ঢাকা   ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো উচিত হয়নি: রিজভী

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, নভেম্বর ১২, ২০২৪
  • 41 শেয়ার

বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো উচিত হয়নি।

আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্টের পর খন্দকার মোশতাক বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তিনি আবার শেখ মুজিবের ছবি পুনঃস্থাপন করেছিলেন।”

“আজকে আমি খবরে পড়েছি, বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে। দেখুন…সময় তো সবসময় একরকম যায় না। ইতিহাসে যার যতটুকু অবদান আছে, সেটা থাক। আমরা স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক অন্যায়, দুঃশাসন দেখেছি। তারপরও তো সে ছিল। তার ছবিটা ছিল।”

“আমি মনে করি, তার ছবিটা নামিয়ে ফেলাটা উচিত হয়নি,” তিনি যোগ করেন।

রিজভী আরও বলেন, “আমাদের জাতীয় জীবনে, জাতীয় ইতিহাসের আন্দোলনে তার কতটুকু অবদান, সেটা স্বীকার করা হোক। আমরা আওয়ামী লীগের মতো সংকীর্ণ নই। আমরা ছোট মনের না। সেজন্যই বলছি, শেখ মুজিবের ছবি নামানো উচিত হয়নি।”

এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে সদ্য শপথ নেয়া মাহফুজ আলম গতকাল সোমবার তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকউন্টে পোস্ট দিয়ে জানান, রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো হয়েছে।

কেন এই ছবি সরিয়েছেন, তার ব্যাখ্যাও তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে তুলে ধরেছেন।

মাহফুজ তার পোস্টে লিখেছেন, ‘দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমান-পোস্ট ‘৭১’ ফ্যাসিস্টের ছবি সরানো হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে আমরা ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তার ছবি সরাতে পারিনি। যার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু, মানুষের মধ্যে জুলাইয়ের চেতনা বেঁচে থাকা পর্যন্ত তাকে কোথাও দেখা যাবে না।’

ক্ষমা ও ফ্যাসিস্টদের বিচার ছাড়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না বলেও জানান মাহফুজ।

এই উপদেষ্টা বলেন, ‘শেখ মুজিব এবং তার কন্যা বাংলাদেশের জনগণের সাথে যা করেছেন তা আওয়ামী লীগকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে এবং ক্ষমা চাইতে হবে। অগণতান্ত্রিক ‘৭২’-এর সংবিধান থেকে শুরু করে দুর্ভিক্ষ, কোটি টাকা পাচার এবং হাজার হাজার ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধীদের বিচারবহির্ভূত হত্যা (৭২-৭৫, ২০০৯-২০২৪)। তাহলে, আমরা ‘৭১-এর আগের শেখ মুজিবের কথা বলতে পারি। ক্ষমা ও ফ্যাসিস্টদের বিচার ছাড়া কোনো ধরনের সংলাপ হবে না।’

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০