দিন দিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এ সংখ্যা সারা বিশ্বেই ক্রমবর্ধমান। চিকিৎসাপদ্ধতি, টীকা নিয়ে চলছে গবেষণা। তবে এত কিছুর মধ্যে বিজ্ঞানীরা আশার আলো দেখাতে পারেননি। ফলে করোনাকে সঙ্গে নিয়েই আপাতত চলতে হবে আমাদের, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ফলে চরম মানসিক রোগের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ২০ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়ে ওঠার ৯০ দিনের মধ্যে মানসিক রোগের শিকার হচ্ছেন। নানা ধরনের মানসিক সমস্যা দেখা যাচ্ছে তাঁদের মধ্যে, যা উদ্বেগজনক।
মনোবিদরা জানিয়েছেন, প্রতি পাঁচজন করোনায় আক্রান্তের মধ্যে একজন চরম মানসিক রোগের শিকার হচ্ছেন, যা ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।
এছাড়া মানুষের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ভয়, কাছের মানুষের সংক্রমণের আশঙ্কা, মৃত্যুশঙ্কা, জীবিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত রোগী, ঘরবন্দি মানুষ এবং জরুরি প্রয়োজনে যেসব পেশাজীবী ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন তারাই সবচেয়ে বেশি মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন।
এত আশঙ্কার মধ্যে ফের সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। সেই তথ্য অনুযায়ী, মনোবিদরা জানিয়েছেন প্রতি পাঁচজন করোনা আক্রান্তের মধ্যে একজন চরম মানসিক রোগের শিকার হচ্ছেন, যা ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি করছে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ২০ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়ে ওঠার ৯০ দিনের মধ্যে চরম আকারের কোনো মানসিক রোগের শিকার হচ্ছেন। নানা ধরনের মানসিক সমস্যা দেখা যাচ্ছে তাঁদের মধ্যে, যা উদ্বেগজনক।
উৎকণ্ঠা, মানসিক অবসাদ, নিদ্রাহীনতার মতো নানা রোগ মূলত গ্রাস করছে করোনায় আক্রান্ত রোগীরা সুস্থ হয়ে ওঠার পর। এখানেই শেষ নয়, সমীক্ষায় উঠে এসেছে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের মধ্যে ডিমেনসিয়ার মতো মানসিক রোগও দেখা দিচ্ছে।
ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক পল হ্যারিসন জানিয়েছেন, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের মধ্যে মনোরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকার ৬৯ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে এই সমীক্ষা করা হয়েছিল, যাঁদের মধ্যে ৬২০০০ জন করোনায় আক্রান্ত। সেখান থেকেই এই তথ্য উঠে এসেছে।