ঢাকা   ৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ২১শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ড. ইউনূসকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোন রাষ্ট্রীয় ব্যাংকে নিয়োগপ্রাপ্ত এমডি/ডিএমডিদের কমার্স ব্যাকগ্রাউন্ড নেই! প্রকৃত ব্যাংকারদের মাঝে ক্ষোভ বাংলাদেশ পাইপ ও টিউবওয়েল এসোসিয়েশন: নির্বাচিত হলে সকলের মতামতের ভিত্তিতেই এসোসিয়েশন চালাবো : সোলাইমান পারসী ফয়সাল দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪) শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চুনারুঘাটে নিরীহ ব্যক্তির জায়গা দখলের চেষ্টা, হামলার অভিযোগ কুমিল্লা জেলা সমিতি চট্টগ্রাম’র ২০২৫-২০২৭ কমিটি গঠন সবার স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ছিল বলেই একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে : বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী সম্মিলিত পরিষদ নির্বাচিত হলে ভ্যাট সমস্যার সমাধান নিশ্চিত করব : সাক্ষাৎকারে ব্যবসায়ী নেতা রবিউল হক বাদশা দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪)

সম্মিলিত পরিষদ নির্বাচিত হলে ভ্যাট সমস্যার সমাধান নিশ্চিত করব : সাক্ষাৎকারে ব্যবসায়ী নেতা রবিউল হক বাদশা

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
  • 15 শেয়ার
রবিউল হক বাদশা, প্যানেল লিডার, সম্মিলিত প্যানেল, বাংলাদেশ পাইপ এন্ড টিউবওয়েল মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (নির্বাচন ২০২৪-২০২৬)

