ঢাকা   ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পাশে “মুক্তমঞ্চে “গভীর রাত পর্যন্ত চলে মাদকের আড্ডা!

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : বুধবার, অক্টোবর ৩০, ২০২৪
  • 41 শেয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পাশেই “মুক্তমঞ্চে “প্রকাশ্য দিবালোকে চলে মাদকের রমরমা ব্যবসা ও মাদক সেবন কারীদের উশৃংখল আড্ডা। সারাদিন তো এই আড্ডা চলেই বরং রাতে এই আড্ডা আরো বেশি জমে উঠে। রাত ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এই আড্ডা হর-হামেশাই চলতে থাকে। কেউ কেউ এখানে সারারাতও থেকে যায় বলে জানা গেছে। এখানে নেই কোন প্রশাসনের পদক্ষেপ, ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা এখানে প্রকাশ্যে গাঁজা সেবন করে এবং গভীর আড্ডায় লিপ্ত হয়। নিয়মিত কিছু কিছু ছাত্র-ছাত্রীরা এখানে প্রকাশ্যে গাঁজা সেবন করে এবং নতুন নতুন ছাত্র-ছাত্রীরা এখানে এসে বন্ধুদের উৎসাহে মাদকের সাথে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে যার পরিণতি পরবর্তীতে অত্যন্ত ভয়াবহ খারাপ রূপ ধারণ করবে। এখানে ১৮-২৫ বছরের ছাত্র-ছাত্রীদের বেশি দেখা যায়। এক প্রতিবেদনে জানা যায় তারা গাঁজা সেবনের শুরুতে মনে করে গাঁজা সেবন করাটা একটা আনন্দের ব্যাপার কিন্তু পরবর্তীতে তারা অ্যাডাকটেড হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন অপরাধের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে। কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীর সাথে আলাপ করে আরো জানা যায়, প্রথমে তারা এখানে এসে বন্ধুদের সাথে গাঁজা সেবন করতো কিন্তু এখন তারা গাঁজা সেবনের পাশাপাশি নিয়মিত ইয়াবা-ও সেবণ করে। আরো বলে নতুন নতুন বন্ধু-বান্ধবীদের আমরা এখানে এনে গাঁজা সেবন করাই এবং গান-বাজনার মাধ্যমে আনন্দ দান করে থাকি এবং পরবর্তীতে তারা নিয়মিত আমাদের সাথে যুক্ত হয়। এভাবে প্রতিনিয়ত আমাদের গাঁজা সেবনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।বর্তমানে এখানে শুধু ছাত্র-ছাত্রীরাই আড্ডায় লিপ্ত হয় না পাশাপাশি বিভিন্ন বহিরাগত বখাটেরাও নিয়মিত আড্ডা জমাচ্ছে বলে তারা জানান।আর সবচাইতে দুঃখের বিষয় হলো, মাদক ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করে যাচ্ছে,যা দেখার জন্য কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেই। এরূপ অবস্থা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে দেশে অপরাধ কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে ও দেশের যুবসমাজ অন্ধকারের অতল গভীরে ডুবে যাবে এবং বহু কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ বিনষ্ট হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ও সুশীল সমাজের কাছে আকুল মিনতি উক্ত বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে মাদকের আড্ডাকে বন্ধ করা হোক।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০