Agaminews
Dr. Neem Hakim

পরমানু বিজ্ঞানি পরিচয়ে প্রতারণা ও র‌্যাব দিয়ে আটক করে ভুয়া মামলার প্রতিবাদ


দৈনিক বিজনেস ফাইল প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১১, ২০২৫, ৫:২৬ অপরাহ্ন /
পরমানু বিজ্ঞানি পরিচয়ে প্রতারণা ও র‌্যাব দিয়ে আটক করে ভুয়া মামলার প্রতিবাদ

বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনের খাদ্য ও বিকিরণ জীব বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞনিক সহকারী-১ (এ.ই.আর.ই) পরিচয় দিয়ে এসএম সামসুল আলম (শওকত) ও তার দুই সহযোগি পঁচিশ কোটি টাকা ব্যাংক থেকে লোন করিয়ে দেয়ার কথা বলে ৪০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। তার দুই সহযোগী মো. সাবিত ইসলাম সামি ও মো. আক্তার হোসেন লোন পাইয়ে দিতে চুক্তিবদ্ধ হয়। কিন্তু লোন করানোর কথা বলে নেয়া টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে র‌্যাব-১-এর একটি টিম দিয়ে আটক করে মিথ্যা অস্ত্র মামলায় কারগারে পাঠিয়ে দেয়। তাদের প্রতারণা ও র‌্যাব দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়ে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ ও জড়িতদের কঠোর শাস্তি প্রদানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি, র‌্যাব মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের জরুরী হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগ মো. গোলাম মাওলা কায়েস।
আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে (নীচতলা) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান ভুক্তভোগী।
লিখিত বক্তব্যে মো. গোলাম মাওলা কায়েস জানান, তার মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কোলাপাড়ায় ‘মা এগ্রো ফার্ম’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের জন্য ২৫ কোটি টাকা ব্যাংক লেন করতে গত ১৬ আগস্ট মো. সাবিত ইসলাম সামি ও মো. আক্তার হোসেন নামের দুই প্রতারকের সাথে একটি চুক্তিপত্র করা হয়। তারা চুক্তিপত্র করলেও ওই চুক্তিপত্রের সমস্ত কার্যক্রম সম্পাদন করার সম্পূর্ণ দায়ভার গ্রহণ করেন প্রতারক চক্রের প্রধান বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনের খাদ্য ও বিকিরণ জীব বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞনিক সহকারী-১ (এ.ই.আর.ই) পরিচয় দানকারী ইঞ্জিনিয়ার এসএম সামসুল আলম (শওকত)। সে ১০০ টাকা মূল্যের তিনটি স্ট্যাম্পে চুক্তবদ্ধ হয়। সে এ.ই.আর.ই-তে কর্মরত থাকার কথা বললেও খোঁজ নিয়ে জানা যায় সে ওই প্রতিষ্ঠানের কেউ নয়। সে মিথ্যা পরিচয় দিয়েছে। পরে সে কাজ করাতে নগদ টাকার প্রয়োজন দেখিয়ে ৪০ লাখ টাকা গ্রহণ করে। পরে একাধিকবার তারা লোনের কথা বলে টালবাহানা করতে থাকে। এর মধ্যে একাধিকবার মিমাংসার কথা বলে শেওড়াপাড়ার একটি বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। পরবর্তীতে তারা আমাকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে খিলক্ষেতের রিজেন্সী হোটেলে যেতে বলে।
তিনি আরও জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর প্রতারকদের কথা মত তিনি ১ কর্মচারী ও তার ছোট ভাইকে দিয়ে রিজেন্সী হোটেলের সামনে গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে র‌্যাব-১-০এর একটি টিম সেখান থেকে তাদের আটক করে দিয়ে যায়। র‌্যাব-১-এর অফিস থেকে ঘটনার তৃতীয় দিন দুপুর ১২টার দিকে তাদের তিনজনকে অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার দিখিয়ে খিলক্ষেত থানায় হস্তান্তর করে (মামলা নং-০৯ (৯) ২০২৫)। বিষয়টি সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত ও র‌্যাব-১-এর অফিসারের সাথে প্রতারকরা যোগসাজশ করে গ্রেপ্তার করিয়েছে। জামিনে বের হয়ে উল্লেখিতদের দেয়া ঠিকানায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তাদের ঠিকানাও ভুয়া। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে শওকতের প্রকৃত নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে জানতে পারি তার আসল নাম এস.এম সামসুল আলম (জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ৫৫১২৩৩০৭৮৭), পিতা: সোরাব আলী মোল্লা, মাতা: হামিদা বেগম, স্ত্রীর নাম: মমতাজ, প্রকৃত ঠিকানা: রাজবাড়ী জেলার পাংমা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের শিবান্দপুর গ্রামে। আর্থিক ক্ষতি ও র‌্যাব-১-এর টিমকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলার আসামী বানানোর ঘটনাটি তদন্তপূর্বক এর সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোড় আহ্বান জানান তিনি।