প্রচলিত আছে, বিয়ের কোনো বয়স নেই। তারপরও নির্দিষ্ট একটা বয়সে বিয়ে করার নিয়মটাও চলে আসছে। তবে এই বিয়ে নিয়েই ঘটেছে এক মজার ঘটনা। বৃদ্ধ বয়সে অনেকেই বিছানা ছেড়েই উঠতে পারেন না।
সেখানে পশ্চিমবঙ্গের ৯০ বছর বয়সী হুগলির জিরাটের বাসিন্দা অনিল চাচ্ছেন আরেকটি বিয়ে করতে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তার ছেলে-মেয়েরা। সন্তানরা তাকে বিয়ে করতে বাধা দেয়ায় সে সোজা চলে গেলেন হাইকোর্টে। আর সেখানে এই বৃদ্ধের আর্জি শুনে হতভম্ব হাইকোর্টের বিচারপতি।
অনিল পেশায় হুগলি জেলা আদালতের আইনজীবী। তবে তার আর্জি শুনে বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘এই বয়সে বিয়ে? বৃদ্ধের মানসিক চিকিত্সা প্রয়োজন।’’ যদিও আদালত এই আবেদনে কোনো হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি। অনিলকে প্রয়োজনে নিম্ন আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বিচারপতি এই মামলাটি নিষ্পত্তি করেছেন।
জানা গেছে, বিয়ের জন্য পাত্রী চেয়ে একটি সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন অনিল। বিজ্ঞাপনে তিনি জানিয়েছিলেন, পাত্রী ষাটোর্ধ্ব হবেন। পেশায় আইনজীবী হলে ভালো। অনিলের কথায়, কয়েকজন যোগাযোগও করেছেন তার সঙ্গে। কিন্তু জানতে পেরে বেঁকে বসেছেন ছেলেমেয়েরা। তার ছেলেমেয়েরা সবাই বিবাহিত।
অনিলের অভিযোগ, এই বিয়ে আটকাতে তার উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এর জন্য তিনি থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাকে মানসিক চিকিত্সার পরামর্শ দিয়েছে। তাই তিনি হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।