বাগেরহাট প্রতিনিধি
সুন্দরবনে লাগা আগুন পুরোপুরি নির্বাপণে তৃতীয় দিনের মতো কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) ভোর থেকে পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশনের আমোরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি এলাকায় ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগ পানি দেওয়া শুরু করে। স্থানীয় সেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি তাদের সহযোগিতা করছে নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ড।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার জানিয়েছেন, সোমবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
গত শনিবার আগুন চোখে পড়ার পর থেকেই নিয়ন্ত্রণ কাজ শুরু করে বন বিভাগ, কমিউনিটি প্যাট্রলিং গ্রুপ (সিপিজি), ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের (ভিটিআরটি), টাইগার টিমসহ স্থানীয় সেচ্ছাসেবী ও বনজীবীরা। তবে ঘটনাস্থল থেকে পানির উৎস দূরে হওয়াতে এবং দুর্গম পথের কারণে প্রথম দিনে সেখানে পানি দেওয়া সম্ভব হয়নি।
সুন্দরবনের আগুনে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বন্যপ্রাণীরা
গতকাল রোববার ভোর থেকে সমন্বিতভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু হয়। অন্ধকার এবং বনের মধ্যে ঝুঁকি বিবেচনায় সন্ধ্যা নামায় এবং নদীতে ভাটার কারণে গতকাল বিকেলে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। ভোর থেকেই আবার সবাই মিলে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছেন।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুন্দরবনের ৫ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত মোরেলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম তারেক সুলতান বলেন, সোমবার ভোর ৬টা থেকে পানি দেওয়া শুরু হয়েছে। গতকালই সবকিছু সেট করা ছিল। ভোর থেকে পূর্ণ উদ্যোমে পানি দেওয়ার কাজ চলছে। আগুন আর বাড়তে পারেনি নিয়ন্ত্রণে আছে।