বিজনেস ফাইল প্রতিবেদক
শতাধিক পণ্য ও সেবার উপর মূল্য সংযোজন কর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করায় বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের (এফবিসিসিআই) সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আজ সকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি কঠিন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম যে, চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের মাঝপথে এসেই শতাধিক পণ্য ও সেবার উপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে সরকার গত ৯ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে গেজেট প্রকাশ করেছে। অংশীজনদের সাথে আলোচনা না করেই মূসক ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করায় ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। হঠাৎ এ কর আরোপ এবং গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব দেশের সার্বিক জাতীয় অর্থনীতির উপর প্রচণ্ডভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে স্বাভাবিক অবস্থায় এগিয়ে নিতে যে মুহূর্তে সরকার, ব্যবসায়ী সমাজসহ সকলেই সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি- সে সময়েই অস্বাভাবিক হারে মূসক ও সম্পূরক শুল্ক পাশাপাশি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব দেশের অর্থণৈতিক অগ্রযাত্রার গতিকে থমকে দিবে।
ভ্যাটের বাড়তি চাপ সাধারণ মানুষের উপর পড়বে। দেশে বর্তমানে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে দৈনন্দিন জীবন-যাত্রার খরচ স্বাভাবিকভাবে আরেক দফা বেড়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই সাবেক সহ-সভাপতি শিল্পপতি আবুল কাশেম হায়দার, বারভিডার নবনির্বাচিত সভাপতি আবদুল হক, বৈষ্যম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ আহ্বায়ক জাকির হোসেন নয়ন, এফবিসিসিআই প্রশাসকের সহায়ক সদস্য গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী খোকন, সদস্য সচিব মো. জাকির হোসেন, রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি মো. ওসমান গনি, এফবিসিসিআইয়ের জিবি সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভ্যাট, ব্যাংকিং সেক্টর, পাচার হওয়া অর্থ ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন করেন, দৈনিক বিজনেস ফাইল, যমুনা টিভি, বাংলাভিশনের সংবাদকর্মীরা।