কুষ্টিয়ার সাংস্কৃতিক কর্মীদের কন্ঠে কন্ঠে জাতীয় সংগীত
Dainik Business File: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪
রাশিদা খাতুন, বিশেষ প্রতিনিধি খুলনা ব্যুরো জাতীয় সঙ্গীতের চেতনায় কুষ্টিয়ায় সমবেত কন্ঠে, সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিবাদ হিসাবে সাংস্কৃতিক কর্মীরা তিনবার শুদ্ধ উচ্চারণে জাতীয় সংগীত গাইলেন। এসময় অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সরওয়ার মুর্শেদ। জানা যায়, সাংস্কৃতিক কর্মীদের ব্যানারে কুষ্টিয়া পৌরসভার বিজয় উল্লাস চত্বরে জাতীয় সংগীত ও পতাকাসহ বাঙালি জাতির অস্তিত্বের ওপর উগ্রবাদী আগ্রাসন রুখতে এই আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক রাজধানীখ্যাত কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের সাংস্কৃতিক কর্মীবৃন্দ এতে অংশগ্রহণ করেন। কুষ্টিয়া পৌরসভা বিজয় উল্লাস চত্বরে সমস্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীবৃন্দ, কুষ্টিয়া আবৃত্তি পরিষদ, রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলন পরিষদ এবং বিভিন্ন সংগঠনের বিশিষ্ট শিল্পবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন -কুষ্টিয়া আবৃত্তি পরিষদের সভাপতি আলম আরা জুই,কবি ও লেখক কনক চৌধুরী, কুষ্টিয়া বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলের সাবেক প্রিন্সিপাল আসমা জাহান মিরু, শিল্পকলা একাডেমী কালচারাল অফিসার সুজন রহমান ও বিশিষ্ট শিল্পীবৃন্দ উপস্থিত থেকে সমবেত কন্ঠে গান পরিবেশন করেন। কুষ্টিয়া আবৃত্তি পরিষদ সভাপতি আলম আরা জুই বলেন,দেশের এ অবস্থায় কঠিন সমস্যার মাঝে, এসব চিন্তা-ভাবনা বাদ দিয়ে জাতীয় সংগীত নিয়ে পড়ে আছে। এ মুহূর্তে দরকার জিনিষপত্রের দাম কমানো, প্রশাসনের রদ বদল সেগুলো ঠিকঠাক করতে হবে। জাতীয় সংগীত লিখেছেন একজন বাঙালি, আমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এ সময়ে,সরওয়ার মুর্শেদ রতন বলেন- সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে রাজনীতি করতে চাওয়াটাও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল না। আমরা অনুভব করেছি একাত্তরে আমাদের সত্যিকারের যে দেশপ্রেম ছিল সেই প্রেমটা যেন সবার মধ্যে জাগ্রত হয়। সেই জায়গা থেকে ভেবেছি আমাদের জাতীয় সংগীতটা গাওয়া উচিত। সে লক্ষ্যে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন। সকাল দশটার সমস্বরে জাতীয় সংগীত গাওয়ার জন্য দলে দলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মীবৃন্দ কুষ্টিয়া পৌরসভা বিজয় উল্লাসে অবস্থান নেন।সম্পাদক- অভি চৌধুরী।
যোগাযোগ: ৫১/৫১/এ রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (লেভেল-৩), স্যুট-৪০৫, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
ফোন:০২-২২৩৩৫৭০৭৩ মোবাইল: ০১৭১১-৫২০০৪৬, ০১৮১৯-২২৬১৬০। ই-মেইল: dainikbusinessfile@gmail.com