ঢাকা   ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

জয়ের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন সু চির দলের

নির্মল বার্তা
  • প্রকাশিত : শনিবার, নভেম্বর ১৪, ২০২০
  • 290 শেয়ার
অং সান সু চি
অং সান সু চি

মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। ভোটের সর্বশেষ ফলাফল অনুসারে, ৩৯৯টি আসন পেয়েছে এনএলডি। দেশটিতে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৩২২ আসন।

মিয়ানমারের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ৪২৫ ও উচ্চকক্ষে ১৬১ আসন আছে। ৫০ বছরের বেশি সময়ের সেনাশাসনের কবল থেকে মুক্ত হয়ে ২০১৫ সালে দেশটিতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় সাধারণ নির্বাচন। তখন সু চির দল জয় পায়। সে বছর দলটি সংসদের মোট ৩৯০ আসনে বিজয়ী হয়।

এদিকে, সেনা-সমর্থিত বিরোধী দল পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। বিদেশি নাগরিকের সঙ্গে বিয়ে হওয়ায় ২০১৫ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েও দেশটির প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি সু চি। একই কারণে এবারও তিনি জয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। বর্তমানে এই নেত্রী ‘স্টেট কাউন্সিলর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

দেশটির সেনাবাহিনী সমর্থিত রাজনৈতিক দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে। শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) ভোট গণনার পর দেখা গেছে, মিয়ানমার পার্লামেন্টের দুই কক্ষে ৬৪২ আসনের মধ্যে ইউএসডিপি পেয়েছে মাত্র ২৮ আসন। বাকি আসনগুলোতে প্রাদেশিক জাতিভিত্তিক রাজনৈতিকদলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

সাবেক মন্ত্রী এবং হেভিওয়েট কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা ইউএসডিপি’র হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও পার্লামেন্টের ন্যূনতম ১০ শতাংশ আসন পাওয়ার শর্তও পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। মিয়ানমারজুড়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বেসামরিক জনগণের ক্ষোভ নির্বাচনের ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে বলে রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

যদিও, মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশন (ইউইসি) এখনও নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেনি। এর মধ্যেই ইউএসডিপির পক্ষ থেকে এই নির্বাচন বাতিল করে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পুনঃনির্বাচন দাবি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকেই বৃহত্তর সাম্য এবং আত্মপরিচয়কে আরও সুনির্দিষ্ট করার তাগিদে মিয়ানমারের কোচিন, কারেন, শান, রাখাইন, মন, কায়ান, লাহু, তাং, কামান, খামি, ম্রো, ডাইনেট, তাই লেং শিন, ডানু, যোমি, কোকাং, দাউই, পাও, আখা, যো, নাগা, কায়াহ, ওয়া এবং ইন জাতিগোষ্ঠীর মধ্য থেকে রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়। এমনকি, এদের মধ্যে অনেক রাজনৈতিক দল সশস্ত্র – কেন্দ্রীয় সরকার এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ইতিহাসের দীর্ঘতম গৃহযুদ্ধে লিপ্ত।

-আল-জাজিরা, দ্য ইরাবতী-

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০