শামসুল হুদার সফল ব্যবসায়ী হওয়ার গল্প

Dainik Business File: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৫

শামসুল হুদার সফল ব্যবসায়ী হওয়ার গল্প বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক পহেলা জুলাই ১৯৫২ সালে বগুড়ার নেমাজঘর সদর থানায় জন্ম হয় মো. শামসুল হুদা। পিতা আব্দুল সকুর খানের তিন ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে সামসুল হুদা তৃতীয় সন্তান। ছোটবেলা থেকেই শামসুল হুদা ছিলেন মেধাবী, দয়ালু, পরিশ্রমীসহ নানা গুনে গুণান্বিত। শামসুল হুদা বলেন, জীবনে সফল হতে হলে পরিশ্রম এবং কাজের কোন বিকল্প নেই। কাজ করতে আমার অনেক ভালো লাগে, কাজের মধ্যে ডুবে থেকেছি জীবনভর। প্রচন্ড পরিশ্রম করে আজ আমি একজন সফল ব্যবসায়ী হয়েছি। আমার জীবনে সকল ব্যবসায় লাভ করেছি খুব কম এবং সেল করেছি অনেক বেশি। আল্লাহর বিধান মেনে চলতে আমার খুব ভালো লাগে। পরিশ্রম করে আজ আমি এস আর ট্রাক্টরস লিমিটেড এর সত্বাধিকারী। পরিবহন ব্যবসা আমাদের বংশগত ব্যবসা। এছাড়া আমার আরো কয়েকটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলোর হলো রয়েছে-ফার্ম ট্রাক্টর পার্টস কোঃ, মার্শাল ট্রেডার্স, বিআরটিসি কুরিয়ার সার্ভিস এন্ড পার্সেল, সোল ডিস্ট্রিবিউশন ইত্যাদি। সরকারকে নিয়মিতভাবে কর প্রদান করে থাকি যা দেশের অর্থনীতি উন্নয়নের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জনাব শামসুল হুদা তার শখের কথা বলতে গিয়ে আরো বলেন - যুবক বয়সে অনেক সিনেমা দেখতাম, সময় পেলেই বেইলি রোডে অনেক নাটক দেখতাম। গান গাইতে এবং উর্দু গান শুনতে আমার খুব ভালো লাগে। শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি আমার জীবনের একটা অবিচ্ছিন্ন অংশ। উপমহাদেশের স্বনামধন্য শিল্পী জাগজিৎ সিং , মোহাম্মদ রফি, মেহেদী হাসান আমার অত্যন্ত প্রিয় শিল্পী। আমি নিজেও উর্দু গান বিভিন্ন অনুষ্ঠানে করে থাকি। শামসুল হুদাদুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আরো বলেন - গরিব ও দুঃখীদের জন্য আমার মন সবসময়ই কেঁদে ওঠে। গরিব - দুঃখীদের সাহায্য ও সহযোগিতা করতে আমার অনেক ভালো লাগে। পৃথিবীর সকল সৃষ্টি এক আল্লাহর সৃষ্টি। সকল সৃষ্টির মধ্যে আমি আল্লাহর দর্শন খুঁজে পাই। গরিব মেধাবীদের পড়াশোনার জন্য তিনি সবসময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। আগামী প্রজন্মকে ভালোমতো পড়াশোনা করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি আকুল আহ্বান করেন। তিনি জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন। যেকোনো শুভ কাজের মধ্যে তিনি নিজেকে জড়িয়ে রাখতে চান। তিনি বলেন মানুষের মায়া কবর পর্যন্ত। কিন্তু ভালো কাজ করে যেতে পারলে মৃত্যুর পরও মানুষের মনের মনি কোঠায় চির অম্লান হয়ে থাকা যায়, এটাই আমার বিশ্বাস। তাই যতদিন বেঁচে থাকব ভালো কাজ করে যাব এবং মানুষের উপকার করে যাব এটাই আল্লাহর কাছে আমার একমাত্র ফরিয়াদ।

সম্পাদক- অভি চৌধুরী।

যোগাযোগ: ৫১/৫১/এ রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (লেভেল-৩), স্যুট-৪০৫, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
ফোন:০২-২২৩৩৫৭০৭৩ মোবাইল: ০১৭১১-৫২০০৪৬, ০১৮১৯-২২৬১৬০। ই-মেইল: dainikbusinessfile@gmail.com