লিভার প্রতিস্থাপন হওয়া ভারতের প্রথম শিশু নিজেই আজ চিকিৎসক
Dainik Business File: নভেম্বর ২০, ২০২৩
বয়স যখন মাত্র ২০ মাস তখন জানা যায়, শরীরে রয়েছে বড় জটিলতা। লিভার প্রতিস্থাপন ছাড়া বাঁচানো যাবে না। তারপর ছেলের জীবন বাঁচাতে লিভার দান করেন বাবা। সেটি ছিল ভারতে প্রথম কোনো লিভার প্রতিস্থাপনের ঘটনা। ২৫ বছর পর সেই শিশুই আজ টগবগে যুবক। হয়েছেন প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক। তামিলনাড়ুর বাসিন্দা সঞ্জয় কান্দাস্বামীর জীবনের এই ঘটনা রূপকথাকেও হার মানাতে পারে। ঘটনার শুরু ১৯৯৮ সালে। দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশু সঞ্জয়কে। জন্ম থেকেই বিলিয়ারি আর্টেসিয়া নামে এক ধরনের লিভারের রোগে আক্রান্ত ছিল সে। লিভার থেকে গলব্লাডার পর্যন্ত যে নালি, তা বন্ধ ছিল এই অসুস্থতার কারণে। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, যকৃৎ প্রতিস্থাপন না হলে সঞ্জয়কে বাঁচানো যাবে না। ছেলের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসেন বাবা, দান করেন লিভার। দুই যুগ আগে ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালে জটিল সেই অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়, যা ছিল ভারতে প্রথম কোনো শিশুর শরীরে লিভার প্রতিস্থাপন। এরপর একটু একটু করে সুস্থ হয়ে ওঠেন সঞ্জয়। একটু বড় হওয়ার পর মা-বাবার মুখে শুনতেন সেই গল্প। তখনই স্থির করেন, একদিন যারা তার জীবন বাঁচিয়েছিলেন, বড় হয়ে ঠিক তাদেরই মতো হবেন। বাস্তবে তা-ই করে দেখালেন সঞ্জয় কান্দাস্বামী। আজ প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক তিনি। যে কথা জেনে আবেগে আপ্লুত সেদিনের চিকিৎসকরা। তাদের মধ্যে অন্যতম ডা. অনুপম সিবাল। তিনি বলেন, লিভার প্রতিস্থাপনে দীর্ঘ এবং রোগমুক্ত জীবন পাওয়া যে সম্ভব, সঞ্জয় তার উদাহরণ। আর সঞ্জয় বলেন, খুব কাছ থেকে যখন চিকিৎসকদের দেখেছি, তখনই ঠিক করি বড় হয়ে ডাক্তার হব। মানুষের জীবন বাঁচানোয় আমারও কিছু অবদান থাকুক, সেটাই আমি চাই। এ কথাও বোঝাতে চাই, ইচ্ছে থাকলে জীবনের সব বাধা অতিক্রম করা সম্ভব।সম্পাদক- অভি চৌধুরী।
যোগাযোগ: ৫১/৫১/এ রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (লেভেল-৩), স্যুট-৪০৫, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
ফোন:০২-২২৩৩৫৭০৭৩ মোবাইল: ০১৭১১-৫২০০৪৬, ০১৮১৯-২২৬১৬০। ই-মেইল: dainikbusinessfile@gmail.com