ঢাকা   ১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বালু খেকোদের অভয়ারণ্য বাজিতপুরের দিলালপুর কুমারখালীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন ফায়ার সার্ভিসের ছয় কর্মকর্তার পদোন্নতি আগামী ১৮ জানুয়ারি সোনারগায়ে মাসব্যাপী লোকজ মেলা শুরু ভালুকায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি, টাকা-সোনা লুট কেরানীগঞ্জে ৩০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী পৌষ সংক্রান্তি মেলা, রক্ষাকালী মায়ের বাৎসরিক পূজা ও ঘুড়ি উৎসব নিকলী উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন: সভাপতি মিঠু, সম্পাদক হেলিম বিআইএ নির্বাচন: উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে মনোনয়নপত্র দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫) শতাধিক পণ্য ও সেবার উপর মূল্য সংযোজন কর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করায় বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

চতুর্থ দফার বন্যায় ভাসছে উত্তরাঞ্চল

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : শনিবার, অক্টোবর ৩, ২০২০
  • 140 শেয়ার
বন্যা
দেশে উত্তরাঞ্চলে চলতি মৌসুমের চতুর্থ দফা বন্যা চলছে

টানা বর্ষণ ও উজানের পানিতে দেশের উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীতে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বন্যা প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীগুলোতে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ওপর দিয়ে বানের পানি প্রবাহিত হয়েছে। ফলে এসব অঞ্চলে লাখো মানুষ পানিবন্দী, হাজার হাজার একর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

দেশে উত্তরাঞ্চলে চলতি মৌসুমের চতুর্থ দফা বন্যা চলছে। এতে দশ জেলার নিম্নাঞ্চল বানের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এর ঢেউ লেগেছে মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায়ও। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যার পানি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। কোথাও শহরের পিচ ঢালা রাস্তাও ডুবেছে পানিতে।

সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি) বলছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানির সমতল বাড়ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উভয় নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। গঙ্গা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল ছিল। অপরদিকে পদ্মা নদীর পানি সমতল বাড়ছে। এ পরিস্থিতি আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার সুরমা-কুশিয়ারা বাদে অন্য প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল দ্রুত বাড়ছে। দেশের উত্তর, উত্তর-মধ্যাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও পদ্মা অববাহিকার কিছু স্থানে নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

সংস্থাটির তথ্যমতে বন্যা কবলিত জেলাগুলো হচ্ছে- কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট। এসব জেলায় প্রবাহিত ১১টি নদী ১৬ স্থানে বইছে বিপদসীমার উপরে। নদীগুলো হচ্ছে- ঘাঘট, করতোয়া, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, গুর, আত্রাই, ধলেশ্বরী, ছোট যমুনা, আত্রাই বেতনা ও পশুর।

বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়ার স্বাভাবিক সূচির পরিবর্তন হয়েছে। এ কারণে একদিকে এবার অতি বৃষ্টি হয়েছে। আরেক দিকে মৌসুম আগে এসে যেতেও বিলম্ব করছে।

আর এ সমস্যা মোকাবেলা করছে মানুষ। তিনি বলেন, অবশ্য এর নেপথ্যে বিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তনকে একটা বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের এ ঘটনার পেছনেও মানুষের অবদান আছে। তাই মানুষকেই এর কুফল ভোগ করতে হচ্ছে।

এ বিশেষজ্ঞ বলেন, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে দেশের ভেতরে বৃষ্টির প্রবণতা আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। উজানেও বৃষ্টি হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে বানের পানি আসছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন চলতে পারে।

২৭ জুন থেকে দেশে বন্যা চলছে। পরে ১১ জুলাই দ্বিতীয় দফা বন্যা শুরু হয়। তৃতীয় দফার বন্যাটি শুরু হয়েছে ২০ জুলাই। আর চতুর্থ দফার বন্যা চলছে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০