বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
দৈনিক বিজনেস ফাইলের উদ্যোগে জাতীয় অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল (১/৩/২৫) শনিবার রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। দৈনিক বিজনেস ফাইল সম্পাদক অভি চৌধুরী সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন খন্দকার গ্রুপের চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী নেতা খন্দকার রুহুল আমিন , ঢাকা ট্যাক্স বার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আব্বাস উদ্দিন,নতুনধরা এসেটস নির্বাহী পরিচালক (এডমিন) আব্দুস সাত্তার শেখ, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডক্টর অলিউল্লাহ, উপমহাদেশের আলোচিত উপস্থাপক ও এসএমই সংগঠক ট্রফি ইসলাম, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট কুলসুম উম্মে বেগম রেখা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পরিচালক ড.ফরহাদ আহমেদ, এসএমই ফাউন্ডেশন ইনকিউবেটিক ফোরাম প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ডা হাসান আহমেদ মেহেদী,মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও সংগঠক আব্দুল্লাহ আল মাসুম, ডা.উজ্জ্বল রায়, জাতীয় প্রেসক্লাব সদস্য মোশাররফ হোসেন, এফবিসিসিআই সদস্য আসলাম আলী, সরকার সালাউদ্দিন, আব্দুস সালাম, মোহাম্মদ নাজমুল করিম কাজল, আনজামুল আলম মুনীর, আনিসুর রহমান মিশু,আবুল হোসেন সিকদার,শেখ বাদশা উদ্দিন মিন্টু নুরুল হক, মাহবুব আলম খান, নুর উদ্দিন আহমেদ নুর ইসলাম শেখ ফজলুর রহমান, ডাক্তার সেলিম মাহমুদ এম শিমুল খান, শেখ শাহীন রেজা, খ্যাতনামা কন্ঠশিল্পী ফকির আলমগীর, অমর হাওলাদার, দিলদার হেসেন, নুর আলম, ইঞ্জিনিয়ার সুনির্মল মন্ডল, বিজনেস ফাইলের গাজীপুর প্রতিনিধি নুরুল হক, মাওলানা ইয়াসিন আলী প্রমুখ।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মোশারফ হোসেন মঞ্জু। অনুষ্ঠান সহযোগিতায় এম কে আলম কোভিদ আহমেদ তালুকদার, নাসির উদ্দিন সিদ্দিকী, কাঞ্চনা হাবিব, শামসুল আলম, আক্কাস আলী, পলাশ চন্দ্র দাস, আন্তর্জাতিক পর্যায়ের চিত্র গ্রাহক ফজিত সেখ বাবু, উপস্থাপনা হাবিবা আক্তার মারিয়া।
২০০ অধিক বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে প্রধান অতিথি এডভোকেট ফজলুর তার বক্তব্যে বলেন আমাদের আগামী দিনের দিকে তাকাতে হবে। অনেক সমস্যা রয়েছে কিন্তু সেদিকে না হেঁটে কেউ কেউ অন্যদিকে হাঁটছে। আবার সরকারও মাঝে মাঝে কাঁচা কাঁচা কথা বলছে। আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি মুক্তিযুদ্ধ থাকবে মুক্তিযুদ্ধকে সামনে রেখেই আমাদের গণতন্ত্রের পথে এগোতে হবে তবেই আমাদের মুক্তি সম্ভব। যখন শুনি মুক্তিযুদ্ধ কিছু না তখন শরীরে কাঁপন যাবে এটা সহ্য করার মতো নয়। আমি যে যুদ্ধে গিয়েছি তখন আমার বয়স ২৩/২৪ বছর। ভাগ্নে বলল মামা আমাকে দেখে রেখো। সে মা পাগল হয়ে মারা গেছে। এটা আমি ভুলবো কিভাবে?
বঙ্গবন্ধু মৃত্যুর পর আমি আর আওয়ামী লীগের কোনো অফিসে যাইনি। শেখ হাসিনা দেশটাকে যে পর্যায়ে নিয়ে গেছে এখানে এখন সংস্কার যেমন দরকার তেমনি নির্বাচনটাও দ্রুত দরকার যেটা ম্যাডাম খালেদা জিয়া তার নাতিদীর্ঘ বক্তব্যে ভার্চুয়ালি বলেছেন। সাধারণ জনগণ যাদের দায়িত্ব দেবে তারাই সরকার আসবে। কিছু রাজনৈতিক দলের আস্ফালন থেকে আমি অবাক হই। আমাকে হুমকি দেয়া হয়েছে বারবার। কিন্তু আমি আমার সহধর্মিনী এবং আমার সন্তানদের কি করণীয় তা বলে রেখেছি। যতক্ষণ দেহে ততক্ষণ মানুষের অধিকারের কথা বলে যাব। আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব, মন্ত্রিত্ব চাই না। কিন্তু অসত্যের বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ সব সময় চলবে। এফবিসিসিআইর এক নেতা বলেন এখানে সংস্কারের নামে চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে, সংস্কারের নামে বিভক্তি চলছে, যে কার্যক্রম চলছে তাতে মনে হয় না আগামীতে এফবিসিসিআইতে ভালো কিছু হবে। তবে তিনি বলেন ব্যবসায়ীদের সরকারের সাথে সুসম্পর্ক থাকা দরকার। তার মানে আপনারা রাজনীতি করে এফবিসিসিআইয়ের বারোটা বাজাবেন না। আজকে ব্যবসায়ীদের উপর চাপিয়ে দেয়া ভ্যাট ট্যাক্সের সমাধান দেবার মত মানুষ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু ইদানিং কেউ কেউ এফবিসিসিআইর বড় নেতা হওয়ার জন্য খুব ছোটা ছুটি করছে। খবর নিয়ে দেখা গেছে তাদের ঘরের অবস্থা ভালো নয়।
ব্যবসায়ীদের সমস্যা এখন কে দেখবে তিনি প্রশ্ন করেন? বক্তব্য রাখতে গিয়ে ঢাকা চেম্বারের এক নেতা বলেন শুনতেই তালগাছ কিন্তু ঘটি ডোবে না। কেউ কেউ সংস্কারের নামে সময় ক্ষেপণ করতে চায় কিন্তু সরকারকে এটা বুঝতে হবে আর্থিক সেক্টর, ব্যবসা সেক্টর এলোমেলো হয়ে গেলে বাহাদুরি করে লাভ নাই। নিজেদের ঐক্য ধরে রেখে এগিয়ে যেতে হবে কিন্তু এখন চলছে বিভক্তি আর ভাগাভাগির মৌসুম। এই জায়গা থেকে এখনই বের হয়ে আসা প্রয়োজন। নইলে সামনে ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক সমস্যা হয়ে যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে ইলেকট্রনিক মিডিয়া পার্টনার চ্যানেলআই ও বিজনেস টিভি।
বিজনেস ফাইল সম্পাদক অভি চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন আগামীতে মানুষ যেন বলে সকালের চায়ের চুমুকের সাথে চাই এক কপি দৈনিক বিজনেস ফাইল। এ প্রত্যাশাকে সামনে রেখে আগামীতে যেন বিজনেস ফাইল এগিয়ে যায় এমন আকাঙ্ক্ষা আমাদের রয়েছে। এর জন্য চাই সকলের দোয়া। ১৮ বছরে আমাদের যে অর্জন বিজনেস সেক্টরে তা মনে রাখার মত। অনুষ্ঠানে দেশজ সংগীত, আবৃতি উপস্থিত দর্শকদের হৃদয়ে কেড়ে নেয়।