বিজনেস ফাইল ডেস্ক
বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে লেভেলপ্লেয়িং ফিল্ড নেই এমন দাবি করে আসন্ন নির্বাচন বানচালে করতে অগ্নিসংযোগসহ সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) চেয়ারপারসন সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, নির্বাচনেই অংশ নেয়নি তারা। অথচ আন্দোলন ডেকে তারা নিজেদের ঘরোয়া সভা-সমাবেশ করছে। তারপর দুর্ঘটনা ঘটাতে গাড়ি ও ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) তার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে এ কথা লিখেন তি নি।
এক্স পোস্টের সঙ্গে পাঁচ মিনিটের একটি ভিডিও সংযুক্ত করেছেন সজিব ওয়াজেদ জয়। ভিডিওর বিবরণে বলা হয়, সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন ও ও ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, বিএনপি-জামায়াতের বেশিরভাগ মিছিলেই ২০- ৩০ জনের বেশি মানুষের জমায়েত ছিল না। এতে বোঝা যায়, জনগণ তাদের এই দাবির সঙ্গে একমত নয়। সাধারণ জনগণ তাদের কর্মসূচিতে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করছেন। ২০২২ সাল থেকে তারা একাধিক কর্মসূচি ডাকলেও সেসব ছিল জনসমর্থনহীন। জনগণের সমর্থন হারিয়ে বিএনপি-জামায়াত সরকারকে বিভিন্ন হুমকি ও আল্টিমেটাম দেওয়ার পাশাপাশি সহিংসতার হুমকিও দিচ্ছে।
ভিডিওর বিবরণে বলা হয়, গত এক মাসের মধ্যে এরকম ঘটনার সময় বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মীকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। তাদের কারও কারও কাছে পেট্রোল বোমা পাওয়া গেছে। যদিও বিএনপি বিভিন্ন মিশনে চিঠি পাঠিয়ে দাবি করেছে, এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগ জড়িত। সেখানে বিএনপি তাদের নেতা হিসেবে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। অথচ, তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রেখেছিলেন। বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে মিয়া আরেফি নামে এক ব্যক্তি বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে দেশে শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনসহ সরকার বিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য দেন জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘ওই ঘটনার নেপথ্যের কারণ বেরিয়ে এলে সেটি বিএনপিকে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে ফেলে।
ভিডিওর বিরবণে আরও বলা হয়, রুহুল কবির রিজভী থেকে শুরু করে বিএনপির ভেরিফায়েড বিভিন্ন পেজে দাবি করা হচ্ছে, চলমান সহিংসতায় জড়িত সরকার। অথচ সুশীল সমাজ ও সংখ্যালঘু সমাজের উদ্বেগের বিষয়ে তারা চুপ। ২৮ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর নেতারা প্রকাশ্যে শরীয়াহ আইন করার কথাও জানায়। নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াত নানা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ৩১ অক্টোবর থেকে তাদের সঙ্গে যৌথ কর্মসূচি পালন করছে জামায়াত। দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা তারেক রহমান নানাভাবে সাফাই দিয়ে আসছেন। যা তার বিশ্বাসযোগ্যতাকেও ক্ষুন্ন করেছে।