ঢাকা   ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণের অপসারণ না করার দাবিতে মানববন্ধন

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, অক্টোবর ২২, ২০২৪
  • 239 শেয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটরিয়ামে গতকাল (২১ অক্টোবর) রোজ সোমবার সকাল ১০ ঘটিকায় বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম (বি.ইউ.পি.এফ) এবং চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সকল সমমনা সংগঠন, বাংলাদেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণের অপসারণ না করার দাবিতে এক “মানববন্ধন” অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধনের আহ্বায়ক ছিলেন মোঃ জিল্লুর রহমান,চেয়ারম্যান, আদম দিঘি ইউনিয়ন পরিষদ,উপজেলা আদমদিঘী, জেলা বগুড়া। যুগ্ম আহ্বায়ক ও সঞ্চালনায় ছিলেন অধ্যক্ষ মোঃসুজাউদৌল্লা লিপটন। মানববন্ধনের উক্ত মঞ্চে যারা উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রেখেছেন তারা হলেন,আলমগীর হোসেন ,চেয়ারম্যান, ১২ নং শ্যামকুড় মনিরামপুর, যশোর; শেখ মনিরুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, ১নং আটরাগিলাতলা পরিষদ, ফুলতলা উপজেলা, খুলনা; মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান, ৯নং কাশিমপুর ইউনিয়ন, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ; মোঃ হাবিবুর রহমান লাভলু, চেয়ারম্যান গ্যাটি, সালতা, ফরিদপুর ; সাইফুজ্জামান শাহীন, চেয়ারম্যান,বল্লবদি সালতা,ফরিদপুর; মোঃ সেলিম রেজা, চেয়ারম্যান, ২নং শেরপুর ইউনিয়ন পরিষদ, শেরপুর সদর, শেরপুর; মোহাম্মদ মাইদুল ইসলাম খান মামুন, চেয়ারম্যান ৪নং গোবিন্দশ্রী ইউনিয়ন মদন, নেত্রকোনা; মোঃ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, চেয়ারম্যান ৬নং ইউনিয়ন পরিষদ কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী; সাইফুর রহমান চৌধুরী, চেয়ারম্যান চেরাম ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা বারহাট্টা, নেত্রকোনা; মোঃ মশিউর রহমান সরকার,চেয়ারম্যান ৪ নং সাহাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, গাইবান্ধা সদর, গাইবান্ধা; ফজলার রহমান ,চেয়ারম্যান ১ নং বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা কিশোরগঞ্জ, জেলা নীলফামারি ; শাহ মোঃ রায়হান, চেয়ারম্যান কেন্দুয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদর, মাদারীপুর; মোহাম্মদ জুলফিকার রহমান, চেয়ারম্যান ৫ নং বললমঝাড় ইউনিয়ন পরিষদ, গাইবান্ধা সদর ; আব্দুল জলিল, চেয়ারম্যান বাশচডা জামালপুর সদর; মোঃ নাজমুল হক বাবু, চেয়ারম্যান ১৩ নং মেসতা ইউনিয়ন, জামালপুর সদর ; ফিরোজা বেগম, ভাইস চেয়ারম্যান মুরালাপুর ইউনিয়ন, নরসিংদী সদর ; সুলতানা পারভীন, ভাইস চেয়ারম্যান ইলিরাসাবাদ ইউনিয়ন, কালীয়া নড়াইল; মোঃ সোহেল রানা, মেম্বার, মোহনগঞ্জ নেত্রকোনা এবং আরো অনেকে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন এবং বক্তব্য শেষে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
তাদের বক্তব্যে তারা বলেন-ইউনিয়ন পরিষদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও শক্তিশালী কাঠামো। স্বাধীনতার পরবর্তী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালিত হয়ে আসছে। দেশের এ প্রাচীন প্রতিষ্ঠানটি সাধারণ জনগণের আশা ও ভরসার আশ্রয়স্থল। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সকল জনগণকে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সেবা দিয়ে থাকি।গত ২০১৬ইং অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বৈরাচারী সরকার নিজের হীন রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার প্রয়াসে সর্বজন স্বীকৃত একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক দলের প্রতীক দিয়ে নির্বাচন করিয়ে প্রাচীন এ প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করেছিল। বাংলার স্বাধীনচেতা মানুষ স্বৈরাচার সরকারের এই অপকৌশল ও অপশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে ২০২৪ইং সালের ৫ই আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েছে।স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কারের লক্ষ্যে সর্বপ্রথম নন্দিত অন্তর্বর্তী কালীন সরকার আপনার নেতৃত্বে গঠিত হয়।জনপ্রিয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকারের উপদেষ্টা অজ্ঞত কারণে প্রাচীন এই জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানটি ভেঙে দেওয়ার অভিমত ব্যক্ত করেছেন।এই কাঠামো ভেঙ্গে অগণতান্ত্রিক উপায়ে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার যে রূপরেখা দাঁড় করিয়েছেন তা বাংলার মানুষের আশা ও ভরসার আশ্রয় স্থলে কুঠারাঘাত করেছে।এই কাঠামো ভেঙে আমলাতান্ত্রিক উপায়ে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করলে গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ আশাহত হবেন। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও ইউনিয়ন এর স্থলে আমলাতান্ত্রিক ভাবে পরিচালিত হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। জনগণের ভোটে নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও চেয়ারম্যানগন জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। ইউনিয়ন পরিষদ কাঠামো ভেঙে দিলে দেখা দিতে পারে সামাজিক অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলতা। তারা আরও বলেন, ৫ ই আগস্ট এর পরবর্তীতে বিশৃঙ্খলা ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার ফলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবনতি হয়েছিল ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও চেয়ারম্যান গণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আমরা দিয়েছি। তবে যে সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য বৃন্দ ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিপক্ষে গিয়েছেন, নিরপেক্ষ ও সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। কিন্তু এ অবস্থায় সকল ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দিলে জনপ্রিয় বৈষম্য বিরোধী অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে এবং জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে বলে তারা মন্তব্য পোষণ করেন। ফলে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এ সরকার গঠিত হয়েছিল তা কোনভাবেই অর্জিত হবে না। আমরা আপনার নেতৃত্বে বৈষম্য বিরোধী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে চাই এবং আপনার গৃহীত সংস্কার কার্যক্রমে সর্বসম্মতভাবে সমর্থন অব্যাহত আমাদের থাকবে ইনশাআল্লাহ।
তারা জনগণের স্বার্থে কাজ করার সুযোগ চায় এবং দেশকে যে কোন মূল্যে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। তারা বলেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘুম ব্যতীত সব সময় তারা জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে চায়।তারা সবসময়ই জনগণের সেবা প্রদান করে আসতেছে বলেও দাবি করেন।বিধায় জনগণের দোরগোড়ায় সেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের বিলুপ্ত বা অপসারণ না করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করেন এবং স্মারকলিপি পেশ করেন যাতে করে তাদের সার্বিক বিষয়টি আমলে নিয়ে যথাযথ সমাধানের জন্য বৈষম বিরোধী অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আকুল মিনতি জানায় এবং সমাধান হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আর যদি কোন সমাধান না হয় তাহলে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করার কথাও তারা বলেছেন।যা লিপিবদ্ধ করা হলোঃ
১। ৩০ শে অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় সমাবেশ এবং ডিসি ও ইউএনও গণের নিকট স্মারকলিপি প্রদান।
২। নভেম্বর মাসের প্রথমে ঢাকার ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণের মহাসমাবেশ।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০