কে এই এম এম আনোয়ার ! আনোয়ার গংদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ আনিসার পরিবার ।

দৈনিক বিজনেস ফাইল: September 24, 2025

কে এই এম এম আনোয়ার ! আনোয়ার গংদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ আনিসার পরিবার । বিজনেস ফাইল প্রতিনিধি: সুকৌশলে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা আনিসার বাচ্চার মাদ্রাসায় ভর্তির জন্য জন্ম নিবন্ধন বানাতে এসে অফিসের সামনে আনোয়ার নামের একটি লোকের সাথে আনিসার পরিচয় হয়, সে জানায় আমি নিন্ধনগুলো দেখি ,আমার অফিসে আসেন । বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন বানাতে হলে বাবা-মার দুজনের জন্ম নিবন্ধন করা লাগবে আমার জন্ম নিবন্ধন করা ছিল কিন্তু আমার স্বামীর জন্ম নিবন্ধন ছিল না তাই ওর জন্ম নিবন্ধন বানানোর জন্য উনারা কাগজপত্র জমা দিতে বলে এরপর আবার উনার অফিসে গিয়ে কাগজপত্র জমা দেই এরকম করে বিভিন্ন সময় এক একটা কাগজপত্রের কথা বলে উনার অফিসে যেতে বলে। একেবারে সব কাগজপত্রের কথা বলে না একেক দিন একেকটা কাগজের কথা বলে বলে উনার অফিসে যেতে বলতো। একদিন ওনার অফিস বন্ধ থাকার কারণে উনি একটা চায়ের দোকানে বসায় আমি আর আমার জা,, চায়ের দোকানে বসে কাগজপত্র দেই এবং উনি আমাদেরকে চা খাওয়ান। আরেকদিন বেশি জরুরী ভাবে কাজের বিষয়ে কথা বলার জন্য উনি ডাকে আমাদেরকে আমি বলছিলাম পরের দিন সকালে যাব উনি বলছে পরের দিন সকালে আসতে হবে না আজকে এসে কিছু কাগজপত্র জমা দিয়ে যাবে পরের দিন সকালে আমরা কাজ করাব তাই আমি আমার জা ,, আর আমার ননদ সোনিয়াকে নিয়ে উনার সাথে কাজের বিষয়ে কথা বলতে চাই উনি আমাদেরকে একটা কফিসপে বসান বসানোর পর কিছু কাজের বিষয়ে কথা বলি ভোটার আইডি কার্ড বানানোর জন্য কাজ শেষ হয়ে গেলে আমরা বাড়ি চলে আসি জন্ম নিবন্ধন অফিসে আগে থেকে জন্ম নিবন্ধনের জন্য নাম্বার দেওয়া ছিল দুইটা একটা আমার আরেকটা আমার ননদের ওখান থেকে আনোয়ার আমার ননদের নাম্বার নিয়ে ফোন দেয় ফোন দিয়ে প্রেম প্রস্তাব দেয় আমার ননদ প্রত্যাখ্যান করে কারন আমার ননদ বিবাহিত ছিল। তাই আনোয়ারকে আমার ননদ ব্লক করে দেয়। এরপর কয়েকদিন পরে আবার আমাকে আনোয়ার কন্টিনিউ ফোন দেয় বেশি ফোন দেওয়ার কারণে আমি ফোন রিসিভ করি না আমার আব্বু বিষয়টা একদিন জানতে পারে তারপর উনি ফোন রিসিভ করে আনোয়ারকে বলে আপনি এতবার ফোন দেন কেন আমার মেয়ের সাথে আপনার কিসের সম্পর্ক আনোয়ার বলে আনিসার সাথে আমার ভাই বোনের সম্পর্ক আনিসাকে আমি বোনের চোখে দেখি আমার বাবা বলে যদি আনিসাকে বোনের চোখে দেখেন তাহলে আপনার ফ্যামিলিকে বিষয়টা জানাবেন আর আমার মেয়ের ফ্যামিলির কাছে যেয়ে বলবেন আপনি আনিসাকে বোনের চোখে দেখেন আনোয়ার ঠিক আছে বলে ফোনটা রেখে দেন। বেশ কয়েকদিন পর আমার ভোটার আইডি কার্ড বের হয় তারপর জন্ম নিবন্ধনের কাজ শেষ হওয়ার পর আবার ওনার কাছে আমার ,,জা ,, এর