ঢাকা   ৯ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ২৫শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটে চলন্তিকা প্রিন্টার্সের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : সোমবার, জানুয়ারি ৬, ২০২৫
  • 14 শেয়ার

বিদ্যা রত্ন রায়, সিলেট ব্যুরো
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, চলন্তিকা প্রিন্টার্সের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন সিলেটের জন্য অনেক গৌরবের ব্যাপার, যা হারানো মুদ্রণ শিল্প পুনর্জাগরণেও প্রেরণা যোগাবে।তিনি গত ৩রা জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর নয়া সড়ক পয়েন্ট সংলগ্ন আভিজাত হোটেল “নিউ হোটেল গ্র্যান্ড ভিউ”-এ সিলেটের স্বনামধন্য মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান নগরীর চৌহাট্টাস্থ চলন্তিকা প্রিন্টার্সের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি হারিয়ে যাওয়া মুদ্রণ শিল্পে এই প্রিন্টার্সের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা ও ব্যক্ত করেন।
প্রিন্টার্সের স্বত্ত্বাধিকারী বিশিষ্ট সমাজসেবী ও সংগঠক বাবু জ্যোতির্ময় সিংহ মজুমদার চন্দনের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক- সাংবাদিক সঞ্জয় কুমার নাথ এবং বাচিক শিল্পী শাশ্বতী ঘোষ সোমার যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় উদ্বোধকের বক্তব্য রাখেন সিলেট রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রমের সম্পাদক শ্রীমৎ স্বামী চন্দ্রনাথানন্দজী মহারাজ মহোদয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট মিরর সম্পাদক আহমেদ নূর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসেফর ভীষ্মদেব চৌধুরী, প্রবীণ সাংবাদিক রফিকুর রহমান লজু। প্রকাশিতব্য স্মারক গ্রন্থের উপর আলোকপাত করে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিলেটের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ (অব) ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ঢাকা থেকে আগত চলন্তিকা প্রিন্টার্স এর স্বত্বাধিকারীর প্রিয় শ্যালক প্রকৌশলী আলোময় বিশ্বাস, ব্যাংকার সৌমিত্র মজুমদার শুভ, প্রেসের পুরনো স্টাফদের পক্ষে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন সহকারী ম্যানেজার বিনয় ভূষণ তালুকদার,কম্পিউটার অপারেটর আফিয়া খাতুন, মেশিনম্যান মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ প্রমুখ।শুরুতেই কেক কেটে ও ৫০টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন অতিথিবৃন্দ। নৃত্যরথের পরিচালনায় সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীবৃন্দ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জ্যোতির্ময় সিংহ মজুমদার এর সুযোগ্য তণয়া পরমা সিংহ মজুমদার। সংগীত পরিবেশন করেন প্রভাতী সিংহ মজুমদার, প্রদীপ কুমার দে, সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন সংগীত নিকেতনের শিল্পীবৃন্দ। সভাপতির বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানটির সত্ত্বাধিকারী জ্যোতির্ময় সিংহ মজুমদার চন্দন প্রেসের সুদীর্ঘকালের কর্মময় জীবনের কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে উপেন্দ্র-বীণাপানি স্মৃতি পরিষদের সম্মাননা, বৃত্তি প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য চিত্র নির্মাতা, নাট্যজন নিরঞ্জন দে যাদু। বাচিক শিল্পী সুকান্ত গুপ্ত ও অর্চিতা ভট্টাচার্য্যরে যৌথ সঞ্চালনায় সিলেটের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী হিমাংশু বিশ্বাস, বিশিষ্ট লেখক-অনুবাদক মিহির কান্তি চৌধুরী ও বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রানা কুমার সিনহা-কে গুণীজন সম্মাননা ক্রেস্ট ও ২৫ হাজার টাকার চেক প্রত্যেককে প্রদান করা হয়। সংবর্ধিত অতিথিত্রয় অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন। সুবিধাবঞ্চিত পাত্র সম্প্রদায়ের ৯ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৫ হাজার টাকা করে উপেন্দ্র-বীণাপানি স্মৃতি বৃত্তি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সংগীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন আনন্দলোক, গীতবিতান,জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ সিলেট, শ্রুতি সিলেট ও নজরুল সংগীত শিল্পী পরিষদ। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন বাচিক শিল্পী জ্যোতি ভট্টাচার্য্য। আরো একক সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী হিমাংশু বিশ্বাস,রবীন্দ্র গবেষক ও বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রানা কুমার সিনহা, সংগীত শিল্পী অনিমেষ বিজয় চৌধুরী সহ প্রমুখ শিল্পী বৃন্দ।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রিন্টার্সের স্বত্ত্বাধিকারী জ্যোতির্ময় সিংহ মজুমদার চন্দন কে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন মহালয়া উদযাপন পরিষদ শ্রীহট্ট ১৪৩১ বঙ্গাব্দের নেতৃবৃন্দ, মানব সেবায় নিবেদিত সংগঠন সিলেট বিবেক সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে সিলেটের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি বৃন্দ সহ নানা শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তুলেন। পরিশেষে নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০