকরা। কিন্ডারগার্টেনের অনেকে পাঠ্যপুস্তকের বাহিরে অতিরিক্ত কিছু বই হাতে দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের গতানুগতিক শিক্ষা কার্যক্রম। অতি উৎসাহী অভিভাবকদের কারণে শিশু শিক্ষার্থীরাও ঝুঁকছেন তড়িঘড়িতে কিন্ডারগার্টেনে। এমন আলোচনা ও সরব রয়েছে সচেতন মহলে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে কিশোরগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৮টি। শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ। মোট বইয়ের সংখ্যা ২১ লাখ ১৯ হাজার প্রায়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের দেয়া তথ্যমতে ৯৮টি টেন্ডারের মধ্যে একটি মাত্র রি-টেণ্ডার হলে সেটিই কিশোরগঞ্জের ভাগ্যে জুটেছে। এদের মধ্যে হাওর অঞ্চলের প্রবেশদ্বার বলে পরিচিত নিকলীর ৬০টি বিদ্যালয়ের ২০২৪ তথ্য অনুযায়ী ১৩ হাজার শিক্ষার্থী হলে বর্তমানে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেনের কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি মোস্তাক আহমেদ দাদাভাই এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তারা বোর্ডের ৬টি পাঠ্য বইয়ের বাহিরে শিক্ষার্থীদের দিচ্ছেন মূলত ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর কিন্ডারগার্টেন বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত বই। এসবের মধ্যে বাংলা ব্যাকরণ, ইংরেজী, সাধারণ জ্ঞান ও চিত্রাংকন। তাছাড়া প্লে-নার্সারির ক্ষেত্রে তাদের প্রকাশনীর বই অনুমতি সাপেক্ষেই চলছে বলেও উল্লেখ করেন।
নিকলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৌয়দা মোহসীনা সোবহান বলেন, শিশু শ্রেণীসহ নিকলীতে এখনো ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর বই হাতে এসে পৌছেনি। পুরাতন পাঠ্যবই দিয়েই চলছে পাঠদান।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মজিব আলম এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা এখনো চতুর্থ পঞ্চম শ্রেণীর পাঠ্যবই পাইনি। বাকী শ্রেণীর বই পর্যায়ক্রমে পেয়েছি। তবে আশা করে চলেছেন অচিরেই পেয়ে যাবেন বলেও। এটা তাদের হাতে নয় বরং এনসিটিবির অধীনস্থ বলে উল্লেখ করেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো.আব্দুল হাকীমের ২০ জানুয়ারি দুপুরে মুঠোফোনে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের সমস্যার চিত্র তুলে ধরা হলে এবং কি অবস্থায় আছে জানতে চাইলে তিনি উপ-পরিচালকের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
প্রাথমিকের উপ-পরিচালক (চ: দা:) (প্রশাসন বিভাগ) এর দায়িত্বে থাকা তাপস কুমার অধিকারীর কাছে শিশু শ্রেণীসহ ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের যথা সময়ে বই না দেয়ার জবাবের প্রেক্ষিতে গত ১৯ জানুয়ারি দিনেও ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর ৫১ভাগ বই পোষ্ট ডেলিভারি দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এছাড়াও আশাবাদ ব্যক্ত করে চলেছেন ৭ থেকে ১০দিনের মধ্যে বাকীগুলো পৌঁছে যাবে। অচিরেই ঘাটতি দূর হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসানের কাছে তথ্য জানতে চাওয়ার জবাবে মোট ১০ কোটি বইয়ের মধ্যে ৮ কোটি বই দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন। এরি মধ্যে ৪৪১টি বইয়ে পট পরিবর্তন, সংশোধন, সংযোজন-বিয়োজনের মধ্যে প্রাথমিকেরও রয়েছে ৩৬টি বই। জানুয়ারির শেষ দিকে সকল সমস্যা সমাধান হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০