ঢাকা   ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪) আদানির সঙ্গে চুক্তি পুনর্মূল্যায়নে কমিটি গঠনের নির্দেশ সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত ৪ আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাসে সড়ক ছাড়লেন সাদপন্থীরা আর্থিক খাতে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা চুনারুঘাটে ফাঁকা গুলি ছুড়ে জনতার হাতে পিস্তলসহ আটক নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক এমপি মেজর রানা হাসিনা রেজিমের ‘ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট’ এখনো বহাল: পর্দার আড়ালে বাণিজ্য সচিব! দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪)

মেয়াদ উত্তীর্ণ তিস্তা রেল সেতু ঝুঁকি নিয়েই চলছে প্রতিদিন ২২টি ট্রেন

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : শনিবার, জুন ২৯, ২০২৪
  • 139 শেয়ার

আবির হোসেন সজল

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার জরাজীর্ণ তিস্তা রেলসেতুর ওপর দিয়ে আন্তনগরসহ ১২টি রুটে প্রতিদিন ২২টি ট্রেন চলাচল করছে। ঢাকা-রংপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, বগুড়া নাটোর, কুড়িগ্রাম ও লালমনিসহ আটটি জেলার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিস্তা রেলসেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করলেও রেল কর্তৃপক্ষের মেরামত করার নেই কোনো উদ্যোগ। বর্তমান তিস্তা রেলসেতুটির বয়স ১৯০ বছর।

রেল বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, রংপুরের কাউনিয়া তিস্তা নদীর ওপর লম্বা ২ হাজার ১১০ ফুট এবং ১৮৩৪ সালে তা নির্মাণ করা হয় । নির্মাণের সময় যার মেয়াদকাল ধরা হয়েছিল ১০০ বছর। তবে হিসাব অনুযায়ী ৯০ বছর আগেই এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এর ফলে সেতুটির কাঠের পাতগুলো ভেঙে গেছে, কোথাও নাট খুলে পড়ছে।

ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হলেও তখন থেকে সংস্কারের মুখ দেখেনি এ সেতুটি।

তিস্তা রেলসেতু সংলগ্ন চা-বিস্কুট বিক্রেতা ইমান আলী বলেন, এই সেতু দিয়ে ৮ জেলার কয়েক লাখ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। কিন্তু সরকারের উচিত বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে এখনই সেতুটি মেরামত করা।

রংপুর রেলস্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট শংকর গাঙ্গুলী বলেন, দীর্ঘ বছর আগে মেয়াদ শেষ হওয়া সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। এই সেতুর অনেক অংশে কাঠগুলো নষ্ট হয়ে গেছে, নাটগুলো খারাপ হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চলাচল করছে ট্রেনগুলো।

শংকর গাঙ্গুলী বলে, ১৯৭১ সালে পাক সেনাদের দ্বারা সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। দেশ স্বাধীনের পর স্প্যান, গার্ডার ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করে তা মেরামত করে সেতুটি পুনরায় চালু করে রেল কর্তৃপক্ষ। ১৯৭৭ সালে রেলওয়ে ও সওজ বিভাগ যৌথভাবে রেলসেতুতে মিটারগেজ লাইনের পাশে ২৬০টি স্টিলের প্লেট ও কাঠের পাটাতন স্থাপন করে।

রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় লালমনিরহাট বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, এই তিস্তা সেতুতে ১ হাজার ২২১টি কাঠের স্লিপার রয়েছে। এর মধ্যে ৭৫০টি স্লিপার নষ্ট হওয়ার ফলে তা পরিবর্তন করা হয়েছে। বাকি স্লিপারগুলো পরির্বতনের জন্য রেল অধিদপ্তরের কাছে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ আসলেই নষ্ট হওয়া স্লিপারগুলো পরিবর্তন করা হবে।

রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, ‘রেলসেতুটির বিষয় গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত সেতুটি মেরামত করা হবে।’

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০