
বিদ্যা রত্ন রায়: সিলেট ব্যুরো প্রধাণ
বাংলা একাডেমির আজীবন (লাইফ মেম্বার) সদস্য হলেন জাতীয় সংবাদপত্র “দৈনিক বিজনেস ফাইল” এর সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব অভি চৌধুরী।
গত সেপ্টেম্বর মাসে এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় তাঁকে এ পদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। উনার এ সাফল্যে “দৈনিক বিজনেস ফাইল” সিলেট ব্যুরোর পক্ষ থেকে জনাব অভি চৌধুরী কে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
উল্লেখ্য যে, জনাব অভি চৌধুরী ১৯৯৪ সালে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঐতিহ্যবাহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্স (অনার্স) সহ ব্যাংকিং -এ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ঢাবিতে অধ্যয়নকালীন সময় তিনি জাতীয় কবি সংগঠন ‘অনুপ্রাস’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ -ডাকসু’র নাটক, সামাজিক ও আপ্যায়ন বিভাগের সদস্য ছিলেন। টিএসসির সংস্কৃতি সংসদের হয়ে তিনি কাজ করেন। তখন এ সংসদের সাথে যুক্ত ছিলেন ঢাবি প্রফেসর ড.নরেন বিশ্বাস, ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, আসাদুজ্জামান নূর,ভাস্কর জাহিদ মোস্তফা প্রমুখ।
১৯৯৫ সালোর ৫ নভেম্বর তিনি ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিসিআরএ)’র সভাপতি নির্বাচিত হন। বিসিআরএ’র তিনিই প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (দৈনিক বাংলা) এবং সাধারণ সম্পাদক দুলাল খান ( তৎকালীন জনকণ্ঠ বর্তমানে বৈশাখী টিভি )। তাছাড়াও তিনি জনপ্রিয় সাপ্তাহিক চিত্রালী, সমাধান,দৈনিক সবুজ বাংলা, দৈনিক ভোরের কাগজ, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলা বাজার পত্রিকায় কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৯ সালে ব্যবসায়ী নেতা আব্দুল আওয়াল মিন্টুর সফরসঙ্গী হয়ে (তখন বাংলাবাজার পত্রিকার বিজনেস পেজ এডিটর ( দেশের বাইরে একটি বাণিজ্য মেলায় অংশ গ্রহন করেন। তিনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই রিপোর্টিং এর সাথে যুক্ত হোন ১৯৯৯ সালে।৫ম শ্রেনী ও ৮ম শ্রেনীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি প্রাপ্ত জনাব অভি চৌধুরী সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ত হননি। ভাষা আন্দোলন, ৭১’র মহান স্বাধীনতা,২৪’র গণআন্দোলনের প্রতি তার ভীষন শ্রদ্ধা রয়েছে। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অশ্লীলতা নিরসনে তিনি বহু সেমিনার – সিম্পোজিয়ামে অংশ নেন।
সংস্কৃতি চর্চার অংশ হিসেবে তিনি বার বার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, চীন, ভারত সহ অনেক দেশে ভ্রমণ করেন।
নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস্ এর একটি সামাজিক সংগঠন থেকে তিনি সেরা সংগঠক (সংস্কৃতি) হিসেবে পুরস্কৃত হন। বিসিআরএ সভাপতি হিসেবে আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
দেশীয় সংস্কৃতির প্রতি সর্বদা বিশেষ অনুরাগ রয়েছে তাঁর। নিজের লেখা বই “এক সমুদ্র অ্যালকোহল”, “টাইটানিক প্রেম”, ” আকাশ ভরা ভালোবাসা”, “কুমারখালির সংস্কৃতিজন”, সংবাদপত্রে কালচারাল রিপোর্টারদের ভূমিকা” উল্লেখযোগ্য।
জনতা ব্যাংকে অফিসার পদে এবং এমপিওভুক্ত কাজী মন্টু ডিগ্রী কলেজে প্রভাষক পদে চাকরী পেলেও দেশের সাহিত্য সংস্কৃতিকে হৃদয়ে লালন করে সংবাদপত্রেই আপন ঠিকানা খুঁজে নেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালে প্রতিষ্টা করেন ‘বিজনেস ফাইল’। উনার দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বে বিজনেস অঙ্গনে পত্রিকাটির গুরুত্ব দিন থেকে দিন বাড়তেই থাকে। জনাব অভি চৌধুরী বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন (বোপমা) এর সহ সভাপতি। এফবিসিসিআই এসএমই স্ট্যান্ডিং কমিটির কো- চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। প্লান্টগ্রোথ অ্যাসোসিয়েশন, সিএনজি অটোরিকশা, থ্রি হুইলাইলার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সহ সভাপতি তিনি। তিনি সংবাদপত্র অঙ্গনে কাজ করতে এসে অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গের সান্নিধ্য লাভ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ হলেন প্রয়াত চলচ্চিত্রকার খান আতাউর রহমান, প্রয়াত নায়ক রাজ রাজ্জাক, প্রয়াত চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব সুভাষ দত্ত,কাজী হায়াৎ, চলচ্চিত্র পরিচালক তোজাম্মেল হক বকুল, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, শেখ সাদী খান, রুনা লায়লা, কুমার বিশ্বজিৎ, হ্যাঁ ভাইখ্যাত কন্ঠসম্রাট মাজহারুল ইসলাম, দূরদর্শী ব্যবসায়ী নেতা মোহাম্মদ আলী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব- উপস্থাপক ট্রফি ইসলাম প্রমুখ। সাবেক রাষ্ট্রপতি এড. আবদুল হামিদ, প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ,বাংলা একাডেমির সভাপতি প্রফেসর ড.আবুল কাশেম ফজলুল হক, জামাল উদ্দিন জামাল প্রমুখ। ২০ বছরের অধিক সময় ধরে এফবিসিসিআইয়ের জীবী সদস্য।
তিনি কুষ্টিয়া জেলার কালচারাল অ্যাম্বেসেডর ও ছিলেন। আর মঞ্চ এবং টিভিতে তিনি একজন পরিপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ উপস্হাপক।
রবীন্দ্রনাথ, লালন,মীর মশারফ হোসেন, কাঙ্গাল হরিনাথ, বাঘাযতীন, বিচারপতি রাধা বিনোদপাল, প্যারীসুন্দরী খ্যাত সাংস্কৃতিক জেলা কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে তার জন্ম।
এ অর্জনে অভি চৌধুরীকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আপনার মতামত লিখুন :