বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
রাজধানীর সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা গুলিস্তানের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নতকরণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগের উদ্যোগে পরিবহন নেতৃবৃন্দের সাথে ট্রাফিক সচেতনতামূলক অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১২ টায় ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মইনুল হাসান পিপিএম-এর সভাপতিত্বে ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের অফিস সম্মেলন কক্ষে পরিবহন নেতৃবৃন্দ নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিভিন্ন পরিবহনের নেতৃবৃন্দ, অত্র বিভাগের এডিসি, সংশ্লিষ্ট এসি, টিআই ও উল্লেখিত এলাকার পিআই উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের অন্তর্গত গুলিস্তান রাজধানীর অন্যতম একটি ব্যস্ততম স্থান। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ লোক এ এলাকায় যাতায়াত করেন। হানিফ ফ্লাইওভার ব্যবহারকারী যানবাহনের তীব্র চাপ, ল্যান্ডিং স্থান ও গাড়ি ধারণ ক্ষমতা অপ্রতুল সর্বোপরি ৩০ ব্যানারের প্রায় সহস্রাধিক গাড়ি নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, নরসিংদীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে এ এলাকায় চলাচলের কারণে ট্রাফিক ব্যবস্থায় হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এ অবস্থায় গুলিস্তান এলাকায় যানজট সহনীয় রাখতে অংশীজন সভায় কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এগুলো হলো- (১) গুলিস্তান এলাকায় যত্রতত্র গাড়ি রাখা যাবে না (২) কোনক্রমে বাম লেন বন্ধ করা যাবে না (৩) যাত্রী না থাকলে গাড়ি এক লেনেও রাখা যাবে না; গাড়ির চাকা ঘূর্ণায়মান থাকতে হবে যাতে পিছনে যানজট সৃষ্টি না হয় (৪) ফ্লাইওভার ল্যান্ডিংয়ে যাত্রী উঠানো বা নামানোর জন্য গাড়ি কোনক্রমেই থামানো যাবে না (৫) কোনক্রমেই গাড়ি ডাবল লেন করা যাবে না (৬) গাড়ি চালানোর সময় কোন অসুস্থ প্রতিযোগিতা করে কাউকে দুর্ঘটনায় ফেলা যাবে না (৭) কোথাও এমনভাবে গাড়ি রাখা যাবে না যাতে ঐ গাড়ির জন্য অন্য গাড়ির চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়, ৮. ইতোপূর্বে মোতায়েনকৃত অত্র এলাকায় ট্রাফিক কম্যুনিটি পুলিশ অধিকতর সক্রিয় করতে হবে (৯) জেলা থেকে ছেড়ে আসা বিভিন্ন ব্যানারের গাড়িগুলো এমনভাবে রেশনিং পর্যায়ে ছাড়তে হবে যাতে গুলিস্তান এলাকায় গাড়ীর চাপ বেশি পরিলক্ষিত না হয়।
উল্লেখ্য, সভা অনুষ্ঠিত হবার পূর্বে আজ সকাল ৯ টা থেকে ১০ ঘটিকা পর্যন্ত মতিঝিল বিভাগের ডিসি ট্রাফিক মোহাম্মদ মইনুল হাসান গুলিস্তান এলাকায় চলাচলরত গাড়িগুলোর ভিডিও ধারণ পূর্বক সেগুলো সকল নেতৃবৃন্দের সম্মুখে পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপন করেন। এছাড়া নগরবাসীকে স্বস্তি দেয়ার লক্ষে কোথায় কী করণীয় এবং সমস্যাগুলো কীভাবে দূর করা যায়, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা সাপেক্ষে উপরে বর্ণিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়।