ঢাকা   ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ৩রা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
প্রিয় ভোটারবৃন্দ, বিশ্বাস রাখুন এবার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করব: ব্যবসায়ী নেতা রবিউল হক বাদশা দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪) অন্তঃসত্ত্বার খবর গোপন রাখায় কটাক্ষ-অপমানের শিকার হয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া ১৬ বছর ধরে গোপন কারাগারে গুম-নির্যাতন-খুনের নিউক্লিয়াস ‘হাসিনা’ ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মিশর যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ৮ নভেম্বর দেশ ছাড়েন ওবায়দুল কাদের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল, ফিরলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সাধারণ মানুষের জীবনে বিপ্লবের সুফলতা আসেনি: ফরহাদ মজহার হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু ভালুকা পৌর বিএনপির আহবায়ক হাতেম খানের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালী ও আলোচনা সভা

৮ নভেম্বর দেশ ছাড়েন ওবায়দুল কাদের

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪
  • 24 শেয়ার

বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
৫ই আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ দিন দলটির প্রায় সব নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে যান। জীবন রক্ষায় সেনানীবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন অনেক নেতা। কিন্তু তখন বড় জিজ্ঞাসা ছিল আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কোথায় আছেন। তিনি দেশে না বিদেশে এমন প্রশ্ন ছিল রাজনৈতিক মহলে। সময়ে সময়ে তাকে নিয়ে নানা গুজব আর গুঞ্জন ছড়িয়েছে বাতাসে।
গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী গণঅভ্যুত্থানের পর তিন মাস ৫ দিন তিনি দেশেই ছিলেন। এই সময়ে তিনি নিরাপদেই ছিলেন। দলের সভাপতির মতো তিনিও ভারতে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করেছেন এই সময়ে। যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন দলীয় সভাপতির সঙ্গে। সেখান থেকে সাড়া মিলেনি। সূত্রের দাবি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের দেয়া বক্তব্যে যারপরনাই বিরক্ত ছিলেন দলের সভাপতি। ‘ছাত্রদের আন্দোলন দমাতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট’ ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যেই আন্দোলনে আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছিল বলেই দলটির নেতারা মনে করছেন। যে আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনার সরকারকে এক বিধ্বংসী পরিণতি দেখতে হয়েছে।
সহযোগী গণমাধ্যম জানতে পেরেছে, গত ৮ই নভেম্বর ওবায়দুল কাদের শিলং হয়ে ভারতের কলকাতায় পৌঁছান। খবর রয়েছে, তিনি এক বিশেষ স্থানে আয়েসেই দিন কাটাচ্ছিলেন। তবে কীভাবে দেশ ছাড়বেন তার ফন্দি-ফিকির করছিলেন। সবুজ সংকেত আসার পর সড়কপথে তিনি বিশেষ ব্যবস্থায় ভারতের মেঘালয়ের রাজধানী শিলং পৌঁছান। সেখান থেকে যান কলকাতা। দিল্লি নয়, কলকাতাতেই তিনি অবস্থান করবেন এমনটাই জানা গেছে। ভারত সরকারের কাছে তার জন্য কেউ কেউ লবি করছিলেন। এক্ষত্রে শেখ হাসিনা কোনো আগ্রহ দেখাননি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সরকার পতনের কয়েকদিন আগে থেকে হঠাৎ নীরব হয়ে যান। বলাবলি আছে, আন্দোলন নিয়ে দেয়া বক্তব্যের কারণে তাকে কথা বলতে বারণ করা হয়েছিল দলের সভাপতির পক্ষ থেকে। এ সময় দলের অন্য নেতারা গণমাধ্যমে কথা বলেন। আওয়ামী লীগের পতনের পর আত্মগোপনে থাকা কয়েকজন নেতা নানা মাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন। কিন্তু দলের সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বিবৃতি দেখা যায়নি।

টানা তিন মেয়াদে দলের সাধারণ সম্পাদক হয়ে ওবায়দুল কাদের দলেও নিজস্ব বলয় তৈরি করেছিলেন। এ কারণে দলীয় অনেক নেতাকর্মীও তার প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন। এ ছাড়া বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে নানা সময়ে বক্তব্য দেয়ায় সাধারণ মানুষের কাছেও বিরক্তিকর চরিত্র হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছিল নানা ব্যঙ্গাত্মক প্রচারণা।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০