কাশফুলের নড়াচড়াই নয়, ঢেঁকির ধুপধুাপ শব্দ ও বলে দেবী দূর্গা আসছে।
শরৎ মানেই পরিষ্কার নীল আকাশে ভেসে চলা সাদা সাদা মেঘের ভেলা, মন-প্রাণ মাতানো কাশবন ও শিউলি ফুলের গন্ধ বলে এসেছে শারদীয় দুর্গোৎসব।
সেই সঙ্গে বাংলায় শরৎ মানেই ঢ্যাম কুড় কুড় ঢাকের তাল, গ্রামের বাড়ীতে ঢেঁকির পাড়ে ধুম পড়তে থাকে নতুন ধানের চাল-আটা ও হরেক রকম নাস্তা তৈরির কাজ।
মহামায়ার আগমনে চারিদিকে তাই জমেছে বর্ণাঢ্য আনন্দময় উৎসব। সকল স্থানে হৃদয়ের উচ্ছল মুখরতা। বর্ণিল আবহে চলছে পুজোর আয়োজন। গ্রামের হিন্দু পাড়াগুলোতে নেই কোন ব্যতিক্রম, পূজা মানেই তাদের কাছে যেন ঢেঁকির ধুপধাপ শব্দে হরেক রকম নাস্তা তৈরর কারুকার্য।
কি সকাল কি বিকেল সাড়া দিন জুড়ে চলছে ঢেঁকি তে চাউল চিড়া, ধান চিড়া, জলচিড়া সহ নাস্তা তৈরির কাজ । এমনি কি ঢেঁকিতে তৈরি করা আটা দিয়ে পূজা উপলক্ষে ঘরে প্রস্তুত হবে পুলি, ভাপা, পাটিসাপটা, তেলে ভাজা, চিতইসহ নানা ধরনের বাহারি পিঠা-পুলি।
পিঠার গন্ধ ছড়িয়ে পড়বে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় শ্রী দুর্গা পূজা। এই বছর মহামায়া জগতজননী শ্রীদুর্গার আগমন ঘটেছে ঘোড়ায়।
হিন্দু পঞ্জিকামতে এবার দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ২১ অক্টোবর। অর্থাৎ ৪ ঠা কার্তিক বুধবার পঞ্চমী পড়েছে। সেদিন বিকেলে হবে দেবী দুর্গার বোধন। ২২ অক্টোবর পড়ছে মহাষষ্ঠী। মহাসপ্তমী পড়ছে ২০২০ সালের ২৩ অক্টোবর ।
মহাঅষ্টমী পড়ছে ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর। সেদিন পড়ছে ৭ কার্তিক। সেদিনই থাকছে কুমারী পূজা থেকে সন্ধিপুজোর তিথি। নবমীর দিন পড়ছে রবিবার ২৫ অক্টোবর। সেদিন থাকছে নবমীর হোম ও বলিদানের তিথিও। এবং দশমী পড়ছে ২৬ অক্টোবর।
বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা। পাঁচদিনের এই শারদীয় দুর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে বিজয়া দশমীর মধ্যে।