বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৪
ভূমিকা: তামাক একটি উদ্ভিদজাত ভেষজ পণ্য যা সবদিক থেকে ক্ষতিকর। তামাক চাষ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ধূমপান বা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত পণ্য সেবন – প্রতিটি পর্যায় জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। তামাক সেবন এমন একটি নেশা, যা মানুষকে ক্রমান্বয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে সিগারেট ও ই-সিগারেটের মাধ্যমে ধূমপানের প্রবণতা বেশি। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে সিগারেটের পাশাপাশি বিড়ি’র প্রচলন রয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের বিরাট জনগোষ্ঠীর মধ্যে ধোঁয়াবিহীন বিভিন্ন তামাকজাত দ্রব্যের বহুল ব্যবহার রয়েছে।
দি টোব্যাকো এটলাসে (২০২২) বলা হয়েছে, তামাক সেবনের কারণে পৃথিবীতে বছরে ৮৭ লক্ষাধিক মানুষ মারা যায়। এজন্য তামাক সেবন প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত। উল্লেখ্য যে, বাসা-বাড়ি ও পাবলিক প্লেসে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়ে ১৩ লক্ষাধিক মানুষ মারা যায়, এদের অধিকাংশই শিশু ও নারী। তামাকজনিত রোগে মৃত্যুসংখ্যা ম্যালেরিয়া, যক্ষা, এইডস এর সম্মিলিত মৃত্যুর চাইতেও বেশি। গবেষণায় বলা হয়েছে, চুল হতে শুরু করে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তামাকের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন তামাকে স্বাস্থ্য ক্ষতি: বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়ায় কার্বন মনোক্সাইড, হাইড্রোজেন সায়ানাইড, এমোনিয়া, ক্যাডমিয়াম, নিকোটিনসহ ৭, ০০০ ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, যার মধ্যে ৭০টির অধিক রাসায়নিক মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী। ফুসফুস ও মুখগহ্বরের ক্যান্সার, ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদী রোগ, হার্ট এটাক, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, বার্জার্স ডিজিসসহ বিভিন্ন প্রাণঘাতী অসংক্রামক রোগের অন্যতম কারণ ধূমপান। এ ছাড়া, পানের সঙ্গে জর্দা ও সাদাপাতা সেবন এবং মাড়িতে গুল ব্যবহারের ফলে মুখ ও মুখগহ্বর (দাঁত ও মাড়ি, জিহ্বা, গলা ও স্বরযন্ত্র ইত্যাদি), অগ্ন্যাশয়, খাদ্যনালীসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ক্যান্সার হয়ে থাকে।
তামাক চাষে দূষিত বায়ু, পানি ও মাটি: বেঁচে থাকার জন্য বিশুদ্ধ বায়ু ও পানি অপরিহার্য। তামাকের নিকোটিন ও অন্যান্য রাসায়নিক এবং তামাক চাষে ব্যবহৃত সার ও কীটনাশকের কারণে মাটি, পানি ও বায়ু মারাত্মকভাবে দূষিত হয়। ফলে মাটির উপকারী পোকামাকড়, মাছসহ পানিনির্ভর জলজ প্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চুল্লীতে আগুনের তাপে কাঁচা তামাক পাতা শুকানোর সময় বাতাসে নিকোটিন ছড়িয়ে বায়ু দূষণ করে। এ সময় পুরুষ, নারী ও শিশুদের শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা দেখা দেয়।
মাত্র একটি সিগারেটে উৎপাদনের জন্য জন্য ৩.৭ লিটার পানি প্রয়োজন হয়। সার্বিকভাবে, তামাক চাষে প্রতিবছর পৃথিবীতে দুই হাজার দু’শত কোটি লিটার পানির অপচয় হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী, জলাশয়ের পানিতে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় সিগারেটের ফিল্টার (বাট) যাতে উপস্থিত মাইক্রোপ্লাস্টিক পানিদূষণের কারণ। তাই এসডিজি’র অভীষ্ট ৬ (নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন) এবং এসডিজি ১৪ (জলজ জীবন বিষয়ক অভীষ্ট) লক্ষ্য অর্জনে তামাক নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তামাক চাষ ও জনস্বাস্থ্য: তামাক চাষে জড়িত সকলেই নিশ্বাসের সঙ্গে প্রতিদিন ৫০টি সিগারেটের সমপরিমাণ নিকোটিন গ্রহণ করে থাকে। যার ফলে অনিদ্রা, অরুচি, মাথা ব্যাথা, ঝিমুনি, বমি ভাব, চর্মরোগ ইত্যাদি নানা সমস্যা দেখা দেয়, যাকে ‘গ্রীণ টোব্যাকো সিকনেস’ বলে। তামাক চাষ অত্যন্ত শ্রমঘণ কাজ। ফলে দরিদ্র তামাক চাষী পরিবারের শিশু ও নারীদেরকে তামাক গাছের পরিচর্যা, তামাক পাতা তোলা ও শুকানোর কাজে সম্পৃক্ত করে। ফলে তারাও তামাকের বিষক্রিয়ার শিকার হন।
