এভারকেয়ার গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার মিশন নিয়ে মানুষের জীবনে প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে এগিয়ে আছে সবার থেকে; বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র জয়েন্ট কমিশন ইন্টারন্যাশনাল (JCI) স্বীকৃত হাসপাতাল। শুধু তাই নয়, এখন পর্যন্ত টানা ৫ম বারের মতো তারা এই স্বীকৃতি পেলো।
JCI -এর গোল্ড সিল অ্যাপ্রু ভাল বিশ্বব্যাপী পরিচিত স্বীকৃতি, যা একটি সংস্থার মান ও রোগীর সুরক্ষা বজায় রাখতে তাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন প্রকাশ করে।
হাসপাতালসমূহের মধ্যে তাদের মান ও খরচের ভারসাম্য ঠিক রাখতে এবং এর উন্নতি ঘটাতে JCI -এর মতো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সংস্থাগুলোর এরূপ স্বীকৃতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এমন স্বীকৃতির দিকে আগের চেয়ে অকে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
এভারকেয়ার গ্রæপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসিমিলিয়ানো কলেল্লা এই স্বীকৃতি সম্পর্কে বলেন, “উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবার সম্বন্বিত সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক হিসেবে এভারকেয়ার সবসময় তাদের সব হাসপাতালের মাধ্যমে স্বীকৃত সব সুবিধার সাহায্যে সন্তোষজনক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে আসছে; যার মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে এমন গুণগতমানের দিকে যা সবসময় আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করে। আমি গর্বিত যে, এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা স্বাস্থ্যসেবার রূপরেখাই পাল্টে দিচ্ছে এবং বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবায় মান রক্ষার ক্ষেত্রে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।”
এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডাঃ রত্নদীপ চাসকার বলেন, “বাংলাদেশে প্রথম সারির স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী হিসেবে, আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- রোগীর সুরক্ষা ও যত্নের গুণমান। টানা ৫ম বারের মতো এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে যে, আমরা আমাদের বিশ্বমানের সেবাগুলো দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। রোগীদের জন্য JCI স্বীকৃতির মানে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা এমন একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করছে, যা তাদের রোগী ও কর্মচারীদের জন্য ঝুঁকি কমিয়ে আনে।”
এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা সর্বপ্রথম JCI স্বীকৃতি পায় ২০০৮ সালে এবং আজ পর্যন্ত এটি বাংলাদেশের একমাত্র হাসপাতাল যা এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃত মান ধরে রেখেছে। এভারকেয়ার গ্রুপের চিফ নার্সিং অফিসার ও হেড অফ কোয়ালিটি সুসান পস বলেন, “আমাদের মিশনের মূল হচ্ছে কোয়ালিটি এবং এর প্রেক্ষিতে প্রতিটি মার্কেটে একটি পরিকল্পনা নিয়ে আগানো হয়েছে; যেখানে আমরা নিশ্চিত করি ক্রমাগত মানোন্নয়ন।”
এভারকেয়ার গ্রুপ সম্পর্কে:
এভারকেয়ার গ্রুপ বিশ্বাস করে, স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া একটি মৌলিক অধিকার। আর তাই তারা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে স্বাস্থ্যসেবার ক্রমবর্ধমান বাজারে বিনিয়োগ করে স্থানীয় মানুষগুলোর চাহিদা মেটাতে বেসরকারি ও মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান যাচ্ছে।
এই ক্রমবর্ধমান বাজারে টেকসই অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারক হিসেবে এভারকেয়ার সব বয়সের মানুষের ভালো থাকা নিশ্চিত করার গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ হাতে নিয়েছে। আর এর মধ্য দিয়েই এভারকেয়ার গ্রæপ পাল্টে দিচ্ছে চিরাচরিত স্বাস্থ্যসেবার মডেল, যা গড়ছে কয়েকটি কন্টিনেন্ট-এর মিলিত প্ল্যাটফর্ম, ফলাফলের ভিত্তিতে গড়া এই মডেল আর কোয়ালিটির ভিত্তিতে গড়া হসপিটাল-এর মাধ্যমে।
এভারকেয়ার গ্রুপ ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, কেনিয়া ও নাইজেরিয়াসহ সাউথ এশিয়াএবং আফ্রিকার ক্রমবর্ধমান বাজারে পরিচালনা করছে একটি সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবাদানকারী প্লাটফর্ম হিসেবে ।
এভারকেয়ার-এর পোর্টফোলিওতে রয়েছে বিশ্বজুড়ে ২৯টি হসপিটাল, ১৬টি ক্লিনিক, ৫৭টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও দুটি নির্মাণাধীন হসপিটাল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এভারকেয়ার গ্রুপ-এর ১০,৩৫০ কর্মী একসাথে কাজ করে স্বাস্থ্যসেবার ক্রমবর্ধমান বাজারে একটি পদ্ধতিগত পরিবর্তন নিয়ে আসছে, নিজেদেরকে পরিচিত করেছে সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় হেলথকেয়ার গ্রুপ হিসেবে, গর্বের সাথে।
সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তারকারী ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যাটফর্ম️-এর গ্লোবাল অলটারনেটিভ অ্যাসেট ম্যানেজার টিপিজি, দ্যা রাইজ ফান্ড পরিচালিত ১ বিলিয়ন ইউএস ডলারের ক্রমবর্ধ️মান হেলথকেয়ার মার্কে️টের অংশ এভারকেয়ার, যা এভারকেয়ার হেলথ ফান্ডস-এর সম্পূর্ণ️ মালিকানাধীন। এভারকেয়ার হেলথ ফান্ড সারাবিশ্বের লিডিং ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠান ও প্রভাব বিস্তারকারী বিনিয়োগকারীদের মাঝে অন্যতম।