রিলেটিভ কয়েকজনের জন্ম নিবন্ধন বানাতে দেই টাকাও পেমেন্ট করা হয়ে যায় তারপর উনি বলে কাজগুলা করতে পারবেনা তাই আমার বিকাশে টাকা গুলা ফেরত দেয়। উনার অফিসে আর কোন কাজ থাকে না হঠাৎ একদিন ফোন দিয়ে উনি আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় আমি ওনাকে বলি আমার দুইটা ছেলে আছে হাজবেন্ড আছে এইসব বলে উনাকে আমি প্রত্যাখ্যান করি উনি আমাকে আমার সন্তানদেরকে একদিন মাদ্রাসা থেকে আসার সময় চিপস জুস চকলেট এইসব কিনে দেয় তারপর আমাকে ফোন দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে আর বলে আপনার সন্তান মাদ্রাসায় যায় আপনার কি এটা খেয়াল আছে তারপর আমি উনাকে এসব বলার কারণে ব্লক করে দেই। ব্লক করার চার পাঁচ দিন পর উনি উনার কলিগ সাজিবকে দিয়ে আমাকে ফোন দেওয়ায় ফোন দিয়ে বলে জরুরী কথা আছে ব্লক ছুটান হোয়াটসঅ্যাপে আমি নিষেধ করাতে বলে অনেক জরুরী কথা তাই আমি ব্লক খুলতে বাধ্য হই তারপর হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কিছু মেসেজ হয়। আর বিরোদ্ধে অনেক মিথ্যা মেসেজ বানায় আর আমাকে বলে এইসব মেসেজ নাকি আমার হাজব্যান্ডকে দেখাবে। আমি অনেক অসুস্থ ছিলাম তাই ওনাকে আমার অসুস্থ্যের কথা বলে দোহাই দেই আর আমার অসুস্থ প্রমাণ হিসাবে একটা রক্ত মাখা গেঞ্জির ছবি দেই। উনাকে আমি অনুরোধ করি প্লিজ আমাকে আর বিরক্ত করিয়েন না আমার বাচ্চাদেরকে নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করিয়েন না আমি অনেক অসুস্থ আমাকে একটু শান্তি দেন কিন্তু উনি আমার কোন কথা শুনে নাই আমাকে রীতিমতো ব্ল্যাকমেল করছে ওই মেসেজগুলোর স্ক্রিনশট আমার কাছে আছে আবার উনাকে ব্লক করে দেই। আমার ননদ মাতুয়াইল হোলি চাইল্ড কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে জব করে ওইখানে ওনার একটা ফ্রেন্ডকে পাঠায় নাম মেহেদী উনি আমার ননদের হাত থেকে ফোন টান দিয়ে নিয়ে নেই তারপর একটু সামনে গিয়ে আমার ননদের ফোনে যা প্রমাণ ছিল সব ডিলিট করে দেয় এবং আমার ননদের কিছু প্রাইভেট ছবি ছিল ওইগুলা উনার ফোনে নিয়ে আমার ননদকে আবার ফোন ফেরত দিয়ে দেয়। আমার ননদ বাসায় এসে আমার শাশুড়ির সাথে অনেক কান্নাকাটি করে আমার শাশুড়ি ঝামেলা হওয়ার ভয়ে বাসার কাউকে বিষয়টা জানায় নাই এরপর থেকে আমার ননদকে আমার শাশুড়ি নিয়ে যাওয়া আসা করতো। আবার কয়েকদিন পরে আনোয়ারের বউ ফাতেমা ওনারা প্ল্যান করে আমার ননদকে ফোন দেয় ফোন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের গালাগালি আজেবাজে কথা আনোয়ারের সাথে জড়িয়ে খারাপ কথা বলেন আমি ওনাকে অনেক বুঝাই দেখেন আমার ননদের সাথে আপনার স্বামীর কোন সম্পর্ক নাই আপনি ভুল ভাবছেন তারপর ওনার কাছে কোনো প্রমাণ না থাকার কারণে উনি ঠিক আছে বলে রেখে দেয়। আবার কয়েকদিন পরে আনোয়ারের বউ ফাতেমা আমাকে ফোন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সেম ভাবে গালাগালি করে