তামাক এবং পরিবেশ: তামাক পরিবেশের অন্যতম প্রধান শত্রæ। একটি সিগারেট থেকে প্রায় ১৪ গ্রাম CO2 নির্গত হয় এবং সার্বিকভাবে তামাক উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বৈশ্বিক আবহাওয়ায় প্রায় ৮ কোটি ৪০ লাখ মেট্রিক টন CO2 বায়ুমন্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। পরিবেশ রক্ষায় গাছের গুরুত্ব অনেক। কিন্তু, তামাক পাতা প্রক্রিয়াজাত করার কারণে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ হেক্টরের গাছ কাটা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী তামাক চাষ ও তামাক পাতা প্রক্রিয়াজাত করার জন্য প্রতিবছর গড়ে ৮ থেকে ১১ মিলিয়ন টন কাঠ ব্যবহৃত হচ্ছে, ফলে ২ লক্ষ হেক্টর বন ধ্বংস হচ্ছে। পৃথিবীতে শুধু তামাক চাষের কারণে ৫% বন ধ্বংস হয়। তামাক এবং শিশু ও নারী: পরোক্ষ ধূমপানের কারণে বিশ্বব্যাপী ১৩ লক্ষাধিক মানুষ মারা যায়, এদের অধিকাংশ শিশু ও নারী। সদ্যজাত শিশু হতে দু’বছরের কম বয়সীদের পরোক্ষ ধূমপানের কারণে হঠাৎ মৃত্যু হতে পারে। এছাড়া শিশুদের এজমা, ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদী রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। গর্ভধারণকারী নারী পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হলে মৃত সন্তান প্রসব বা কম ওজনের শিশু ও দুর্বল শিশুর জন্মদানের মতো ঝুঁকি দেখা দেয়।
শিশু ও নারীদের মধ্যে যারা তামাক চাষ, তামাক পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণ ও উৎপাদনে জড়িত তাদের উপর তামাকের প্রভাব ব্যাপক। শরীরের চামড়া ও শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে তামাক চাষে জড়িত শিশু ও নারীদের মধ্যে নিকোটিন প্রবেশ করে। এতে শিশুদের কিডনির সমস্যা হতে পারে এবং এসব শিশুর বড় অংশ পরবর্তী সময়ে তামাকের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। তামাক চাষে জড়িত নারীদের অন্যান্য স্বাস্থ্যক্ষতির পাশাপাশি সন্তান ধারণে সমস্যা ও গর্ভবতী নারীর সন্তানের ক্ষতি হয়। উপরন্তু, তামাক চাষ ও বিড়ি কারখানায় সম্পৃক্ত থাকার কারণে শিশুরা স্কুলে যেতে পারে না। যা তাদের পরবর্তী জীবনে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এসডিজি ৮ (শোভন কাজ ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি), অভীষ্ট ৪ (গুণগত শিক্ষা) ও অভীষ্ট ৫ (জেন্ডার সমতা) অর্জনে তামাক চাষ এবং বিড়ি-জর্দা-গুলসহ তামাক কারখানায় শিশু ও নারীদের নিয়োগ নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশে তামাকের ভয়াবহতা: বাংলাদেশে ধূমপানের ক্ষেত্রে বিড়ি-সিগারেট এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকের ক্ষেত্রে পানের সঙ্গে সাদাপাতা, জর্দা, মাড়িতে গুল ইত্যাদির ব্যবহার বেশি। ১৫ বছরের উর্ধ্বে জনগোষ্ঠির মধ্যে বাংলাদেশে পরিচালিত গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ২০১৭ অনুযায়ী ৩৫.৫% বা ৩ কোটি ৭৮ লক্ষ মানুষ (৪৬% পুরুষ ও ২৫.২% নারী) তামাক সেবন করে। ১৮% বা ১ কোটি ৯২ লক্ষ মানুষ (পুরুষ ৩৬.২% ও নারী ০.৮%) ধূমপান করে এবং ২০.৬% বা ২ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ (পুরুষ ১৬.২% ও নারী ২৪.৮%) ধোঁয়াবিহীন তামাক সেবন করে। ৪৪% প্রাপ্তবয়সী বা ২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ গণপরিবহনে, ৪২.৭% বা ৮১ লক্ষ মানুষ কর্মস্থলে এবং ৪ কোটি ৮ লক্ষ মানুষ বাসায় পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লক্ষ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে মারা যায়।
একটি যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, সরকার সব তামাক থেকে যত রাজস্ব পায়, তার চাইতে অনেক বেশি অর্থ তামাকজনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যয় হয়, এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া ১৫ বছরের কমবয়সী শিশুর মধ্যে ৪ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি শিশু তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, যার মধ্যে ৬১ হাজারের অধিক শিশু বাড়িতে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। এভাবে শিশু ও তরুণ প্রজন্ম তামাকের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়লে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড-এর যে সুবিধা পাওয়ার আশা বাংলাদেশ করছে তা ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ: বাংলাদেশ সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণে বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে এফসিটিসিতে স্বাক্ষর ও অনুসমর্থন করেছে। এফসিটিসির’র আলোকে বাংলাদেশ ২০১৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাস এবং ২০১৫ সালে বিধি জারি করেছে। ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ থেকে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়ক বা প্যাকেটে ৫০% স্থানে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা মুদ্রণ করা হচ্ছে। এসডিজি অর্জনকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ সরকার সপ্তম ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় তামাক নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্বসহ অন্তর্ভুক্ত করেছে। এছাড়া, ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি দক্ষিণ এশিয়ান স্পিকার্স সামিটের সমাপনী অধিবেশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৪: এ বছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে: “Protecting children from tobacco industry interference’ অর্থাৎ ‘তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ প্রতিহত করি, শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করি’। শিশু-কিশোরদের টার্গেট করে তামাক কোম্পানি যেসব অপচেষ্টা চালায় সেসব সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী নীতিনির্ধারকদের সচেতন করতে এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
তামাক সেবীদের অর্ধেকই দীর্ঘমেয়াদে তামাকজনিত রোগে মারা যায়। পরোক্ষ ধূমপানে অধূমপায়ীরও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে। এ প্রেক্ষিতে, মুনাফার জন্য নতুন ভোক্তা সৃষ্টি করা এ খাতের ব্যবসায়ীদের প্রধান লক্ষ্য। ফলে শিশু-কিশোরদের নেশায় আসক্ত করার জন্য বিভিন্ন অপচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। তামাক কোম্পানিগুলো শিশুদের টার্গেট করে তামাক পণ্যের প্রচার করে থাকে। কারণ তামাক সেবনের কারণে যে বিপুল পরিমাণ মানুষ মারা যায় এজন্য তামাক কোম্পানির মুনাফার জন্য নতুন নতুন ভোক্তা প্রয়োজন। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, শিশুদের আই-লেবেলে সিগারেটের দোকান ও সিগারেটের প্যাকেট সাজিয়ে রাখা হয়। শিশুদের স্কুলের সামনে, খেলার মাঠের সামনে সিগারেটের দোকান লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া, নাটক-সিনেমায় ধূমপানের দৃশ্য স্মার্টনেসের অংশ হিসাবে দেখানো হয়। এসব দৃশ্য মূলত টিন-এজ বয়সীদের টার্গেট করে করা হয়। জনপ্রিয় তারকাদের মাধ্যমে ধূমপানের দৃশ্য দেখানো হলে অল্পবয়সীরা বেশি প্রভাবিত হয়। এজন্য অল্পবয়সীদের নেশার দিকে ধাবিত করতে তামাক কোম্পানিগুলো ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকোর মত নতুন তামাক পণ্য বাজারে আনছে ও প্রচারণা চালাচ্ছে। এসব পণ্যকে অল্পবয়সীদের নিকট আকর্ষণীয় করতে বিভিন্ন ফ্লেভার ব্যবহার করা হচ্ছে। নাটক, সিনেমা, অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব পণ্যের প্রচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আশার কথা, বাংলাদেশ সরকার শিশু-কিশোরদের তামাকের নেশা থেকে বিরত রাখতে আইনের মাধ্যমে ১৮-বছরের কম বয়সীদের নিকট তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় অথবা তাঁদের দ্বারা বিপণন/বিতরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তন্মধ্যে নাটকে ধূমপানের দৃশ্য প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি সিনেমায় ধূমপানের দৃশ্যায়ন কতিপয় শর্ত আরোপের মাধ্যমে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
আজ সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও উদযাপিত হচ্ছে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৪। দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিকনির্দেশনামূলক ও উৎসাহব্যঞ্জক বাণী দিয়েছেন। এসব বাণী সংযুক্ত করে এক পৃষ্ঠার একটি ক্রোড়পত্র আজকের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী, মাননীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় এবং সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ-এঁর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আওতাধীন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপিত হচ্ছে।
শেষ কথা: ধূমপান ও তামাক ব্যবহার একটি মারাত্মক নেশা। তামাকের মধ্যে নিকোটিন রয়েছে, যার আসক্তি মাদকের চাইতেও শক্তিশালী। তাই ধূমপান সম্পূর্ণভাবে বর্জন করুন, তার আগ পর্যন্ত অন্তত অধূমপায়ীর সামনে ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে, পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহন এবং বাসা-বাড়িতে ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। দেশকে তামাকমুক্ত করার লক্ষ্যে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন বাস্তবায়নে সহায়তা করুন।
আসুন, আমরা নিজেকে ও পরিবারকে ভালবাসি। প্রাণঘাতী নেশা তামাক ও ধূমপান বর্জনের মাধ্যমে নিজেকে ও দেশকে তামাকজনিত মহামারী থেকে রক্ষা করি।
লেখক: অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য অনুবিভাগ), স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।