শেরপুরে মিথ্যা প্রেমে এবার ফাঁসলেন মুন্সীগঞ্জের তরুণী, অবশেষে বিয়ে

Dainik Business File: জানুয়ারি ১৯, ২০২৫

শেরপুরে মিথ্যা প্রেমে এবার ফাঁসলেন মুন্সীগঞ্জের তরুণী, অবশেষে বিয়ে নাহিদুল হাসান নাহিদ, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি ভালোবাসার মানুষকে জীবন সঙ্গী করতে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে শেরপুরে এলেন মুন্সিগঞ্জের এক হিন্দু তরুণী। জেলা শেরপুরে আসা ২৭ বছর বয়সী মুন্সিগঞ্জের ওই হিন্দু তরুণীর নাম বিভা রাজবংশী। শেরপুর জেলার সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের সাপমারী কামারবাড়ি এলাকার হযরত আলীর ছেলে শিপনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। জানা গেছে, শেরপুর জেলার সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের কামারবাড়ি এলাকার হযরত আলীর ছেলে শিপন ফেসবুকে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার রাজানগর গ্রামের শংকর রাজবংশীর মেয়ে বিভা রাজবংশীর সাথে পরিচয় হয় তার। এরপর দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। দু’জনের মধ্যে দেখা এবং অর্থ-লেনদেন হয়। সম্পর্কের প্রায় এক বছরের গড়লে প্রেমের টানে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার রাজানগর গ্রামের শংকর রাজবংশীর মেয়ে বিভা রাজবংশী (২৭) হিন্দু তরুণী ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের কামারবাড়ি এলাকার হযরত আলী ছেলে শিপনের কাছে ছুটে আসেন। বিভা হিন্দু ধর্মের হওয়ায় ছেলের পরিবার মেনে না নিয়ে তাকে মারধর করে বাড়িতে চলে যেতে বলেন। বিভাকে অটোরিকশা করে নিয়ে যাওয়ার পথে ভাতশালা এলাকায় দুজনের মধ্যে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা গ্রামের লোকজন টের পেয়ে স্থানীয় একটি বাড়িতে আটক করে। পরে এলাকাবাসী মেয়েকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, ইউপি মেম্বার সহ স্থানীয়দের মতামতের ভিত্তিতে ৮ লাখ টাকা কাবিনে ও মেয়ের নামে জমি লিখে দেয়ার সম্মতিক্রমে তাদেরকে বিবাহ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শেরপুর নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে সমক্ষে স্বেচ্ছায় হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে বিভা রাজবংশী থেকে মরিয়ম নামে এভিডেভিড করে ইসলাম ধর্মগ্রহন করেন। পরে স্থানীয় কাজি অফিসে তাদের দুজনের বিয়ের কাজ সম্পুর্ণ হয়। বিভা রাজবংশী জানান, প্রায় বছরখানেক আগে ফেসবুকে শিপনের সাথে পরিচয় হয়। পরে আস্তে আস্তে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তার সাথে। তাকে বিয়ে করতে আমি বাড়ি থেকে চলে আসছি। আমরা বিয়ে করে সংসার করতে চায়। শিপন আহমেদ জানান, আমাদের পরিচয় হয় ফেসবুকের মাধ্যমে। আমরা দুজনে দুজনকে পছন্দ করি। তিনি মুন্সীগঞ্জ থেকে আমার কাছে চলে আসছে। আমি তাকে জীবন সঙ্গী হিসেবে মেনে নিয়েছি। ৭নং ভাতশালা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন বলেন, মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা তরুণীকে রাস্তা থেকে নিয়ে এসে ইউনিয়ন পরিষদে সকলের উপস্থিতি ও মতামতের ভিত্তিতে ৮ লাখ টাকা কাবিন ও তার নামে জমি লিখে দেয়ার স্বীকারোক্তিতে তাদেরকে বিবাহ দেয়া হয়।

সম্পাদক- অভি চৌধুরী।

যোগাযোগ: ৫১/৫১/এ রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (লেভেল-৩), স্যুট-৪০৫, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
ফোন:০২-২২৩৩৫৭০৭৩ মোবাইল: ০১৭১১-৫২০০৪৬, ০১৮১৯-২২৬১৬০। ই-মেইল: dainikbusinessfile@gmail.com