ঢাকা   ২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ৯ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফেনী সদরের হোটেল শ্রমিকদের মিছিল ও সমাবেশ এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে ফেনীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ফেনীতে মহাসড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সবাই ছিলেন নির্মাণশ্রমিক চাকরিতে পুনর্বহালসহ গ্রামীণফোনের কর্মীদের তিন দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন বাংলাদেশে এখনো হুমকি-হামলার শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকেরা: সিপিজে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে মেট্রোরেল বন্ধের হুমকি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ সাবেক স্বাস্থ্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম গ্রেফতার ফেনীতে বিএনপির জনসভায় যা বললেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ ‘মব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে’

সময়ের সঙ্গে বদলেছে পরিচিত ফলের স্বাদ

নির্মল বার্তা
  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১৫, ২০২০
  • 139 শেয়ার

দেশীয় ফলের পাশাপাশি বিদেশি ফলগুলো আমাদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে বহুকাল থেকেই। দিন দিন নতুন নতুন নানা ফল যোগ হচ্ছে একের পর এক। একেকটির একেক স্বাদ, গন্ধ, আকার, রং।

পৃথিবীতে সব কিছুই কমবেশি পরিবর্তিত হয়। সৃষ্টির শুরু থেকেই এমন হয়ে আসছে। এমনকি ফলও এ নিয়মের বাইরে নয়। এমন কিছু ফল আছে, যেগুলো শুরুতে এমন ছিল না। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলেছে এর স্বাদ-গন্ধ-রং।

জানেন কি? কোন ফলগুলোর এমন পরিবর্তন হয়েছে। মিষ্টি আপেলের স্বাদ পছন্দ করেন না অনেকেই। এটি কিন্তু শুরুতে ছিল টক। অবাক হচ্ছেন? যলুন এমন আরো কিছু পরিচিত ফলের অজানা পরিবর্তন জেনে নেই-

তরমুজ
বাইরে সবুজ আর ভেতরে লাল রঙা এই ফল কিছু আদিকালে এমন ছিল না। জানা যায় এক চিত্রশিল্পীর একটি সদ্য কাটা তরমুজসহ বিভিন্ন রকমের ফলের ছবি দেখে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, চিত্রিত তরমুজটি আধুনিক সংস্করণের চেয়ে একেবারে আলাদা দেখতে। এমনকি আমরা বিভিন্ন প্রজাতির তরমুজ খেয়ে থাকি, যার স্বাদ ও রং ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।

আপেল
আপেলের আগের বৈশিষ্ট্য এমন ছিল না। এর স্বাদ বদলে গেছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। আগে অনেক বেশি টক ছিল আপেলের স্বাদ। এখন আমরা নিয়মিত বাজার থেকে যে ফল কিনে থাকি, তা আগের চেয়ে অনেক বেশি মিষ্টি।

কলা
কলার বিলুপ্তি ঘটেছে বহু আগেই। বর্তমানে বেশিরভাগ দোকানে যে কলা পাওয়া যায়। সেটি আসলে ক্যাভেনডিশ নামে পরিচিত একটি জাত। জানা যায়, উনিশ শতকের পর থেকে অনেক ধরনের কলা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। একধরনের ছত্রাক কলার পরিবর্তনে প্রভাব ফেলেছিল।

এপ্রিকট
এপ্রিকট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সৈন্যদের দেয়া হতো। যা খেলে শরীরকে দীর্ঘক্ষণ পরিশ্রম করতে সাহায্য করতো। কিন্তু ফলগুলো পরিবহনের কারণে শুকিয়ে পরিবর্তন হতে শুরু করে। ফলে আস্তে আস্তে সামুদ্রিক যানবাহনে ফলটি পরিবহনের আর অনুমতি দেয়া হয়নি। শুধু কুসংস্কারের কারণে এ জাতীয় সমস্যা দেখা দিয়েছিল।

ডুরিয়ান
ডুরিয়ান ফল সাধারণত দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অনেক খাবারের পাশাপাশি ওষুধ এবং মিষ্টিগুলোতে ব্যবহার করা হয়। তবে এর ভয়াবহ গন্ধের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। জার্মানির শোয়েনফুর্টে একটি পোস্ট অফিসে ডুরিয়ান ফল এসেছিল। তাতে তীব্র গন্ধ ও গ্যাসে ৬ জন শ্রমিককে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হয়। ফলে গন্ধের জন্য অনেক হোটেল এবং যানবাহনে এটির প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০