ঢাকা   ১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বালু খেকোদের অভয়ারণ্য বাজিতপুরের দিলালপুর কুমারখালীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন ফায়ার সার্ভিসের ছয় কর্মকর্তার পদোন্নতি আগামী ১৮ জানুয়ারি সোনারগায়ে মাসব্যাপী লোকজ মেলা শুরু ভালুকায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি, টাকা-সোনা লুট কেরানীগঞ্জে ৩০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী পৌষ সংক্রান্তি মেলা, রক্ষাকালী মায়ের বাৎসরিক পূজা ও ঘুড়ি উৎসব নিকলী উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন: সভাপতি মিঠু, সম্পাদক হেলিম বিআইএ নির্বাচন: উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে মনোনয়নপত্র দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫) শতাধিক পণ্য ও সেবার উপর মূল্য সংযোজন কর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করায় বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

শরণার্থীদল হিসেবে ক্রিকেটে ফিরতে আইসিসির কাছে আকুতি জানালেন আফগান নারী ক্রিকেটাররা

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, জুলাই ২, ২০২৪
  • 129 শেয়ার

ক্রীড়া ডেস্ক

২০২১ সাল থেকে আফগানিস্তানে নারী ক্রিকেটদল বিলুপ্ত। তালেবান শাসন ফিরে আসার পর সরকারিভাবে নারী ক্রিকেটদল বিলুপ্ত করে দেওয়া হয়। এখন আইসিসির কাছে ক্রিকেটে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন আফগানিস্তানের নারী ক্রিকেটাররা।

এই মুহূর্তে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তানের কোনো নারী ক্রিকেটদল নেই।

আফগানিস্তানের নারী ক্রিকেটারদের আবেদন, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি যেন তাদের অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক শরণার্থী দল হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ করে দেয়।
আফগানিস্তানের পুরুষ ক্রিকেটদল দেশটিতে বেশ জনপ্রিয়। এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে রশিদ-নবিরা। বিশেষ করে সীমিত ওভারে তাদের উন্নতি চোখে পড়ার মতো।

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠে তারা উন্নতির প্রমাণও দিয়েছে। পুরুষ ক্রিকেটদলের সাফল্যের পর এবার দেশটির নারী ক্রিকেটারদের অধিকার নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। অথচ আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে আফগানিস্তানেরও একটি নারী ক্রিকেটদল থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু তালেবান শাসন ফেরার পর নারীদের সব খেলা বন্ধ করে দেয়।

আফগানিস্তানে নারী ক্রিকেট শুরু হয় তালেবানদের পুনরায় ক্ষমতা নেওয়ার আগে। বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধও হয়েছিলেন নারী ক্রিকেটাররা। তালেবান সরকার যখন নারী ক্রিকেটদল বাতিল করে দেয়, তখনই আফগানিস্তানকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছিল। সেই ক্রিকেটাররাই আইসিসিকে একটি খোলা চিঠি লিখে নিজেদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আকুতিটা জানিয়েছে।

চিঠিতে তারা জানিয়েছেন , ‘আমরা নারী ক্রিকেটার হওয়ায় দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিতে পারছি না।

আমরা ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসিকে অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের একটি শরণার্থী ক্রিকেট দল গঠনের অনুরোধ জানাচ্ছি। যে দলটি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ইস্ট এশিয়ান ক্রিকেট কার্যালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এই দলটির মাধ্যমে আমরা পুরুষ ক্রিকেটারদের মতোই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের সব নারীর প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। যেটি আমরা দেশে থেকে করতে পারছি না।’
উল্লেখ্য, তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশটির নারী ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই দেশ ত্যাগ করেন। এর একটা বড় অংশ বসবাস করছেন অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে ক্লাব ক্রিকেটে খেলছেন তারা।

চিঠিতে আফগান নারী ক্রিকেটাররা আরো লিখেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এই শরণার্থীদলটির মধ্য দিয়ে সারা পৃথিবীর সামনে আমরা আমাদের প্রতিভার প্রমাণ রাখব। এর মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে বসবাস করা নারীদের আশার আলো দেখাব। আফগানিস্তানে নারীদের প্রতি কী অমানবিক আচরণ হচ্ছে, সেটি দুনিয়ার সামনে তুলে ধরব। আমরা আফগানিস্তান পুরুষদলের মতোই সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা রাখি।’

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০