ঢাকা   ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এফবিসিসিআইতে প্রশাসক নাকি পুনঃগঠন

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪
  • 146 শেয়ার

বিশেষ প্রতিনিধি
জীবী সদস্য শাহীন মজুমদার বলেন, আমি চাই বর্তমান কমিটি তার মেয়াদ পর্যন্ত (আর ৭ মাস) থাক। এ কমিটির মাধ্যমে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সংস্কারের ব্যবস্থা নিক।
ডা. মাহবুব হাফিজ বলেন, আমরা নতুন করে আর ভুল করতে চাই না। কমিটি ভেঙে প্রশাসক (একজন ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব) এর মাধ্যমে সংস্কার হোক।
গিয়াস উদ্দিন খোকন বলেন, জনাব সভাপতি মাহবুব আলম আর ঝামেলা বাড়ায়েন না, মানে মানে কেটে পড়েন।
কন্টিনেন্টাল কুরিয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল ইমরান চিশতী বলেন, বর্তমান পরিচালনা পরিষদ একটা ফ্যাসিস্ট সরকারের পদলেহনকারী। আমাদের কোনো উপকারে আসেনি। তাই এই পর্ষদের পদত্যাগ চাই।
বিএস প্লাস্টিক কোম্পানি লিমিডেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রব ভুইয়া (ভুলু) বলেন এফবিসিসিআইতে কতবার চাইলাম নির্বাচন করতে। কিন্তু এমন একটা ফরমেট চান্স পাইনি।


এফবিসিসিআই জীবী সদস্যদের এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন মাহবুব ইসলাম রুনু, সাবেক পরিচালক আব্দুল হক, তানভীর মোহাম্মদ দিপু, মো. ইকবাল জামান (জুয়েল), মো. আলী জামান, মো. আসলাম আলী, আতিকুর রহমান, মোক্তার চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী বাদল, রানা চৌধুরী, এমএফ ইসলাম মিলন, কবিরুল আলম চপল, মো. জহিরুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, মাহমুদুর রহমান মিলন, মো. মশিউর রহমান বিশিষ্ট সংগঠক মোহাম্মদ উল্লাহ পলাশ, বাদশা মিয়া, নাজমুল আলম (কাজল বিশ্বাস), ট্রফি ইসলাম, আরিফ হোসেন, এ হোসেন রাজীব, জাকির হোসেন নয়ন প্রমুখ।


কোন দিকে যাচ্ছে এফবিসিসিআই তা কেউ জানে না, তবে প্রশাসক নিয়োগ করলে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক ফাস্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, সবুব খান, সাবেক উপদেষ্টা তপন চৌধুরীর মত ব্যক্তিত্বদের মনোনীত করলে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবে বলে অনেকেই মনে করেন।
গতকাল বুধবার মতিঝিলের এফবিসিসিআই আইকন ভবনের নীচে জমায়েত হয়েছিল কয়েকশত ব্যবসায়ী। বক্তব্য দিয়েছেন ২০ জনের মত। অধিকাংশ বক্তার বক্তব্যে সংস্কার বা পরিবর্তনের কথা শোনা যায়। কেউ কেউ বর্তমান পরিচালনা পরিষদ ভেঙে দেবার ব্যাপারে মত দেন। উচ্চস্বরে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে বলেন সভাপতি মাহবুব আলমকে। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স ২/১ দিনে মধ্যে ভেঙে যাবে এও বক্তারা বলেন। সবচেয়ে বড় ব্যাপার সংস্কার চাইলেও কি কি বিষয়ে সংস্কার প্রয়োজন এটার সুনির্দিষ্ট কোনো এজেন্ডা এখনো পাওয়া যায়নি। তবে সংস্কার বিষয়ে বাংলাদেশ অটো রাইস মালিক এসোসিয়েশনের সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, আমি কয়েকটি প্রস্তাব দিচ্ছি (১) অটো প্রথা বাতিল করতে হবে (২) সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি, পরিচালক সর্বমোট ৩২ থেকে ৪০ জন হতে পারে। সভাপতি, সহ-সভাপতি ২ টি পদেও নির্বাচন হবে। (৩) সফরসঙ্গী (প্রধানমন্ত্রী) হতে নাম মাত্র ফিস নির্ধারণ সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা করতে হবে। (৪) নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করতে হলে কমপক্ষে এক সপ্তাহে আগে স্টেক হোল্ডারদের সাথে মত বিনিময়র করতে হবে, কেউ সিন্ডিকেট কররলে তাৎক্ষণিকভাবে তার সদস্যপদ এফবিসিসিআই, চেম্বার থেবে বাদ দিতে হবে। ট্রেড লাইসেন্স স্থগিত এবং ব্যাংক একাউন্ড বন্ধ করতে দিতে হবে। এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইন প্রয়োগ করে শাস্তি দিতে হবে। (৫) একই ব্যক্তি দু-বারের বেশি সভাপতি/ফাস্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট কিংবা ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না (৬) ঋণ খেলাপীদের ব্যাপারে তদন্ত কমিশন করতে হবে। সত্যিকার খেলাপী হলে তার জন্য সংশ্লিষ্টদের পক্ষে সুপারিশ করতে পারবে। (৭) যাদের অর্থ প্রয়োজন রিয়েলি পদের অর্থের ব্যবস্থা করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। (৮) এসোসিয়েশন/চেম্বারসমূহে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে হবে। (৯) সরকারি প্রতিষ্ঠানে একই ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১টি পদে মনোনীত হবার সুযোগ পাবে। (১০) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (বাণিজ্য সংগঠন) কে ব্যবসা-বাণিজ্য, সংগঠন আইন সম্বন্ধে পর্যাপ্ত ধারণা থাকতে হবে। প্রয়োজনে এ পদে একটি কমিশন বা বোর্ড থাকতে পারে।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০