Agaminews
Dr. Neem Hakim

কাফনের কাপড় পাঠানোর তকমা দিয়ে পীরগঞ্জ টিটিসি প্রিন্সিপালকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা সাংবাদিক মাহমুদুলের


দৈনিক বিজনেস ফাইল প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫, ১:০২ পূর্বাহ্ন /
কাফনের কাপড় পাঠানোর তকমা দিয়ে পীরগঞ্জ টিটিসি প্রিন্সিপালকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা সাংবাদিক মাহমুদুলের

বিশেষ প্রতিনিধি
বিষয়টা হাস্যকর তো বটেই জঘন্যতম প্রতারণার এক অংশ বললেও ভুল হবে না। স্থানীয় সকল শ্রেণীর পেশার মানুষের মুখে একটাই কথা কামডা করলো কি ব্যাটা! একজন জাতীয় পর্যায়ের যন্ত্রশিল্পী তিনি। দেশের শীর্ষ কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন সহ সিনিয়র শিল্পীদের সাথে তাদের গান বাজিয়ে পেয়েছেন দেশী বিদেশি অসংখ্য পুরস্কার। তিনি হাউআইন গিটার শিল্পী পরিষদের অন্যতম সদস্য ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত । তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা প্রিন্সিপাল মো.মহিবুল ইসলাম। তিনি সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অত্যন্ত পরিচিত ব্যক্তিত্ব। তার স্ত্রীও একজন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী, বড় মেয়ে একজন প্রকৌশলী এবং ছোট মেয়ে ফারিহা টিভি উপস্থাপক ও সাংবাদিক। মামলার বাদী নাম সর্বস্ব এক টিভি মাধ্যমে দায়িত্বে থাকা ‘ম’ আদ্য অক্ষর নামে এক ব্যক্তি। এই ব্যক্তি সম্প্রতি প্রিন্সিপাল মহিবুল ইসলাম ও তার স্টাফদের বিরুদ্ধে মামলা করে। বলা হয় মহিবুল ইসলাম ও তার স্টাফরা তাকে হত্যার জন্য কাফনের কাপড় পাঠিয়েছে। স্থানীয়রা জানান ওই ব্যক্তি নিজেকে ভাইরাল হওয়ার জন্য ইতোপূর্বে এ ধরনের নানা নাটক করেছে। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এ ধরনের কান্ড করে পার পাওয়া যাবে না। এটা তার এক ধরনের ধান্দা মাত্র। পীরগঞ্জ থানার ওসি শফিকুর রহমান বলেন মামলা নিয়েছি এখন তদন্ত করব। মামলা মিথ্যা হলে মামলাকারীর বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। মামলা নেয়ার আগেই তদন্ত করা উচিত ছিল কিনা এই প্রশ্নে তিনি বলেন মামলা হওয়ার পরও তদন্ত করা যায়। বাস্তবে জানা যায় মামলার কাগজপত্র টাইপ হওয়ার পরে এই কাগজ বাদি নিয়ে বিবাদীদেরকে জানায় যে মামলা হয়েছে।এখন দুই লক্ষ টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে আপনাদের অনেক বিপদ হবে গ্রেপ্তার হবেন। বলেন, ওসির সাথে আমাদের কথা হয়ে আছে। ওসি বলেন স্বাক্ষর ছাড়া কাগজ থানার বাইরে গেল বুঝতে পারছি না। আমাকে blackmail করার ফল ভালো হবে না।
স্থানীয়দের বক্তব্য মাহমুদুল বা এ ধরনের প্রতারক বা প্রতারক গোষ্ঠীকেকে স্থানীয়ভাবে প্রতিরোধ করা যেমন দরকার তেমনি তাদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। তার এমডি সাথী সাহেবও মনে হয় এতটা সাহস করেননি কখনো। মাই টিভির একাধিক নাম্বারে ফোন করলেও কেউ রিসিভ করেননি।কাফনের কাপড় সংস্কৃতি আজ থেকে ১৫/২০ বছর আগের। এটা দিয়ে এখন সারাদেশে কোথাও ভয়ডর দেখায়ে আর চাঁদাবাজি করার সুযোগ নেই। সুন্দরবনে কুরিয়ার সার্ভিসে কে বা কারা ওই প্যাকেটে বুকিং করল এটা তদন্ত করে বের করতে হবে। আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়। আবার একজন সম্মানিত অসম্মান করার অধিকার কারো নেই। সঠিক তদন্তে কে দোষী আর কে নির্দোষ তা প্রমাণের সুযোগ এসেছে। এই ঘটনার মধ্যে বারবার অভিযুক্ত পীরগঞ্জ টিটিসির তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী ইন্সট্রাক্টর জিএম সুলতান জড়িত আছেন কিনা এ নিয়েও এখন প্রশ্ন উঠেছে?
বিএমইটি কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কি বলবেন?