অনিয়ম ও তদারকির অভাবে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুযোগ সত্ত্বেও বেসরকারিতে ভীড়
Dainik Business File: ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
আলি জামশেদ শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতিই আত্মনির্ভরশীল হতে পরে না। তাই শিক্ষাকে জাতির মেরুদন্ড হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার বরাবরই নানামুখী ব্যয় বহুল কর্মসূচিও গ্রহণ করে থাকে। জাতির উন্নতির লক্ষ্যে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের পাশাপাশি প্রতিবছরই এ সেক্টরে তুলনামূলক ব্যয় বরাদ্দও বেশি দিয়ে থাকে। তবুও এই সেক্টরে নানাবিধ অনিয়ম, তদারকির অভাব আর ব্যর্থতার চিত্র উঠে আসে সরেজমিনে। কিশোরগঞ্জের নিকলী, বাজিতপুরসহ বেশ কিছু উপজেলা ও তৎসংলগ্ন হাওর অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা মিলে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের ভীড় বেশি। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খরচও তুলনামূলক বেশি। অনেক অভিভাবক অভাব অনটনের মধ্যে থেকেও কেন অধিক আগ্রহ দেখায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রতি। জানা গেছে অনেক অভিভাবক আবার কিন্ডারগার্টেনের পাশাপাশি সরকারিতেও ভর্তি রাখেন বলে সরেজমিনে এ তথ্য উঠে আসে। বিশেষ করে জানুয়ারি মাস এলে এ নিয়ে সমালোচনার যেনো অন্ত থাকে না। তবে এই সহজ প্রশ্নের উত্তর অনেকের মাঝে বয়ে বেড়ালেও সচেতন মহল প্রথমে প্রশাসনের তদারকির অভাবকেই এর জন্যে দায়ী করেন। পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতনতাকেও দায়ী বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। সাধারণের ভাষ্যমতে শিক্ষা ব্যবস্থাপনার কলাকৌশল এবং শিক্ষকদের সেবার মানের অসন্তোষই এর জন্যে অনেকাংশে দায়ী। সমালোচনা রয়েছে সরকারিভাবে শিক্ষকদের যথেষ্ট মূল্যায়নের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও দেয়া হচ্ছে উপবৃত্তি এমনকি কোথাও কোথাও মিড ডে মিল পর্যন্ত চালু রয়েছে। এতোকিছু সত্বেও কেন প্রাথমিক পর্যায়ের সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আগ্রহ কমতে শুরু করেছে এই রহস্যময় প্রশ্নও এখন অনেকের মাঝে। এর জবাব প্রশ্নবিদ্ধ। এই সুযোগে অর্থনৈতিক সুযোগ নিচ্ছে কিন্ডারগার্টেনসহ বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও শিক্ষকরা। সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সমালোচনা রয়েছে কিন্ডারগার্টেনে চিরাচরিত নিয়মের গদবান্দা কিছু কবিতা ও গল্প মুখাস্থ করিয়ে অভিভাবকদের মন জয় করে থাকে। এ শিক্ষায় শিশুদের প্রকৃত মেধার বিকাশ ঘটে না। সরকারি শিক্ষকদের গুণগত মান ভালো, শিক্ষা কারিকুলামও মান সম্মত। যা শিশুদের মনন ও বিকাশে সহায়ক। তবে কিন্ডারগার্টেনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে তারা শিশুদের খুব কাছে গিয়ে যত্ন সহকারে শিক্ষা ও বিনোদন দিয়ে থাকেন। যে কারণে সেখানকার রেজাল্ট তুলনামূলক ভালো হয়ে থাকে। জাতীয় পর্যায়ের ৩৩ ভাগ অধ্যয়ন করে কিন্ডারগার্টেনে। বৃত্তির পরিমাণও অধিক। ফল স্বরূপে শিক্ষার্থীরাও অধিক আগ্রহ দেখায়। তবে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় ও উন্নত মানের সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে আগ্রহের কোন কমতি নেই বলে জানা গেছে। সেখানকার চিত্র অনেকটা ব্যতিক্রমী। নিকলীতে একাধিক কেইস স্টাডিতে দেখা গেছে উপজেলায় মোট প্রাথমিক শিক্ষকের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৮ জন আর শিক্ষার্থী প্রায় ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার। নিকলীতে প্রাইমারীর সংখ্যা ৬০টি। এরি মধ্যে প্রধান শিক্ষক রয়েছে মাত্র ২৬ জন। সহকারী ৩২৬টি কর্মপদের মধ্যে ৩৩টি পদ এখনো শূন্য রয়েছে। তাছাড়া নারী শিক্ষকের সংখ্যা সরকারী তথ্যমতে প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি। নারীদের মাতৃ কালীন ছুটি, পিটিআইয়ের ট্রেনিংসহ বিভিন্ন ধরণের ছুটির কারণে পাঠদান ব্যাহতের চিত্র উঠে আসে সরেজমিনে। অপরদিকে অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিকলীতে নিবন্ধিত কিন্ডারগার্টেনের সংখ্যা ২৫টি, অনিবন্ধিত আরও ৮টি হলেও বিভিন্ন সংস্থার দেয়া ভাসমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও কোন অশে কম নয়। তবে সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সংখ্যা তুলনামূলক হাওর অঞ্চলগুলোতে দিন দিন বেড়েই চলেছে। সচেতন মহলের ভাষ্য শিক্ষার এই বাস্তবতার চিত্র শুধু