ঢাকা   ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফেনীতে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা আমাদের ব্যর্থতা : পুলিশ সুপার ফেনীতে সাংবাদিকতায় দিনব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত ভালুকায় রাজৈ সজনগাও যুব সমাজের উদ্যোগে খেলা ও মেলা অনুষ্ঠিত মানিকগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভক্তি: পদত্যাগ ও অবরোধের হুমকি মানিকগঞ্জে সীমানা বিরোধে প্রতিবেশীকে কুপিয়ে জখম ফেনী সদরের হোটেল শ্রমিকদের মিছিল ও সমাবেশ এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে ফেনীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ফেনীতে মহাসড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সবাই ছিলেন নির্মাণশ্রমিক চাকরিতে পুনর্বহালসহ গ্রামীণফোনের কর্মীদের তিন দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন বাংলাদেশে এখনো হুমকি-হামলার শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকেরা: সিপিজে

শেখ হাসিনাকে দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : রবিবার, অক্টোবর ২০, ২০২৪
  • 77 শেয়ার

বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
শেখ হাসিনাকে দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগে কথায় কথায় তার বিরোধীদের সাহস থাকলে দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানাতেন। এখন তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আমি আশা করি শেখ হাসিনা দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হবেন।’
রোববার (২০ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ফিরিরে আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ইন্টারপোলের সহযোগিতা নিয়েও শেখ হাসিনাকে ফিরে আনা হতে পারে।’
এদিকে, বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে এখন থেকে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা ‘সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল’র হাতে ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাদের ১৮ নভেম্বরের মধ্যে ট্রাইবুনালে হাজিরের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করতে ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। সেই ট্রাইব্যুনালে জামায়াত-বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করা হয় এবং তা কার্যকরও হয়।
এর মধ্যেই গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে। হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসানের পর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত হয়।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০