নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের তৈরি টিকা ‘ব্যানকোভিড’র ক্লিনিকাল ট্রায়ালে আগ্রহী নেপাল। সফল প্রমাণিত হলে টিকাটির ২০ লাখ (২ মিলিয়ন) ডোজ নেবে দেশটি।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস প্রধান কার্যালয়ে নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা. বঙশীধর মিশ্র এ কথা জানান। এ দিন নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা. বঙশীধর মিশ্র ও গ্লোবের চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদের মধ্যে এক সমঝোতা হয় বলেও জানানো হয়েছে।
গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ বলেন, ‘নেপাল ব্যানকোভিড টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে। এটি একটি বিরাট অর্জন। নেপালের আনমোল গ্রুপের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য কয়েকটি দেশ থেকেও বিশ মিলিয়ন ডোজের অর্ডার এসেছে।’ বাংলাদেশকে সন্তুষ্ট করেই গ্লোব টিকা বাইরে সরবরাহ করবে বলেও জানান তিনি।
নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা. বঙশীধর মিশ্র বলেন, ‘আমরা গ্লোবের ভ্যাকসিনের বিষয়ে খুবই আগ্রহী। একজন চিকিৎসক হিসেবে আমি গ্লোবের ভ্যাকসিন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। এটা পুরোপুরি তাদের নিজস্ব আবিষ্কার। আপাতত আমরা এই ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী। তারা সফল হলে জি টু জি পদ্ধতিতেও ভ্যাকসিন কেনা যেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার চাইলে নেপাল এই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে আগ্রহী। আমাদের দুই দেশের সংস্কৃতি-আবহাওয়া একই। গ্লোবের ভ্যাকসিন সফল হলে এটা বাংলাদেশের জন্য একটা বিরাট অ্যাচিভমেন্ট হবে। আর বাংলাদেশের অ্যাচিভমেন্ট মানে এটা আমাদেরও অ্যাচিভমেন্ট।’
এর আগে ১৭ অক্টোবর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড জানায়, তাদের তিনটি ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন’কে তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, গত ১৫ অক্টোবর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গ্লোব বায়োটেকের আবিষ্কার করা তিনটি ভ্যাকসিনকে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত করেছে। গ্লোবের ভ্যাকসিনের নাম ব্যানকোভিড। ভ্যাকসিন তিনটি হলো, D614G Variant mRNA vaccine, DNA plasmid vaccine এবং Adenovirus Type-5 Vector Vaccine।
উল্লেখ্য, ২ জুলাই গ্লোব বায়োটেক আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়, তারা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পথে রয়েছে এবং তাদের প্রাথমিক পরীক্ষা সফল হয়েছে।