বিজনেস ফাইল রিপোর্ট

রাজধানী ঢাকার প্রিয় মুখ তরুণ ব্যবসায়ী নেতা । এফবিসিসিআইয়ের জিবি সদস্য, বাংলাদেশ পাইপ এন্ড টিউবওয়েল মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের একাধিকবার নির্বাচিত সভাপতি রবিউল হক বাদশা।
সহকর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তি তিনি।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ সংগঠনের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন (২০০২৪-২৬)। দেশের বিভিন্ন স্থানে ভোটাররা ব্যস্ত ভোট নিয়ে। দৈনিক বিজনেস ফাইল পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন বিগত দিনে আমরা সদস্যদের জন্য অনেককাজ করেছি। যতটুকু বাদ রয়েছে সেটুকু আগামীতে করবো বিশেষ করে ভ্যাট সমস্যার সমাধান । তিনি বলেন আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে আমাদের সম্মিলিত প্যানেল খুব ভালো রেজাল্ট করবে ইনশাল্লাহ । সম্মানিত ভোটাররা আমাদের ওপর সে আস্থা রেখেছে ।
পাইপ এন্ড টিউবওয়েল মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ব্যবসায়ী ভাইদের জন্য উন্নয়নমুখী একটা সংগঠন। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, বিল্ডিং এমনকি দেশের সকল স্থাপনায় কোনো না কোনো ভাবে পাইপ, টিউব ওয়েল সামগ্রী প্রয়োজন হয়। তাই আমাদের এ সেক্টরের ব্যবসায়ীদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে আমরা নিরন্তর কাজ করে চলেছি।
সংগঠনের প্রতিটি সদস্য আমাদের ভাই। সুখে-দুখে আমরা তাদের সাথে একসাথে কাজ করি। সরকারের কোন হঠকারী সিদ্ধান্ত আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে, আমরা নিজেরা আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত কি হবে তা নির্ধারণ করি।
প্রশ্ন:বর্তমানে এফবিসিসিআই সংস্কার বিষয়ে আপনার মনোভাব কি?
উত্তর:আমরা এফবিসিসিআই’র সংস্কার চাই। সভাপতি, সহ-সভাপতি সহ সকল পদে নির্বাচন চাই। অতিরিক্ত চামচামিটা জিবি সদস্যরা ভালোভাবে নেয়নি। বিগত কয়েকটাম ধরেই সভাপতি নির্বাচিত হতে জিবি সদস্যের ভোট প্রয়োজন হয়নি। গত কয়েক টামে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন অটো পরিচালকদের মধ্য থেকে। নির্বাচনের পর অনেক পরিচালকই তাদের সভাপতির কাছে পাত্তা পাননি। আমরা বারবার বলেছি আমরা যখন আমাদের উৎপাদিত পণ্যের কাঁচামাল ইমপোর্ট করি, তখন আমরা ভ্যাট দেই। যখন এক্সপোর্ট করি তখনও আমাদের এনবিআর নির্ধারিত হারে অর্থ পরিশোধ করতে হয়। উনি যখন একজন বিক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি করেন তখন তাকে ভ্যাট দিতে হলো। একই পণ্যের ভ্যাট তো দুবার হতে পারে না। লোকাল পাবলিক বা ক্রেতারা বার বার ভ্যাট দিতে চায় না। একথা সরকার বা এনবিআর কর্মকর্তারা শোনেন না।
এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দ আমাদের উপরে চাপিয়ে দেয়া অতিরিক্ত ভ্যাট সমস্যার সমাধান করে দিতে পারেনি।
প্রশ্ন:কোন কোন দেশে বাংলাদেশের পাইপ ও টিউবয়েল রিলেটেড পণ্য যাচ্ছে?
উত্তর:আমাদের উৎপাদিত পণ্যের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে দেশে বাইরে। বিশেষ করে নেপাল, শ্রীলংকা, আফ্রিকাতে আমাদের পণ্যের ব্যাপক চাহিদা। এছাড়া বিশ্বের প্রায় ৫০ টি আমাদের দেশের পন্য রপ্তানি হচ্ছে। প্রশ্ন:দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কি করণীয় আছে বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর:আমাদের গার্মেন্টস সেক্টরের বিশাল একটা জায়গা রয়েছে। কাঁচামাল এবং ফিনিশ প্রডাক্ট দুটোই ডলার জড়িত। এ ব্যাপারটা না থাকলে ডলার রেট ১২০-২৫ টাকার পরিবর্তে হতো ৮০-৯০ টাকা।
ধরুন ঢাকার বাইরে থেকে কাঁচামাল, সবজি ইত্যাদি ঢাকাতে আসতে পেট্রেোল, অকটেন ইত্যাদি ধরনের জ্বালানি তেল প্রয়োজন হয়। ডলারের মাধ্যমে সেগুলো আমাদের ক্রয় করতে হয়। ডলারের উচ্চ মূল্যের কারণে পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়াও পথে চাঁদা মধ্যসত্ব ভোগী রয়েছে। জ্বালানির দাম কমলে ৮০০০ টাকার ট্রাক ৬০০০ টাকায় পাওয়া যাবে।তখন দ্রব্যমূল্যের দাম কমে যাবে।
প্রশ্ন:দ্রব্যমূল্য কমানোর কোন পদক্ষেপ আছে কি?
উত্তর
এফবিসিসিআইতে বর্তমানে প্রশাসক রয়েছেন। দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতির জন্য এখন সরকার কার সাথে বসবে? প্রশাসক মহোদয় যদি বিগত পরিচালনা পর্ষদ থেকে অন্তত ২০ জনকে মনোনীত করে দায়িত্ব দিতে পারেন।একই সাথে মনিটারিং কমিটি যদি কাজ করতে পারে তাহলে হয়তো মূল্য নিয়ন্ত্রণ আসবে। এখন ৪জনকে প্রশাসকের সহায়ক সদস্য নেওয়া হয়েছে। তারা তো সংস্কার নিয়ে কাজ করছে।
এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার সময়। সবশেষে ভোটারদের কে বলবো সম্মিলিত পরিষদের পুরো প্যানেলকে বিজয়ী করুন। আগামী দিনে আপনাদের ভ্যাট সমস্যা সহ অন্যান্য সমস্যা আমরা সমাধান করব ইনশাল্লাহ। বিগত দিনে আমাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ভ্যাট সহ অন্যান্য যে বিষয়গুলো অত্যন্ত জরুরী তা করতে পারব ইনশাল্লাহ।
বিশ্বাস রাখুন আমরা সবাই আপনাদের সেবক।
আবারো ধন্যবাদ প্রিয় ভোটার ভাইদের।আপনাদের সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০