ঢাকা   ১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বালু খেকোদের অভয়ারণ্য বাজিতপুরের দিলালপুর কুমারখালীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন ফায়ার সার্ভিসের ছয় কর্মকর্তার পদোন্নতি আগামী ১৮ জানুয়ারি সোনারগায়ে মাসব্যাপী লোকজ মেলা শুরু ভালুকায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি, টাকা-সোনা লুট কেরানীগঞ্জে ৩০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী পৌষ সংক্রান্তি মেলা, রক্ষাকালী মায়ের বাৎসরিক পূজা ও ঘুড়ি উৎসব নিকলী উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন: সভাপতি মিঠু, সম্পাদক হেলিম বিআইএ নির্বাচন: উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে মনোনয়নপত্র দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫) শতাধিক পণ্য ও সেবার উপর মূল্য সংযোজন কর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করায় বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

শামীম ওসমানকে সুবিধা দিতেই ৭ খুনের ঘটনা ঘটে: জিয়াউল আহসান

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : বুধবার, আগস্ট ২৮, ২০২৪
  • 158 শেয়ার

বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেন, আমি নিজ উদ্যোগে কিছুই করিনি। আমাকে যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আমি সেভাবেই কাজ করেছি। আমার কাছে নির্দেশনা আসত একেবারে শীর্ষ পর্যায় থেকে। কিছু কিছু বিষয়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল নির্দেশনা দিতেন।

নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের বিষয়ে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে সব দোষ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মেয়ের জামাই তারেক সাঈদের। ওই সময় র‌্যাব-১১ এর কমান্ডিং অফিসার ছিলেন তারেক সাঈদ। মন্ত্রীর মেয়ের জামাই হওয়ার কারণে ওই সময় তার ওপর কেউ কথা বলতে পারতেন না। জিয়াউল আহসান বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে একসঙ্গে সাতজন নিখোঁজ হওয়ার পরপরই তাদের খুঁজে বের করতে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) মোখলেসুর রহমান। প্রথমদিকে র‌্যাব-১১-এর কয়েকজন আমার কাছে সাত খুনের বিষয়টি স্বীকার করেন। কিন্তু তারেক সাঈদ স্বীকার করেননি। জিয়াউল আহসান ডিবিকে জানান, আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানকে সুবিধা দিতেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্দেশেই বহুল আলোচিত সাত খুনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসান বলেন, ডিবি হেফাজতে যারা আছেন তারা একেকজন একেক ধরনের তথ্য দিচ্ছেন। তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই করে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, যারা রিমান্ডে আছেন, হত্যার ক্ষেত্রে তাদের কেউ নির্দেশদাতা, কেউ পরামর্শদাতা, কেউ অর্থ বিনিয়োগকারী, কেউ ইন্ধনদাতা। আমরা মূলত হত্যা মামলায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তবে প্রসঙ্গক্রমে আরও অনেক বিষয় চলে আসছে। ওইসব বিষয় আমাদের গোয়েন্দারা নোট করে রাখছেন। মানি লন্ডারিংসহ আর্থিক যেসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয় উঠে আসছে সেগুলো নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০