আনোয়ারের আমার সম্পর্ক নিয়ে খারাপ মন্তব্য করে আমি উনাকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করি কিন্তু উনি বুঝেনা উনি আমাকে অনেক রকমের থ্রেট করে আমি অনেক চেষ্টা করি উনাকে বোঝানোর এরপরেও আমাকে বারবার ফোন দিয়ে বিরক্ত করে আর খারাপ কথা বলে বিষয়টা আমার হাসবেন্ডের জানাই জানানোর পর আমার হাজব্যান্ড আমার কাছ থেকে সিম নিয়ে নেই আমাকে নতুন সিম দেন আমার হোয়াটসঅ্যাপ চেঞ্জ করে দেয় সবকিছু চেঞ্জ করে দেয় এরপর আনোয়ারের বউ ফাতেমা আমার সাথে যোগাযোগ না করতে পেরে আমার স্বামী রজ্জবের দোকানে যায় আমার হাজবেন্ডকে আমার ব্যাপারে অনেক আজেবাজে কথা বলে অনেক বানোয়াট প্রমাণ দেখায় যেগুলোর কোন ভিত্তি নেই এডিট করে মেসেজ বানায় আমার হাজব্যান্ডকে দেখায় আমার হাজব্যান্ড আমার হয়ে উনার কাছে ক্ষমা চায় তাও উনি তিন চার দিন আমার হাজবেন্ডের দোকানে যায় আর ব্ল্যাকমেইল করে বলে তিন লক্ষ টাকা দিলে উনি এই জিনিসটা সমাধান করে দিবে কিন্তু আমার হাজব্যান্ড দিতে পারবে না জানিয়ে দেয় যখন আমার হাজব্যান্ড না করে দেয় ওনাকে তখন উনি আমার হাজবেন্ডের দোকানে কিছু গুন্ডা পাঠায় আর আমার হাজব্যান্ডকে ১৪ তারিখ সকাল ১১ টায় তুলে নিয়ে সাব্বিরের একটা রিক্সার গ্যারেজ আছে ওখানে নিয়ে আমার স্বামীর গলায় ছুরি ধরে আর বলে এক লক্ষ টাকা দিতে অনেক হুমকি দেয় আমার হাজব্যান্ডকে ছুরি দিয়ে মারতে যায় তারপর আমার হাজব্যান্ড এক লক্ষ টাকা দিতে পারে নাই ৬০০০০ টাকা দিয়ে ওখান থেকে চারটা বাজে বের হয়ে আসে । বাসায় এসে আমাদেরকে সবকিছু খুলে বলে আর রজ্জব আবার আনোয়ারের বাড়িতে যায় আর ওনার বউকে বলে আপনি কি কাজটা ঠিক করছেন আমাকে লোক দিয়ে আটকে এতগুলা টাকা রাখলেন তখন আমার হাজব্যান্ডকে নিয়ে ওখানে একটা বিচার বসে তারপর ফাতেমা বিচারের মধ্যে বলে যা হইছে হইছে আপনি ২৫ হাজার টাকা দিয়ে আপনার বউয়ের সম্মান বাঁচানআর নয়তো আপনার বউয়ের বিভিন্ন প্রমাণ আমি ভাইরাল করে দিব অথচ উনার কাছে কোনো প্রমাণই ছিল না। আমার হাজব্যান্ড মান সম্মানের ভয়ে পঁচিশ হাজার টাকা দিয়ে সবকিছু মিট করে চলে আসে। ১৫ তারিখ সকাল ৮ টায় আমার হাজব্যান্ড দোকান খুলে মাল কিনতে যাবে ওই টাইমে চার পাঁচ জন এসে আমার হাজবেন্ডের সাথে হাতাহাতি করে ওর ক্যাশ থেকে আর ওর ব্যাগ থেকে মিলিয়ে এক লক্ষ তিন হাজার টাকা নিয়ে নেয় জোর করে আমার হাজব্যান্ড আটকাতে গেলে মাথার থাপ্পড় দেয় ওকে মারধর করে সব নিয়ে চলে যায় এরপর আর না পেরে আমরা মামলা করতে যাই আর হ্যাঁ আমার হাজবেন্ডের বিকাশের দোকান

প্রকাশক ও সম্পাদক : অভি চৌধুরী।

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ৫১/৫১-এ রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (লেভেল-৩, স্যুট-৪০৫), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।।
হটলাইন: ০১৭১১-৫২০০৪৬, ০১৮১৯-২২৬১৬০ । ই-মেইল: businessfile2022@gmail.com