ঢাকা   ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানবকণ্ঠ কর্তৃপক্ষকে ১০ দিনের আলটিমেটাম

নির্মল বার্তা
  • প্রকাশিত : শনিবার, অক্টোবর ৩, ২০২০
  • 114 শেয়ার
মানবকণ্ঠ
জাতীয় প্রেস ক্লাবে মানবকণ্ঠ সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন

করোনাকালে চাকরিচ্যুত দৈনিক মানবকণ্ঠের সাংবাদিক-কর্মচারীদের বকেয়াসহ বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে ১০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। এ সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে মানবকণ্ঠ সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা এ হুঁশিয়ারি দেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদসহ অন্য নেতারা।

মানবকণ্ঠের মালিক ও আশিয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নজরুল ইসলাম ভূঁইয়াকে উদ্দেশ করে ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, আপনার আরও অনেক ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান আছে, আপনার সুনাম যেমন আছে দুর্নামও আছে। আমরা সেসব বলতে চাই না। একটি পত্রিকার প্রকাশক হিসেবে আপনাকে আমরা সম্মান করতে চাই। এখন আপনি আপনার সম্মান বজায় রাখবেন কি-না, তা আগামী ১০ দিনের মধ্যে স্পষ্ট করবেন। এই সময়ের মধ্যে আপনি যদি চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের বকেয়া পরিশোধ না করেন, তাহলে আপনার জন্য ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে। সাংবাদিকদের পথে নামিয়ে আপনি ঘরে বসে মজা দেখবেন, তা আমরা হতে দেব না।

বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল বলেন, পরিকল্পনা করে সাংবাদিকদের মাঠে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। যেন দেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়। এটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কি-না ক্ষতিয়ে দেখতে হবে। অতীতে যারা দালালি করেছে, তাদের করুণ পরিণতি আমরা দেখেছি। মানবকণ্ঠেও যারা দালালি করছেন, আপনাদের পরিণতিও দেখার অপেক্ষায় রইলাম। অবিলম্বে বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, দাবি আদায় না হলে জায়গা মতো ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিএফইউজের মহাসচিব শাবান মাহমুদ বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে দাবি আদায় না হলে আপনাদের ভূমিদস্যুতার বিরুদ্ধে আমরা অবস্থা নেব। আপনাদের মিডিয়ার সনদ বাতিলের জন্য তথ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাব, আপনাদের মুখোশ উন্মোচন করেই ছাড়বো।

ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, মালিকপক্ষের ন্যক্কারজনক প্রবণতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই। মিয়মিত বেতন-ভাতা পরিশোধ না করা প্রতারণার শামিল এবং আইনেরও লঙ্ঘন। আমরা আইন অমান্যকারীর কঠোর সাজা যেমন চাই, তেমনি সব গণমাধ্যমে নিয়মিত বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি জানাই।

মানবকণ্ঠের সিনিয়র সাংবাদিক সাবিরা ইসলাম বলেন, যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের ছয় থেকে ২০ মাস পর্যন্ত বেতন বকেয়া। এছাড়া অব্যাহতিপত্র এখনো না দেয়ায় টার্মিনেশন বেনিফিট পাওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

ডিইউজের যুগ্ম-সম্পাদক খায়রুল আলমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, মানবকণ্ঠের সিনিয়র সাংবাদিক মহিউদ্দিন পলাশ, বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য শাহনেওয়াজ দুলাল, নির্বাহী সদস্য শেখ মামুনুর রশীদ, ডিইউজের সহ-সভাপতি এম এ কুদ্দুস, সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুর রহমান, দফতর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য রাজু হামিদ, সলিমুল্লাহ সলিম, ইব্রাহীম খলিল খোকন, ডিআরইউ’র সাবেক প্রশিক্ষণ সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান খান, বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির সভাপতি সনৎ বাবলা, সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দীন শাহাব প্রমুখ।

আরও উপস্থিত ছিলেন ডিইউজের নির্বাহী সদস্য জুবায়ের চৌধুরী, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুমান আরা শিল্পী, ঢাকাস্থ লালমনিরহাট সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক নির্মল বর্মন প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০