বাজিতপুরে সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি
Dainik Business File: অক্টোবর ২, ২০২৪
বাজিতপুর প্রতিনিধি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি ও স্মারকলিপি দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকবৃন্দ। গতকাল বিকেলে বাজিতপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত ওই কর্মসূচিতে বাজিতপুর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকশ সহকারী শিক্ষক অংশ নেন। মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারশিদ বিন এনাম-এর কাছে সহকারী শিক্ষক ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন কমিটির একটি প্রতিনিধি দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন সহকারী শিক্ষক ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন (ঘোড়াদারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) ও সদস্য সচিব রাজিব আহম্মেদ (মাইজচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়)। আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব ছাড়াও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক, সায়েম খান, ফজলে এলাহি, এসএম তানাজ, সংকর চক্রবর্তী, তোফাজ্জল হোসেন, আলেকিন, শাহপরান, শরীফুল ইসলাম, মোজাহেদুল ইসলাম, ইমরান, মুস্তাফিজ রহমান, আব্দুস সালাম, আরিফুল হক, ওয়াহিদ লাভলু, মোহাম্মদ ইমরান মিয়া, আবু রায়হান, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, রোকসানা শিল্পী, শারমিন আক্তার, আকরাম হোসেন, মোফাজ্জল, তাহমিনা আক্তার, জামিল, সুমা দেবী, নাসির হুসেইন, নুরু মিয়া, মাসুম, মিনহাজ, মেজবাহ, মোজ্জামেল, মাসুদ রানা, শাহ সোহাগ, ফজলু রহমান, রতন দে, মুখলেস রহমান, এনাক্ষী দাস, উত্তম কুমার পোদ্দার, রেজাউল করিম, ফেরদৌস কবির, আইনউদ্দিন, মোহাম্মদ জাহিদ হুসেন। মানববন্ধনে শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, একই যোগ্যতায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও তারা তৃতীয় শ্রেণির গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। অথচ তাদের সমান যোগ্যতায় অনেকেই দশম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। এটা স্পষ্টতই একটা বড় বৈষম্য। তাদের দাবি, উচ্চ মাধ্যমিক এবং ডিপ্লোমা পাসের যোগ্যতায় নার্সরা জাতীয় পে-স্কেলের দশম গ্রেড পাচ্ছেন। একইভাবে উচ্চ মাধ্যমিকসহ ৪ বছরের ডিপ্লোমা যোগ্যতায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা দশম গ্রেড, পুলিশের এসআইরা স্নাতক যোগ্যতায় দশম গ্রেড এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা একই শিক্ষাগত যোগ্যতায় দশম গ্রেড পাচ্ছেন। সহকারী শিক্ষকদের বর্তমান বেতন হয় ১৩তম গ্রেডে। সেটা দশম গ্রেডে উন্নীতের দাবিতে বেশ কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন সহকারী শিক্ষকরা। মানববন্ধনে তারা আরো বলেন, ৯ বছর আগে ২০১৫ সালে সর্বশেষ যে জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই পে-স্কেলেও প্রাথমিক শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হয়। কিন্তু এই সময়ে যে হারে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, তাতে প্রাথমিক শিক্ষকরা সংসার চালাতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন।সম্পাদক- অভি চৌধুরী।
যোগাযোগ: ৫১/৫১/এ রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (লেভেল-৩), স্যুট-৪০৫, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
ফোন:০২-২২৩৩৫৭০৭৩ মোবাইল: ০১৭১১-৫২০০৪৬, ০১৮১৯-২২৬১৬০। ই-মেইল: dainikbusinessfile@gmail.com