নিকলীতেই নয় বরং এটা বাংলাদেশের একটি খন্ডচিত্র। অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুধু প্রাইমারি ক্ষেত্রে নয়, গ্রাম অঞ্চলের অধিকাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর দিকে নজর দিতেই সেখানেও অনিয়মের চিত্র ফুটে উঠে। অসংখ্য শিক্ষকরা শ্রেণী কক্ষে শতভাগ গুরুত্ব না দিয়ে শিক্ষার্থীদের কোচিং বাণিজ্যের কৌশলের ফাঁদে ফেলে অর্থনৈতিক ফায়দা লুটে। বিশেষ করে যে সকল স্কুলে খন্ডকালীন শিক্ষক থাকে তারাই অধিক বেপোরোয়া হয়ে থাকে কোচিং বাণিজ্যের নেশায়। এমন বাস্তবতায় তদারকির যথেষ্ট অভাব থেকে মনে হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যবস্থা যেনো বানিজ্যমনা হয়ে উঠেছে। নিকলী ও বাজিতপুরে অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে দেখা নানান অনিয়ম বানিজ্যের চিত্র। এরিমধ্যে নিকলীর জারইতলা স্কুল এন্ড কলেজের ন্যায় অসংখ্য বিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষকদের পাশাপাশি স্থায়ী শিক্ষরাও কোচিং বাণিজ্যের সাথে জড়িত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথেই খুলে বসেছে জারইতলার ন্যায় অসংখ্য স্থানে কোচিং সেন্টারের নামে রমারমা ব্যবসা! রাতারাতি অনেকে বনে যাচ্ছেন অগাধ টাকার মালিকও। নিকলী জারইতলার গ্রীণর্বাড কিন্ডারগার্টেনের মালিক সাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধেও দীর্ঘদিন থেকেই দুর্নীতির সীমাহীন অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় আ’লীগ নেতাকর্মীদের ছত্রছায়াতে দিব্যি নানান অপকর্মের সুযোগে শিশুদের বই বানিজ্য থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন মূলক কাজের নামে, গণপাঠাগারের নামেও জেলা পরিষদের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের বিষয়ে একাধিক সময়ে গণমাধ্যমে শীর্ষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। শাহিদুল কিন্ডারগার্টেন পরিচালনার পাশাপাশি মন্ডলভোগ হাইস্কুলের শিক্ষকতায়ও জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পূজি করে তিনি লুটে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। প্রায় দেড় যুগের ব্যবধানে তিনি কোটি কোটি টাকার মালিকও বনে গেছেন স্থানীয়ভাবে এ গুঞ্জন সরব। বাজিতপুর পৌর এলাকার ভাগলপুরে বিলাস বহুল ৫তলাবিশিষ্ট বিল্ডিংসহ একাধিক স্থানে গড়ে তুলেছেন একাধিক স্থাপনা। রসুলপুর হানিফ ভূইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছাকাছি এলাকায় তার কিন্ডারগার্টেন। এখানে নার্সারি থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করে থাকেন। বিনিময়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে। জানা গেছে তার প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। প্লে থেকে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত ভর্তি ফি ১ হাজার ৫০০ টাকা। প্লে থেকে ৪র্থ ২৫০ আর ক্রমান্বয়ে ৪০০ পর্যন্ত বেতন নিচ্ছেন। ডে-কেয়ার সেবার নামে শ্রেণী কক্ষেই প্রাইভেটের ছলে আরও অতিরিক্ত সমপরিমাণ বেতনের ছলে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। তবে সাহিদুল ইসলামের ভাষ্যমতে বোর্ডের লোকজন বইয়ের অতিরিক্ত মূল্য বসিয়ে থাকেন। এই বিষয়ে তার কোন হাত নেই। কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন ব্যবসা করে। এছাড়া আ’লীগের পদ পদবীতে তার কোন নাম নেই। তবে নেতাকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক থাকায় উন্নয়ন কাজের সুযোগ পেয়েছেন বলে এক পর্যায়ে স্বীকার করেন। এছাড়া বাজিতপুর উপজেলায়ও বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভয়াবহ বানিজ্য নিয়ে তোলপাড় গোটা উপজেলায়। সেখানকার আফতাব উদ্দিন স্কুল এন্ডি কলেজেও অতিরিক্ত ভর্তী ফি থেকে শুরু করে নেয়া হয়ে থাকে মাসিক বেতনও। জানা গেছে এখানে গত ২০২৪ সেশনে ৭শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণীতে ভর্তি ফি বাবদ নেয়া হয়েছে ৪ হাজার ৮শ’ ৮০ টাকা। এছাড়াও মাসিক বতন ৭৫০ টাকা করে। এই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য শ্রেণীকক্ষের ভর্তি এবং বেতন ফিও কাছাকাছি। তবে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ মাসুম মিয়ার ভাষ্য: তাদের শিক্ষার মান ভালো এবং একাডেমীক ক্যালেন্ডার ডায়েরীসহ বিভিন্ন শিক্ষা সহায়তার ডকুমেন্ট দেয়ার কারণে আশেপাশের তুলনায় কিছুটা পার্থক্য হয়ে থাকতে পারে। তবে শিক্ষা বোর্ডের অনুমতি মেনেই চলেছেন বলেও তিনি দাবি করেন। তবে অভিভাবকদের অভিযোগ প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করে একাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বেতন ও ভর্তি ফি কয়েকগুণ বেশি নিলেও যেনো আইনিভাবে দেখার কেউ নেই। এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জের মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সামছুন নাহার মাকসুদার ০১৭২৬২০২১৬৪ এই নাম্বারে ২১ ডিসেম্বর দুপুরে ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় পর্যায়ে অসংখ্য প্রাথমিক এবং উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সাথে কথা তাদের ধারণাও দিন দিন কওমী এবং এবতেদায়ী মাদ্রাসার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্কুলগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা জনসংখ্যা বৃদ্ধির তুলনায় কিছুটা নিন্মগামী। বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন বোর্ডের কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি মোস্তফা আহমেদ জানান, ১৩টি উপজেলায় প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। ২ হাজারের কাছাকাছি তাদের শিক্ষক রয়েছে। শিশুদের অতিরিক্ত বই চাপিয়ে দেয়ার জবাব প্রসঙ্গে প্লে থেকে প্রথম শ্রেণী পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৬টি বই বাকী ৫ম থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত ৯টি বই দিয়ে থাকেন বলে দাবি তোলেন। অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেননি। জাতীয় পর্যায়ের প্রায় ৩৩ ভাগ শিক্ষার্থী কিন্ডারগার্টেনের এবং ৯০ ভাগ বৃত্তি তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে পায় বলেও উল্লেখ করেন। বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন বোর্ডের মহাসচিব অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলীর সাথে কথা হলে তিনি কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার মান প্রসংসনীয় বলে দাবি তোলেন। সাম্প্রতিক ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর ১ হাজার প্রতিষ্ঠানের অধীনে ৪০ হাজার শিক্ষার্থী প্রথম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত বৃত্তি দিচ্ছে বলেও জানান। পাশাপাশি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় কিন্ডারগার্টেন এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অধিক বৃত্তি পায় বলেও উল্লেখ করেন। যদিও তারা সরকারিভাবে সাহায্য সহযোগিতা তেমন একটা পাননি বলে দাবি তোলেন। কিন্ডারগার্টেনে বই বানিজ্য থেকে শুরু করে অন্যান্য বানিজ্য বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ভিন্ন অজুহাতে পাশ কাটিয়ে যান। জবাবে কেহ ব্যক্তিগতভাবে বাণিজ্য করলে তারা দায়ী নন বলেও উল্লেখ করেন। নিকলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা অফিসার নাসিমা বেগম বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মান আগের তুলনায় অধিক ভালো হতে চলেছে। নিঃসন্দেহে তদারকির পরিমানও বাড়ছে। প্রাথমিকের শিক্ষকরাও দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছে, হচ্ছে নিয়মিত মা সমাবেশও। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মজিব আলমের কাছে জানতে চাওয়া হয় দিন দিন কেন প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেসরকারি বা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা তুলনামূলক বাড়ছে? জবাবে তিনিও অভিভাবক মহলের অনেকটা ভ্রান্ত ধারণাকেই দায়ী করেন। পাশাপাশি সরকারি শিক্ষা কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের মানসিক এবং শারীরিক বিকাশ দিক বিবেচনা করে পাঠদান করা হয়ে থাকে বলে দাবি তোলেন। তবে ব্যর্থতার দায় সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলেন। প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিজি ড. মো. আব্দুল হাকিম এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের শিক্ষা ও শিক্ষকদের মান ভালো থাকা সত্বেও অভিভাবকদের মাঝে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। যে কারণে উৎসাহে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে সরকারিভাবে নানাবিধ সুযোগ সুবিধার কথাও তিনি সংক্ষিপ্ত পরিসরে তুলে ধরেন। লেখক: সাংবাদিক।সম্পাদক- অভি চৌধুরী।
যোগাযোগ: ৫১/৫১/এ রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (লেভেল-৩), স্যুট-৪০৫, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
ফোন:০২-২২৩৩৫৭০৭৩ মোবাইল: ০১৭১১-৫২০০৪৬, ০১৮১৯-২২৬১৬০। ই-মেইল: dainikbusinessfile@gmail.com