ঢাকা   ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪) আদানির সঙ্গে চুক্তি পুনর্মূল্যায়নে কমিটি গঠনের নির্দেশ সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত ৪ আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় সাংবাদিক, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাসে সড়ক ছাড়লেন সাদপন্থীরা আর্থিক খাতে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা চুনারুঘাটে ফাঁকা গুলি ছুড়ে জনতার হাতে পিস্তলসহ আটক নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক এমপি মেজর রানা হাসিনা রেজিমের ‘ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট’ এখনো বহাল: পর্দার আড়ালে বাণিজ্য সচিব! দৈনিক বিজনেস ফাইল ই-পেপার (মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪)

লাখ টাকায় জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করতেন তারা

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশিত : সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
  • 114 শেয়ার
মজিদ

রাজধানীতে লাখ টাকার বিনিময়ে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দিত একটি চক্র। এদের অনেকেই আউট সোর্সিংয়ে নিয়োগ পেয়ে নির্বাচন কমিশনের অধীনে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। ফলে জালিয়াতির জন্য নির্বাচন কমিশন অফিসের সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারতেন।

শনিবার রাতে মিরপুরের চিড়িয়াখানা রোডের ডি-ব্লক এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) লালবাগ বিভাগ। রবিবার ডিএমপি নিউজে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সুমন পারভেজ (৪০), মো. মজিদ (৪২), সিদ্দার্থ শংকর সূত্রধর (৩২), মো. আনোয়ারুল ইসলাম (২৬) ও মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪১)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে দ্বৈত, জাল ও ডুপ্লিকেট ১২টি জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাংকের ঋণ নিয়ে কেউ ঋণ খেলাপি হলে তাদের সিআইবি খারাপ হয় ফলে পুনরায় তারা ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন না। তখন গ্রেপ্তার সুমন ও মজিদ ঋণ পাশ করিয়ে দেবেন দাবি করে প্রথমে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা নিতেন।

পরবর্তীতে ঋণ পাশ হলে সেই পরিমাণ টাকার ১০% হারে দিতে হবে দাবি করে চুক্তি করতেন তারা। চুক্তিতে একমত হলে এই ব্যক্তিরা প্রথমে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দিতেন। পরে ঋণ পাশ হলে চুক্তি অনুযায়ী ঋণে সম্পূর্ণ টাকার ১০% হারে নিয়ে নিতেন। এ জাল পরিচয়পত্র তৈরি করে দিতেন তাদের আরেক সহযোগী গ্রেপ্তার সিদ্দার্থ শংকর সূত্রধর ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম। তারা প্রত্যেকটি জাল জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি বাবদ ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা করে নিতেন।

পুলিশ জানায়, সিদ্দার্থ শংকর সূত্রধর ও আনোয়ারুল ইসলাম ই-জোন কোম্পানির মাধ্যমে আউট সোর্সিংয়ে নিয়োগ করা নির্বাচন কমিশনের অধীনে খিলগাঁও ও গুলশান অফিসে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। এ কারণে তারা নির্বাচন কমিশন অফিসের সফটওয়্যার ব্যবহার করে সহজেই জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করতে পারতেন।

গ্রেপ্তার পাঁচজন এ উপায়ে অনেককে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ উত্তোলন করে দিয়েছেন জানিয়ে পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মিরপুর মডের থানায় মামলা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০