ঢাকা   ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ৩রা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমারখালী উপজেলা সমিতি ঢাকার নেতৃবৃন্দের শপথ গ্রহণ এবং দুটি কথা

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : রবিবার, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪
  • 33 শেয়ার

গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর ২০২৫) ছিল বিশেষ দিন। এদিন শীতের শুভ্রতায় শান্তি নগরে ঢাকার বুকে একখন্ড কুষ্টিয়া জেলা সমিতি-গড়াই রীতিমতো ভালোবাসার রং রাঙিয়েছিল। গড়াই এর ৮ম তলায় এদিন সন্ধ্যায় একে একে আসতে থাকেন কুমারখালী উপজেলা সমিতির নব নির্বাচিত (২০২৪-২০২৬) নেতৃবৃন্দ। সভাপতি ম. আ. কাশেম মাসুদ যখন অনুষ্ঠান স্থলে আসেন তখন শেখ সাদি মিলায়তন ছিল প্রায় পূর্ণ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট পরিমল কুমার বিশ্বাস, সদস্য অধ্যাপক সারওয়ার আলম, সদস্য প্রিন্সিপাল আকমল হোসেন উপস্থিত হন একসাথেই। দেখা গেল বিদায়ী সভাপতি গবেষক, কবি, ব্যবসায়ী সুফি শেখ রবিউল হক আর মহাসচিব এক সময়ে সরকারের দাপটে কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) ভ্রমণপিয়াসী আক্তারুজ্জামান মোহনকে। দায়িত্ব হস্তান্তরের পূর্বে বিদায়ী দুজনের বক্তব্যে ভেসে আসে এক ধরনের উপদেশ। ফুটে উঠে ৮ বছরের দায়িত্ব পালনকালীন তাদের ব্যর্থতা-সফলতার কথা। নতুন কমিটির সকলকে বিদায়ী সভাপতি ও মহাসচিব গ্রহণ করেন তাদের হৃদয়ের ভেতরে থাকা যতসব ভালোবাসার অর্ঘ দিয়ে। দুজনের বক্তব্যে যেন শেষই হচ্ছিল না। মেয়ে বরের বাড়িতে রওনা হবার আগের মুহূর্তে যেমনটা হয়, ঠিক তেমনি যেন অবস্থা হয়েছিল সেদিন দুজনের। পুরো কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট পরিমল বিশ্বাস। বিদায়ী সভাপতি রবিউল হকের চোখের কোণে চলে আসে আনন্দ অশ্রু। এ অশ্রু যেন আর্শীবাদ সবার জন্য। অনেক তরুণ দায়িত্বপ্রাপ্তরা অনুষ্ঠানের যে গভীরতা তা বুঝতেই সময় নিচ্ছিল।

নতুন সভাপতি আর মহাসচিবকে বরণ করা হলো ফুলের ডালি দিয়ে। বিদায়ী দুজনের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিলে নতুন সভাপতি-মহাসচিব। এর পরের পর্ব আরো আকর্ষণীয়। নবনিযুক্ত দুজন সহকারী এটর্নী জেনারেল যথাক্রমে কাজী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ডাবলু ও লাবণী আক্তারকে ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়। সে সময় তারা অনুভূতি প্রকাশ করতে যেয়ে দুজনেই আবেগপ্রবণ হয়ে যান। দুজনেই বলেন, এ সমিতির জন্য তারা কিছু করতে চান।


উপস্থাপক আশরাফুল ইসলাম সাগরের ব্যঞ্জনাময় কথা-বার্তাগুলো ছিল সকলের হৃদয়ে গেঁথে থাকার মতো। সমাপনি বক্তব্যে নবনির্বাচিত সভাপতি ম.আ. কাশেম মাসুদ, মহাসচিব মীর রফিকুল আলম মঞ্জু, তাদের অনুভুতি তুলে ধরেন। শেষে অনুষ্ঠান উযাদপন পরিষদের আহ্বায়ক জাহিদুল কবির আজাদ সকলকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ করা হয়। সুলতান ডাইয়িং থেকে কাচ্চি দিয়ে সবাইকে আপ্যায়িত করা হয়। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্ববোধ ছিল চোখে পড়ার মতো। আতিথেয়তার মুগ্ধতা এতোটাই বাতাসে ছড়িয়ে পরে যে, অডিটোরিয়ামে উপস্থিত নেহেদ আলীকে এক নেতা তো বলেই ফেললেন ‘এ রাত যদি না শেষ হতো তবে কেমন হতো বলো তো।’…
স্মৃতিচারণ (অভি চৌধুরী)।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০